‘স্বপ্নাকে হারিয়েছি নাঈমাকে নয়’

‘স্বপ্নাকে হারিয়েছি নাঈমাকে নয়’

  • মো. আসাদুজ্জামান

‘আমি বাঁচতে চাই। সুন্দর জীবনে আবার ফিরে যেতে চাই।’ মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশনের ৮ নম্বর কেবিনে শয্যাশয়ী নাইমা আলমের এমন বেঁচে থাকার আকুতি শুনে আশেপাশের মানুষদের চোখ ছলছল করে ওঠে। নাইমা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের মেধাবী শিক্ষার্থী (৪০ তম আবর্তন)। তার দুটো কিডনিই ক্রোনিক গ্লোমেরুলোনেফরিটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আজ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তার দুটো কিডনিই প্রতিস্থাপন করতে হবে।

বছর খানেক আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হারায় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপ্নাকে। এর আগে বেশকিছু দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সুস্থ হয়েছিলেন ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইআইটি) মেধাবী শিক্ষার্থী জিনিয়া। তাই নাঈমার সহপাঠীরা স্বপ্ন দেখছেন তাকে ফিরে পাবার।

সবার মতো একটি স্বপ্ন নিয়ে স্কুল ও কলেজ পাঠ চুকিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন নাঈমা। নিজে মানুষের মতো মানুষ হবে। স্বপ্ন ছিল সেবা করবে দেশের মানুষের। তারপর একে এক চারটি বছর পার করে স্নাতোত্তর শ্রেণিতে উৎত্তীর্ণ হওয়া। এরই মধ্যে তার দুটি কিডনী অকেজো হয়ে পড়ে। প্রতিদিন তার পেছনে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান নাঈমার আত্মীয় স্বজনরা। ডাক্তারের পরামর্শানুযায়ী খুব দ্রুত তার কিডনি স্থানান্তার করতে হবে। এজন্য তাৎক্ষণিকভাবে ২০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তার একমাত্র কর্মজীবী বাবার পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। নাঈমা আলমের বাবা মো. আবুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বাস চালক। নাঈমার অসহায় পরিবার প্রতিনিয়ত টাকার জন্য হন্যে হয়ে ছুটছেন বিভিন্ন দিকে।

নাঈমা সহপাঠী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘অকালে আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছে স্বপ্না। তবে আমরা ফিরে পেয়েছি জিনিয়াকে। আমরা সবাই নিজেদের অবস্থান থেকে এগিয়ে এলে হয়ত নাঈমাকেও আমরা খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে ফিরে পাব।’

ক্যাম্পাসে সহপাঠীদের সঙ্গে নাঈমা। ছবি : লেখক।
ক্যাম্পাসে সহপাঠীদের সঙ্গে নাঈমা। ছবি : লেখক।

জানা যায়, ইতিমধ্যে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পাস জুড়ে পোস্টারিংও করেছে সহপাঠীরা। বিভাগীয় শিক্ষকদের পরামর্শে খুব দ্রুত কনসার্ট এবং ফিল্ম-ফেস্টিভালের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আরেক সহপাঠী আলিমুল হক।

সার্বিক যোগাযোগ ও অর্থ পাঠানোর জন্য:

মোবাইল: ০১৬৭৫২৪৮৯৪৭ (নাইমার বাবা)

ব্যাংক একাউন্ট: মোঃ আবুল আলম

হিসাব নং – ৮৬২৯/১ অগ্রণী ব্যাংক (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা)

মোবাইল বিকাশ: ০১৯১৪৪৮২৪৮৮

ডাচ বাংলা ব্যাংক: ০১৯২৪০৯৭০৩৭৩favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment