কোভিড প্রতিরোধ-বান্ধব ক্যাম্পাসে স্বাগত
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
প্রাণ চাঞ্চল্যে সব সময়ই মুখর থাকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে ক্লাস, করিডোর, ল্যাবরেটরি, লাউঞ্চ! কিন্তু সর্বদা এবং সর্বত্র কী মানা হয় স্বাস্থ্যবিধি? পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে সেই চিত্রই দেখা হলো এবার।
শিক্ষার্থীদের পরিহণের জন্য রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নিজস্ব বাস। যেসব বাসে করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে যাওয়া আসা করেন সেসব বাস প্রতিদিন একাধিকবার জীবানুমুক্ত করা হয়। আর বাসের ভিতর শিক্ষার্থীরা বসেন এক সিট পর পর নিরাপদ দূরত্বে।
এরপর বাস থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতেই প্রবেশ দ্বারে রয়েছে থার্মাল স্ক্যানার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নিরাপত্তারক্ষীরা থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর শারীরিক তাপমাত্রা পরিমাপ করেন এবং থার্মাল স্ক্যানারে স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রদর্শিত হলেই কেবল তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার অনুমতি পান। তারপর হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করার ব্যবস্থাও রয়েছে প্রবেশ দ্বারের সঙ্গেই।
প্রতিটি ক্লাসরুমে সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এক শিক্ষার্থী থেকে আরেক শিক্ষার্থীর বসার চেয়ার রয়েছে অন্তত ছয় ফুট দূরত্বে। ল্যাব ক্লাসগুলোতেও রয়েছে একই ধরনের শারীরিক দূরত্ব মেনে ক্লাস করার ব্যবস্থা।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সার্বক্ষণিক ডাক্তার নিয়োগ করেছে। শিক্ষার্থীদের যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে ড্যাফোডিলের ডাক্তারগণ সদা নিয়োজিত রয়েছেন। মহামারির এই সময়ে ঘরে বসে থাকতে থাকতে অনেক শিক্ষার্থীই হয়তো হয়ে পড়েছেন মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ। তাদের চিকিৎসার জন্য ও মানসিক উন্নয়নের জন্য রয়েছেন সার্বক্ষণিক মনোচিকিৎসক।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের ভিতরেই রয়েছে মেডিকেল সেন্টার ও হাসপাতাল। সেখানে অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধাই রয়েছে। জরুরি চিকিৎসা সেবা পেতে কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে যাতে ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে না হয়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা।
যদি বিশেষ প্রয়োজনে বাইরের কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য যেতেই হয়, সে ক্ষেত্রে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রয়েছে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স যা ২৪ ঘণ্টা সেবা দানের জন্য প্রস্তুত।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছে নিজস্ব মাস্ক। এছাড়া ফার্মেসী বিভাগ এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগ তৈরি করেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ফলে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও স্বাস্থ্যকর মাস্ক ব্যবহার করতে পারছেন। একইসঙ্গে ব্যবহার করতে পারছেন স্যানিটাইজার।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যেসব শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে রয়েছেন তারাও সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবাস করতে পারছেন। হোস্টেলেও রয়েছে সব ধরনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য প্রতিটি কক্ষে সামাজিক দূরত্ব মেনে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ডাইনিং রুমেও রয়েছে একই ধরনের সামাজিক দূরত্ব মেনে খাবার গ্রহণের ব্যবস্থা। এছাড়া রিডিং রুম, জিমনেশিয়াম, ওয়াসরুম, বেসিন, বাথরুমসহ সর্বত্র রয়েছে সামজিক দূরত্ব মেনে এবং মাস্ক পরিধান করে চলাচলের ব্যবস্থা। হলপ্রভোস্ট সহ সকল কর্মকর্তা ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভেতরেই রয়েছে ফুড কোর্ট, ক্যান্টিন ও গ্রিন গার্ডেন রেস্টুরেন্ট। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরেই খেতে পারেন সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
এক ঝাঁক পরিচ্ছনতাকর্মী রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তারা দেড় শ এককেরর সুবৃহৎ ক্যাম্পাস জীবানুনাশক ছিটিয়ে সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখেন। তারা পরিচ্ছন্ন রাখেন বনমায়া, অডিটোরিয়াম, ইনোভেশন ল্যাব, লাউঞ্জ ও হলের প্রতিটি স্থানও। ড্যাফেডিল ক্যাম্পাসকে একটি স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাসে পরিণত করতে এই পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের রয়েছে অনেক অবদান।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য চাই নিয়মিত খেলাধুলা আর শরীরচর্চা। এ দুটি প্রয়োজনই শিক্ষার্থীরা অনায়াসে মেটাতে পারেন ক্যাম্পাসের সুবিশাল মাঠে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিনই তারা খেলাধুলা করেন এই মাঠে। যেতে হয় না ক্যাম্পাসের বাইরে।
ক্যাম্পাসের ভেতরেই রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বিশাল আকারের মসজিদ। শিক্ষার্থীরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন এখানে।
সুতরাং, ড্যাফোডিলের ক্যাম্পাস, কোভিড প্রতিরোধী ক্যাম্পাস। সবুজে ঘেরা স্বাস্থ্যকর এই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্বাগত। শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে সব সময় মুখরিত থাকুক প্রিয় এই প্রাঙ্গন।