ফার্স্ট ইম্প্রেশন বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ

ফার্স্ট ইম্প্রেশন বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

ইংরেজিতে ‘ফার্স্ট ইম্প্রেশন ইজ দ্য লাস্ট ইম্প্রেশন’, মানে প্রথম দর্শনই মুখ্য। তাই সব সময় সতর্ক থাকুন, তবে ঘাবড়াবেন না। চিন্তামুক্ত থাকুন, দীর্ঘশ্বাস নিন। মাথা থেকে সব ধরনের দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সুন্দর হাসিমুখ নিয়ে কাজে মেতে থাকুন।


থাকুন কনফিডেন্ট : ভালো ইম্প্রেশন তৈরি করার আসল চাবিকাঠি কনফিডেন্স। তাই সব সময় আত্মবিশ্বাস রাখুন। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকলে, অন্যদের আপনার প্রতি বিশ্বাস জন্মাতে সময় লাগবে না। তাই অফিস হোক বা কোনো গেটটুগেদার থাকুন কনফিডেন্ট। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কিন্তু ভালো নয়। হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ।

সব সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন : যে কোনো পরিস্থিতিতে শান্ত থাকুন। কোনো সমস্যায় পড়লে বুদ্ধি কাজে লাগান। মেজাজ কাবুতে রাখতে পারলে, উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে অনেক বড় সমস্যারও সমাধান করা সম্ভব।

থাকুন নিজের মতো : আপনি স্বতন্ত্র। তাই আপনি আপনার মতো থাকুন। শুধু অন্যকে ইমপ্রেস করার জন্য অন্য মানুষ হয়ে যাবেন না। যার আপনাকে পছন্দ করার সে, আপনি যেমন, সেভাবেই পছন্দ করবে। তাই সক্রিয়তা হারাবেন কখনো।

বডি ল্যাংগুয়েজ : কথাবার্তা বলার সময় আমাদের দেহও কথা বলে। তাই নিজেকে উপস্থাপন করতে টনিকের কাজ করে আপনার বডি ল্যাংগুয়েজ। সবক্ষেত্রেই বডি ল্যাংগুয়েজ খুব জরুরি। একটু সচেতন হয়ে যদি বদলে ফেলা যায় এই বডি ল্যাংগুয়েজগুলো তাহলে সহজেই নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন অন্যের ওপর। আপনার ব্যক্তিত্ব যেন সৌম্য হয়। কোনো পরিস্থিতিতেই রুঢ় হবেন না। বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবেন সবার সঙ্গে। মাথায় রাখবেন সবাই এক রকম নয়। যার সঙ্গে কথা বলছেন তিনি যেমন, সেটা মাথায় রেখে মিশুন।

স্বাভাবিক থাকুন : সব সময় স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। কিছু বদ অভ্যাস যেমনÑ নখ খাওয়া কিংবা বারবার চুলে আঙুল চালানো কিন্তু আপনার আত্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে প্রশ্ন তোলে। এমন কিছু করবেন না, যাতে অন্যরা দেখামাত্র বুঝে যায় আপনি অস্থির হয়ে পড়ছেন, হারাচ্ছেন আত্মবিশ্বাস।

ইংলিশ ইজ মাস্ট : সবাই আপনার নেটিভ ল্যাংগুয়েজ কিংবা আঞ্চলিক উচ্চারণ নাও বুঝতে পারে। তাই প্রমিত ভাষায় কথা বলুন। তাছাড়া করপোরেট দুনিয়ায় ইংরেজি খুব জরুরি। তাই আপনার স্পোকেন ইংলিশ যেন ভালো হয়, সেটা মাথায় রাখুন। আধ ভাঙা ইংরেজি বললে খুবই বাজে ইম্প্রেশন তৈরি হয়।

নিজের সেরাটা দিন : ‘আগামীকাল’ কখনো আসে না। তাই প্রতিদিন নিজের সেরাটা দিন। যতটা ভালোভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন ততটা ভালো করে তুলে ধরুন। সেটা জামাকাপড় হতে পারে, সাজসজ্জা হতে পারে। ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এটা শতভাগ প্রযোজ্য।

থাকুন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন : খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। রোজ গোসল করা কিংবা ব্রাশ করার কথা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। তবে পারফিউম ও মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। পরিষ্কার জামাকাপড় পড়বেন। নেশা করে কোথাও না যাওয়াই ভালো।

হাসিমুখ : সব সময় হাসিখুশি থাকুন। আপনি হাসিখুশি থাকলে তা আপনার ব্যক্তিত্বয় অন্য মাত্রা এনে দিতে পারে। তাই মন ভালো রাখুন।

ফোকাস ঠিক রাখুন : আপনার ফোকাসটা ঠিক রাখুন। যার সঙ্গে কথা বলছেন আপনার ফোকাস তার দিকেই রাখুন। অন্যমনস্ক হবেন না। এমন করলে আপনার সম্বন্ধে বাজে ধারণা জন্মাবে।

কথা বলতে দিন : শুধু আপনিই বলে যাবেন। অন্যদের কথা শুনবেন নাÑ এমন কখনো করবেন না। অন্যদেরও কথা বলার সুযোগ দিন। তাদের কথার মাঝখানে ইন্টারাপ্ট করবে না। জাহির করতে যাবে না আপনার ‘জ্ঞান’। তাহলে পরের বার সে আপনাকে এড়িয়ে যাবে।

ইন্টারেস্টিং : নিজেকে জ্ঞানী বোঝানোর জন্য কোনো মাথামু-ু না রেখে যা ইচ্ছা বলে গেলেন, সেটা কখনো কারো মনে ভালো প্রভাব ফেলতে পারে না। তাই নিজের কথা মার্জিত করুন এবং কথোপকথনকে ইন্টারেস্টিং করুন। তাহলেই দেখবেন আপনার ইম্প্রেশন জমছে। favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment