পুরকৌশলে পড়ি

পুরকৌশলে পড়ি

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যে ক’টি পেশা বেশি পছন্দ করে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং যার বাংলা নাম পুরকৌশল। বিএসসির পাশাপাশি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, এ পেশায় দ্রুত চাকরি হয় এবং বেতনও পাওয়া যায় বেশি।

পুরকৌশল কী ও কেন

পুরকৌশল হলো পেশাদার প্রকৌশল ব্যবস্থার একটি অন্যতম শাখা যেখানে নকশা, নির্মাণ কৌশল, বাস্তবিক বা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়, যার মধ্যে সেতু, রাস্তা, পরিখা, বাঁধ, ভবন ইত্যাদি নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। একে বলা হয় ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন এবং রক্ষণাবেক্ষনের প্রকৌশল বিজ্ঞান। সামরিক প্রকৌশল ব্যবস্থার পর পুরকৌশল হলো সবচেয়ে পুরাতন প্রকৌশল ব্যবস্থা।

পুরকৌশলীদের কাজ

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অফিস এবং মাঠ উভয় পর্যায়ে কাজ করতে হয়।

  • চুক্তিকারী এবং পরামর্শক ইঞ্জিনিয়ারদেরকে একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে হয়।
  • তাদেরকে দুর্যোগ প্রশমন এবং ব্যবস্থাপনার মত সংকটময় পরিস্থিতির সমাধানও করতে হয়।
  • নির্মাণ প্রকৌশলীরা তেল রিগস, বহুতল বিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা অথবা বাড়ির নকশা এমন ভাবে তৈরি করেন যাতে নির্মাণ কাঠামোটি যে ভার বহনের জন্যে তৈরি করা হয়েছে তা নিশ্চিৎ করা যায়। তারা নতুন নতুন নির্মাণ সামগ্রী ও কৌশল উদ্ভাবন করে থাকেন যেমন- বিশেষ ধরণের সেতু কাঠামো ও বিশেষ ধরণের বিল্ডিং কাঠামো ইত্যাদি।
  • পানি ব্যবস্থাপনা ইঞ্জিনিয়াররা পানি সরবরাহ, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রনের উপর বিশেষভাবে পারদর্শী হয়ে থাকেন।
  • হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারগণ সাধারণতঃ রাস্তা ঘাটের পুননির্মাণ, ট্রাফিক লাইট, গলি, পার্কিং স্পেস ইত্যাদির পরিকল্পনা তৈরি করে থাকেন। হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারগন প্রধানত রাস্তা নির্মান এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজের সাথে জড়িত।

পুরকৌশলীদের কর্মক্ষেত্র

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে সরকারী এবং বেসরকারী সেক্টরের বিভিন্ন বিভাগে প্রচুর পরিমাণ নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশেষ করে, রাস্তা হাইওয়ে, সেতু, বাধ, খাল, ফেরিঘাট এয়ারপোর্ট, হাউজিং কমপ্লেক্স, মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির নকশা, নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ গুলোর চাহিদা বেশি। তাছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা পণ্যের গুণগত মান নির্ণয় ল্যাবরেটরির কাজ, সেনাবাহিনী বা প্রতিরক্ষার চাকরি বা পরামর্শকের কাজও করে থাকেন।

তাদের কাজের ক্ষেত্র :
১. সড়ক ও জনপদ
২. গণপূর্ত বিভাগ
৩. রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান
৪. নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
৫. পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান
৬. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এনজিও প্রতিষ্ঠান

কোথায় পড়া যেতে পারে

পুরকৌশল বিষয়ে দেশের বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), কুয়েট, এমআইএসটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।

কেমন যোগ্যতা চাই

চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে তারা এই বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ও অন্যান্য নিয়ম ভিন্ন। তাই যার যে বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্যাবলী জেনে নিতে হবে।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment