ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্কের ৭১ মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চূয়ালি উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. হেলাল উদ্দীন, এনডিসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত করেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক কে এম পারভেজ ববি ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মানসিকতার। চাকরির নিয়োগদাতারা বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করে দেন স্নাতক পাশ লাগবে। অথচ দেখা যায় ওই কাজের জন্য স্নাতক পাশ হওয়ার দরকার নেই। দরকার হচ্ছে নির্দিষ্ট দক্ষতার। আবার আমাদের অভিভাবকদের মধ্যেও এমন ধারনা আছে যে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার মূল্য কম। তাই তারা গতানুগতিক ধারার অনার্স, মাস্টার্স পড়াতে চান সন্তানদেরকে। এই মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, বাজারচাহিদা এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হয়। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে বাজারচাহিদার সঙ্গে দ্রুত নিজেকে বদলে ফেলতে পারে প্রাইভেট সেক্টর। ড্যাফোডিল পরিবার সেভাবে নিজেকে বদলে নিয়েছে। আধুনিক কারিগরি শিক্ষা এবং ডিজিটাল শিক্ষার দিকে মনোযোগী হয়েছে। ড্যাফোডিল পলিটেকনিক আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষতানির্ভর শিক্ষা দিচ্ছে বলে তিনি ড্যাফোডিলকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মো. হেলাল উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে জনগোষ্টী। আমাদের জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি এখন তরুণ। এই তরুণদেরকে কর্মমূখী শিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এ ব্যাপরে সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। ড্যাফোডিল পলিটেকনিক সরকারের এই পদক্ষেপে সহায়তা করছে তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে। এজন্য তিনি ড্যাফোডিল পরিবারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এর আগে শিক্ষার্থীরা তাদেও নতুন নতুন উদ্ভাবনী নিয়ে একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের করে এবং সবশেষে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ হয়।