অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং- সফল হবার কিছু কার্যকরী টিপস !

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং- সফল হবার কিছু কার্যকরী টিপস !

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing) যদি বাংলায় বলতে যাই তা হল দালালি বা কমিশনে কাজ করা । দালালরা যা করে তা হল দুটি পক্ষের মধ্যে কথা বা কোন একটি চুক্তি করিয়ে দিবে তার জন্য্ তারা কমিশন নিবে। আ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও একই। আপনি তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিবেন । তারা এর জন্য আপনাকে কমিশন দিবে। অর্থাৎ  কমিশন ভিত্তিক বিক্রয় প্রক্রিয়াটাই হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

অ্যামাজন হল একটি জায়েন্ট ই-কমার্স সাইট । আপনার বা আপনার সাইট এর রেফারেন্স দিয়ে যদি অ্যামাজন এর প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেন তাহলে আপনি কিছু কমিশন পাবেন । এটিই হল অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Amazon Affiliate Marketing) ।  অ্যমাজন এসোসিয়েট প্রোগ্রামই অ্যমাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম।

প্রফিটেবল নিস বাছাই করা- আপনাকে শুরু করতে হবে একটি প্রফিটেবল নিশ বাছাই করার মাধ্যমে। নিশ বাছাই করার সময় আপনার জানাশুনা, এবং কাজ করতে পারবেন এমন বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া ভালো কাজে লাগে। তবে যখন আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন তখন অবশ্যই চেষ্টা করবেন যেন আপনার কিওয়ার্ডটা বাইং বা কল টু অ্যাকশন কিওয়ার্ড হয়। আর সার্চ ভলিওম টা দেখবেন ইউ এস এ ভিত্তিক। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। কারন এখানকার মানুষ সব থেকে বেশি কেনাকাটা করে আর তাই আপনাকে এই লোকেশন টার্গেট করতে হবে।


প্রোডাক্ট বাছাই করা- আপনি যখন কোন প্রোডাক্ট বাছাই করবেন তখন একটু দেখে নিবেন যে সেই প্রোডাক্টটি এভারগ্রীন প্রোডাক্ট কিনা। মানে আপনি যে প্রোডাক্ট সিলেক্ট করছেন সেটি অন্তত বছর ২ একেক বাজারে চলবে কিনা। যেমন একটি নিদিষ্ট ব্রান্ডের জুতা বা এমন কিছু। তা না হলে দেখা যাবে যে, যেই প্রডাক্টটা বাছাই করলেন ওটার চাহিদা ইউজারের নিকট কমে যাবে।  তাই চেষ্টা করুন এভারগ্রীন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে।

প্রোডাক্ট রেটিং- অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি যে প্রোডাক্ট গুলো প্রোমোট করবেন সেগুলোর রেটিং যেন ভালোহয়।  মিনিমাম ৪.০  থাকে আর ম্যাক্সিমাম তো ৫। আর পজিটিভ ইউজার রিভিউ যেন মিনিমাম ৫+ থাকে।

প্রোডাক্ট রিভিউ- আপনার প্রোডাক্ট রিভিউটা এমন হতে হবে যেন আপনি নিজে সেই প্রোডাক্টের ক্রেতা আর আপনি আপনার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে রিভিউ লিখছেন। তাহলে দেখবেন আপনার সেল ভালো হবে আর আপনার সাইটের প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বাড়বে।

প্রোডাক্ট প্রাইস- প্রোডাক্ট প্রাইজ এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি খুব কম দামের প্রোডাক্ট প্রোমোট করেন তবে সেগুলা সেল হলে আপনি খুব বেশি লাভবান হবেন না আবার আপনি যদি তুলনামুলক বেশি দামের প্রোডাক্ট প্রোমোট করেন তবে আপনার সেল অনেক কমে যাবে। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন যেন প্রোডাক্ট প্রাইজ ক্রেতা সাধারণের হাতের নাগালের ভেতরে থাকে। আর আমি  ব্যক্তিগতভাবে  ৬০ ডলার থেকে ২০০ ডলার মূল্যের প্রডাক্ট প্রমট করি।

নতুন আইডিয়া বের করা- আপনি আপনার প্রোমোট করা প্রোডাক্ট গুলা ভালো করে মনিটর করবেন আর খেয়াল করবেন যে কোন কোন প্রোডাক্ট বেশি সেল হচ্ছে। তখন যেগুলো বেশি সেল হবে সেগুলো নিয়ে বেশি বেশি কাজ করবেন বা ওইরকম প্রোডাক্ট আরও বেশি করে প্রোমোট করবেন।

favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment