কর্মমুখী যত বিষয়

কর্মমুখী যত বিষয়

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে একটু আলাদা। সব বিষয়ই কর্মমুখী। এইচএসসি পাশের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। এসএসসির পরই ভর্তি হওয়া যায় এসব চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আছে প্রায় ৫০টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, যেখানে এ কোর্সে ভর্তির সুযোগ আছে। এ ছাড়াও আছে প্রায় এক শটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।

ভর্তির যোগ্যতা
চার বছর মেয়াদি এ কোর্সে আবেদন করতে হলে এসএসসিতে কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ পেতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিতে থাকতে হবে জিপিএ ৩.০০। অন্যান্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ বিজ্ঞান বা সাধারণ গণিতে থাকতে হবে জিপিএ ৩.০০। পড়ানো হয় দুই শিফটে। প্রথম শিফটে আবেদন করতে পারে চলতি বছর এবং পূর্ববর্তী দুই বছরে পাস করা শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় শিফটে যেকোনো বছর পাস করা শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারে। ৫০ নম্বরের লিখিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি থেকে ১৫ নম্বর, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থেকে ১৫ নম্বর, গণিত থেকে ১৫ নম্বর এবং সাধারণ জ্ঞান ৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। এসএসসির জিপিএকে ১০ দ্বারা গুণ করে প্রাপ্ত স্কোরের সঙ্গে লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হয়।

কর্মমুখী যত বিষয়
আর্কিটেকচার, অটোমোবাইল, কেমিক্যাল, সিভিল, সিভিল (উড), কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, ফুড, পাওয়ার, মেকানিক্যাল, প্রিন্টিং, গ্রাফিক ডিজাইন, গ্লাস, সিরামিক, ইলেকট্রো-মেডিক্যাল, মেরিন, শিপবিল্ডিং, সার্ভেয়িং, মেকানিকস, কনস্ট্রাকশন, টেলিকমিউনিকেশন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং, ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল, ডেটা টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং, এয়ার ক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (এরোস্পেস), এয়ার ক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজি পড়ানো হয়। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে আসনসংখ্যা ৪০ থেকে ১৬০। তবে অনেক ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

পড়তে চাইলে কৃষি প্রকৌশল
দেশের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোয় চালু আছে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর, গাইবান্ধা, পাবনা, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা, গাজীপুর, শেরপুর, সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি জেলায় একটি করে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আছে। ইনস্টিটিউটভেদে আসনসংখ্যা ১০০ থেকে ২৫০। আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৩.০০, অন্য বিভাগের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত বা সাধারণ বিজ্ঞানে গ্রেড পয়েন্ট-২.০০সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ থাকতে হয়।

পড়া যাবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাহিদা অনেক। দিনাজপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহে আছে সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট। প্রতিটি ইনস্টিটিউটে আসন আছে ৮০টি। বেসরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটেও আছে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ। ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা কোর্স করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

হেলথ টেকনোলজি
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত ৪০টির মতো প্রতিষ্ঠানে হেলথ টেকনোলজি বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। ডেন্টাল, পেশেন্ট কেয়ার, ফিজিওথেরাপি, ফার্মা, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং, ইন্টিগ্রেটেড ও ল্যাবরেটরি টেকনোলজি পড়ানো হয় তিন বছর মেয়াদি কোর্স। ভর্তি হতে চাইলে এসএসসিতে সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে গ্রেড পয়েন্ট-২.০০সহ (অথবা ৪০ শতাংশ নম্বর) কমপক্ষে জিপিএ ২.০০ (অথবা দ্বিতীয় বিভাগ) থাকতে হবে। যেকোনো বর্ষে পাস করা শিক্ষার্থী এতে ভর্তি হতে পারে।

আরো জানতে
এসএসসির পর ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হতে চাইলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই। ভর্তিসংক্রান্ত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ইনস্টিটিউটে। ওয়েবসাইটেও (www.bteb.gov.bd) পাওয়া যাবে দরকারি তথ্য।

সূত্র: কালের কণ্ঠfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment