পরিবেশ বিজ্ঞানে পড়ি

পরিবেশ বিজ্ঞানে পড়ি

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

পৃথিবীতে ক্রমেই জনসংখ্যা বাড়ছে। ক্রম বর্ধমান জনসংখ্যা বিলাশবহুল জীবন যাপন করতে গিয়ে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দেখা দিচ্ছে- ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙ্গন, ভূমি ধস ইত্যাদি। পরবিবেশবিদরা এসব সমস্যা মোকাবেলায় কাজ করেনা থাকেন। পরিবেশবিদরা মূলত পরিবেশের ডাক্তার। কেননা পরিবেশ বিজ্ঞান, পরবিবেশের সমস্যা সমাধানের সম্প্রসারিত জ্ঞান দান করে না।

কেন পড়বেন পরিবেশ বিজ্ঞানে

প্রাকৃতিক পরিবেশে যে কোন সময় ঘটতে পারেনা অপ্রত্যাশিত এবং ভয়ংকর কোন ঘটনা। এমন সব ঘটনার আগাম জানান দিতে পারে না পরিবেশ বিজ্ঞানী। পরিবেশের সমস্যা সমাধানের পথ দেখাতে পারে না পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষা। এই বিজ্ঞান নির্দেশনা দেয়, পরিবর্তিত প্রক্রিয়ায় কীভাবে জীবন যাপন করতে ববে। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জন করেন এককজন পরিবেশ বিজ্ঞানী। দেশ তথা বিশ্ব পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন এই বিষয়ে শিক্ষা নিয়ে।

পরিবেশ বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়

জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জনসংখ্যা গতিবিদ্যা, আবাসন এবং নগরায়ন দিক অধ্যয়ন পরবেশ বিজ্ঞানের আওতাভুক্ত। বর্তমান বিশ্ব এবং দেশের পরিবেশ শিক্ষার চাবিদা অনুযায়ী পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চার বছরমেয়াদি বিএসসি (সম্মান) এবং দুই বছরমেয়াদি এমএসসি কোর্সের আওতায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন তত্ত্বীয় ও ব্যববারিক বিষয়ে কোর্স পরিচালনা করা হয়।

পড়বেন কোথায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় www.du.ac.bd/faculty/sciences

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় www.sust.edu

স্টেট ইউনিভার্সিকি অব বাংলাদেশ www.subd.net

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি http://daffodilvarsity.edu.bd

কাজের ক্ষেত্র

এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ, মাছ ও বন্যপ্রাণী সেবা অধিদপ্তর,জাতীয় বন পরিষেবা,খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ, এনজিও, পরিবেশগত পরামর্শ প্রদান, পরিবেশগত সাংবাদিকতা, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন একজন পরবিবেশবিদ।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment