তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটি বিষয়ে পড়ার পরিকল্পনা অনেকেরই। এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করছে নতুন স্বপ্ন, নতুন সম্ভাবনা। সময়টা এখন প্রযুক্তির। প্রযুক্তি এখন জীবনের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির ওপর ভর করে। প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা মানেই পিছিয়ে পড়া। প্রযুক্তির বিশ্ববাস্তবতায় তাই অনেকেই আইটি শিক্ষায় উৎসাহিত হচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে নিত্যনতুন বিষয় যোগ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা ব্যবস্থায়। আসুন জেনে নেই তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার গড়ার বিস্তারিত।
শিক্ষা পদ্ধতি : এ শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে ফাইনাল পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র পরীক্ষিত হয় যুক্তরাজ্যে। এর যাবতীয় ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় ডিআইএতে।
সার্টিফিকেট : এ শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্তরাজ্যের গ্রীনিচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিএসসি অনার্স ইন বিজনেস ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
ক্রেডিট ট্রান্সফার : যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের সহস্রাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে ডিআইএ হতে ২ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ক্রেডিট ট্রান্সফার করে যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে এবং অনেকেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছে।
মান নিয়ন্ত্রণ : ডিআইএ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ, অভিজ্ঞ শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ ফলাফল ও অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য যুক্তরাজ্যের এনসিসি এডুকেশন কর্তৃক বেস্ট পার্টনার ও একাডেমিক এক্সিলেন্স এওয়ার্ড অর্জন করেছে যা দেশের জন্য একটি বিরল সম্মান। পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রের জন্য রয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইউনিভার্সিটি অব গ্রীনিচ ও এনসিসি এডুকেশন, ইউকে।
ভর্তির যোগ্যতা : যে কোন গ্রুপে এইচএসসি/এ লেভেল অথবা সমমান পাস। তাছাড়াও ৪ বছর মেয়াদি কম্পিউটার ডিপ্লোমাধারীরা দুই বছরে বিএসসি (অনার্স) ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি প্রোগ্রামটি সম্পন্ন করতে পারবে।
খরচ : যুক্তরাজ্যে একই প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে যেখানে ৮০-৯০ লাখ টাকা খরচ, সেখানে বাংলাদেশে একই প্রোগ্রাম মাত্র ৮ লাখ টাকা খরচ হয়, যা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়।
চাকরি : পাসকৃত গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের হার শতভাগ। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর একজন শিক্ষার্থীও বেকার নেই। তাছাড়াও ডিআইএর শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল গ্রুপের ২৫টি প্রতিষ্ঠানে এবং বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারী, বেসরকারী ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত আছে। ডিআইএর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচালিত সফটওয়্যার ফার্মে কাজ করার বিশেষ সুযোগের পাশাপাশি শিক্ষাকালীন অবস্থায় আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। উল্লেখ্য, ডিআইএ থেকে পাসকৃত বহুসংখ্যক শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে, যা দেশের আর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে।
ক্যাম্পাস : ডিআইএতে রয়েছে কয়েক হাজার বই সংবলিত আধুনিক লাইব্রেরি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে ওয়াইফাই ক্যাম্পাস জোন ব্যবহারের সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে শতাধিক কম্পিউটার সংবলিত আধুনিক ল্যাব।
স্কলারশিপ : মেধাবী ও অসচ্ছলদের জন্য রয়েছে ১০%-১০০% পর্যন্ত ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন কর্তৃক স্কলারশিপের সুবিধা। মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল শিক্ষকের সন্তান ও মেয়েদের জন্য রয়েছে বিশেষ স্কলারশিপের সুবিধা।
ভর্তির সেশন : ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিতে বছরে ৪ টি সেশনে (মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর) চাকরিজীবীরা সান্ধ্যকালীন শিফটে অংশগ্রহণ করতে পারে।
বিস্তারিত : ১৯/১, পান্থপথ, ঢাকা। ফোন: ৯১৩৮১৩৯, ০১৭১৩৪৯৩১৬৩
সূত্র: জনকন্ঠ