ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে খুলেছে আজ

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে খুলেছে আজ

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুয়ার খুলেছে আজ। প্রাণচঞ্চল উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় অবস্থিত প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর এই ক্যাম্পাস। করোনা অতিমারির কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ১৮ মাস সশরীরে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকার সময়েও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম সচল ছিল। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করেছে আর দ্বিতীয় ডোজ  নিয়েছে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী । বাকী ২০ % শিক্ষার্থীর নিবন্ধন প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শশরীরে ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নেয়।  

শনিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গোলাপ ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। শিক্ষার্থীদের আগমনকে স্মরণীয় করতে কাটা হয় ৩০ কেজি ওজনের কেক। সঙ্গে বেজে ওঠে ব্যান্ড পার্টির মূর্ছনা। বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীর আগমণে বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সকলের পরনে শোভা পায় নতুন পোশাক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়।

জেনারেল এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অনুজ কুমার চক্রবর্তী বলেন, একদিন হঠাৎ এক নোটিশ এসে আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। আজকের দিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মিলনের, পরস্পরের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির দিন।

সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সে পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজুর সঞ্চালনায় ফল সেমেস্টারের শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজ এক নতুন দিনের সূচনা হলো। করোনা মহামারীসৃষ্ট শিক্ষাসংক্রান্ত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তোমাদের উদ্যম ও শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর ও নিবন্ধক বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্লাব ও সংগঠন নিজ নিজ সংগঠনের কার্যক্রমের প্রদর্শনী করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মঈন আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন যাবত অপেক্ষায় ছিলাম সশরীরে ক্লাসের। আজ আমাদের উৎসবের দিন।

Sharing is caring!

Leave a Comment