কল সেন্টারে ৫০০ কর্মী নেবে

কল সেন্টারে ৫০০ কর্মী নেবে

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক 

তরুণদের মধ্যে পছন্দসই খণ্ডকালীন চাকরির যত ক্ষেত্র আছে, কল সেন্টার তার অন্যতম। বাংলাদেশে প্রথম কল সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র ৩০০ জন কর্মী দিয়ে, কিন্তু কয়েক বছর যেতে না-যেতেই এই খাতে কর্মী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় কয়েক হাজারে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) হিসাবমতে, বর্তমানে শুধু তাদের সদস্যই রয়েছে ৮৫টি কোম্পানি, যেখানে কাজ করছেন প্রায় ৩০ হাজার কর্মী। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির কারণে দেশে কল সেন্টারের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি পড়াশোনার পাশাপাশি সুবিধামতো সময়ে কাজের সুযোগ থাকায় প্রতিনিয়তই এই খাতে তরুণদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে বলে জানান বাক্যর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। তিনি আরও বলেন, কল সেন্টারের সংখ্যা বর্তমানে বাড়তে থাকায় প্রতি মাসেই দেশের বিভিন্ন কল সেন্টারে কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে, যা একটি চলমান প্রক্রিয়া। যার ধারাবাহিকতায় আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিট ২০১৬ উপলক্ষে বাক্যর তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন কল সেন্টারে প্রায় ৫০০ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
* কাজের ধরন
গ্রাহকদের কাছে ফোনে মার্কেটিং করে পণ্য বিক্রি করা অথবা বিক্রয় করা পণ্য সম্পর্কে যেকোনো সেবা নিশ্চিত করা, জিজ্ঞাসা, সমস্যার সমাধান দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলোই করে থাকেন কল সেন্টারের প্রতিনিধিরা। কল সেন্টারের কাজগুলোকে মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ভয়েস এবং নন-ভয়েস সার্ভিস। ভয়েস সার্ভিসে ফোনে বা অন্য কোনো মাধ্যমে গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের জিজ্ঞাসা এবং সমস্যার সমাধান দিতে হয়; অন্যদিকে নন-ভয়েস সার্ভিসে অন্যান্য কাজ করা হয়, যেমন ডেটা এন্ট্রি, কাস্টমার ভেরিফিকেশন ইত্যাদি। ভয়েস সার্ভিসে আমাদের দেশের কল সেন্টারগুলো স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক—এই দুই ধরনের সেবা দিয়ে থাকে।

কল সেন্টারের ধরন এবং তারা যে সেবা দেয়, তার ওপর মূলত নির্ভর করে আবেদনকারীর শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা। কল সেন্টারের বেশির ভাগ কাজই হলো খণ্ডকালীন, তবে খণ্ডকালীন চাকরির পাশাপাশি পূর্ণকালীন কাজের জন্যও কল সেন্টারগুলোতে প্রচুর লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। আর তাই কল সেন্টারে খণ্ডকালীন এবং পূর্ণকালীন চাকরির জন্য যোগ্যতাগুলোও আলাদা হয়ে থাকে। কল সেন্টারে খণ্ডকালীন চাকরির জন্য আবেদন করতে আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কলেজে অনার্স বা ডিগ্রি পড়ুয়া হতে হবে এবং পূর্ণকালীন চাকরির জন্য আবেদন করতে আবেদনকারীকে কমপক্ষে স্নাতক হতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর পূর্বে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি আবেদনকারীকে শুদ্ধ করে বাংলায় কথা বলা, সুন্দর উপস্থাপনা, কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকা, স্মার্ট, উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি বাড়তি যোগ্যতাও থাকা জরুরি বলে জানান তৌহিদ হোসেন।

কল সেন্টারে খণ্ডকালীন ও পূর্ণকালীন চাকরির আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে অনলাইনে www.bikroy.com/bposummitbangladesh এই লিংকে গিয়ে যে পদের জন্য আবেদন করবেন, সেখানে ক্লিক করে যথাযথভাবে নিজের নাম, ফোন নম্বর ও মেইল অ্যাড্রেস দিয়ে জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ২০ জুলাই ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত।

আগ্রহী প্রার্থীদের কাছে থেকে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার পর সেখান থেকে বাছাই করা প্রার্থীদের ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হবে। সেখানে প্রয়োজনভেদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদের হাতে আগামী ২৭ ও ২৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠেয় বিপিও সামিট ২০১৬ অনুষ্ঠানে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে।

কল সেন্টারে কাজের ধরন ও ক্ষেত্রভেদে বেতন ওঠানামা করে। তবে খণ্ডকালীন চাকরির ক্ষেত্রে বেতন ৮ হাজার থেকে ১৫ হাজার এবং পূর্ণকালীন চাকরির ক্ষেত্রে বেতন ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানান বাক্যর এক্সিকিউটিভ কো-অর্ডিনেটর আবদুর রহমান শাওন। এ ছাড়া কল সেন্টারে কর্মরত কর্মীরা নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি সেলস বোনাস, পারফরম্যান্স বোনাস ইত্যাদি নানা সুবিধা পেয়ে থাকেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)

২৪২/এ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোড, ঢাকা-১২০৮।

ওয়েবসাইট: www.bacco.org.bdfavicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment