ব্যবসা সফল করতে ‘স্মার্ট’ উপায়

ব্যবসা সফল করতে ‘স্মার্ট’ উপায়

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক 

আজকের তরুণ সমাজের মধ্যে ব্যাপক বিপ্লব ঘটিয়েছে অনলাইন ব্যবসা। কেউ আর বেকার নেই এখন। ফেসবুকের কল্যাণে বিনা পয়সায় ব্যবসার পেজ খোলা যায়। শুধু পণ্যের খরচ। দোকান ভাড়া নেই, লোক রাখার খরচা নেই। অনেকে এমন কি পণ্য কেনেন ও না। অনলাইন থেকে ছবি নিয়ে সেই ছবিই দিয়ে দেন পেজে। অর্ডার হলে বানিয়ে দেন।

কিন্তু সবার ব্যবসা কি ভালো চলে? প্রতিযোগিতার বাজারে সবাই কি টিকে থাকে? টিকে থাকে তারাই যাদের আছে নির্দিষ্ট লক্ষ্য। কিভাবে নির্ধারণ করবেন নিজের ব্যবসার সেই টার্গেট? মাত্র ৫ টি উপায়ে ঠিক করে নিন আপনার ব্যবসার ভবিষ্যত।

এই পাঁচটি উপায় লুকিয়ে আছে ‘SMART’ শব্দে!

                             Specific
                             Measurable
                             Attainable
                             Realistic
                             Timely
Specific-নির্দিষ্টতা:
একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য যে কোন সাধারণ লক্ষ্যের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হয়। ব্যবসার লক্ষ্য হয় সুদুরপ্রসারী। আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি ১ বছরে কতটুকু এগোতে চান। আপনার মূলধন কত দিনে তুলে আনবেন।  সব কিছুই হতে হবে নির্দিষ্ট। ভাসা ভাসা চিন্তা থাকলে হবে না। মাত্র ৬ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজের ব্যবসাকে করে তুলুন Specific.
 ১। কে?
আপনার ব্যবসার  টার্গেট কাস্টমার কে? কিছু মানুষ ওয়েষ্টার্ন পণ্য পছন্দ করে, কিছু মানুষ পছন্দ করে দেশী পণ্য। কারো আবার রেপ্লিকায় ঝোঁক বেশী। যারা পড়াশোনা করছে, টিনেজার তাদের পছন্দ একরকম আবার চাকরিজীবী নারী কাস্টমারের পছন্দ আলাদা। সৌখিন পণ্যের একদল কাস্টমার আছে, আবার কিছু মানুষ শুধু দরকারি পণ্যে আগ্রহী। আপনাকে একটি গ্রুপ ঠিক করতে হবে যে কাদের জন্য আপনি পণ্য তৈরী করবেন, কারা হবে আপনার ক্রেতা। বিভিন্ন রকম পণ্য তৈরি না করে এবার শুধু তাদের জন্য পণ্য তৈরি শুরু করুন।
২। কি?
আপনি কি চান! আপনাকে জানতে হবে আপনি কি চান। আপনি কি অনেক পণ্য বিক্রী করতে চান? কতগুলো পণ্য, সংখ্যাটা ঠিক করে ফেলুন। মাসে কয়জন নতুন কাস্টমার চান, ঠিক করে ফেলুন। খাতা কলমে লিখে রাখুন টার্গেট।
 ৩।কোথায়?
একটা নির্দিষ্ট লোকেশন দিন। যদিও আপনার পেজটি অনলাইনে তবু একটা ঠিকানা একে কাস্টমারের কাছে আরো বিশ্বস্ত করে তুলবে। একটি পিক আপ পয়েন্ট দিতে পারেন।
 ৪।কখন?
নিজেকে একটা সময় বেঁধে দিন। আপনার টার্গেট আপনি কত দিনে সম্পন্ন করবেন ঠিক করে ফেলুন। নিজের পেজ টিকে প্রতিযোগিতার বাজারে অনন্য করে তুলতে চান কতদিনে, লিখে ফেলুন।
 ৫।কেন?
ব্যবসার একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকা জরুরী। একটি সাধারণ লক্ষ্যে আপনি হয়ত ভাববেন, অর্থ উপার্জন করতে হবে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আপনার ভাবনা হবে, প্রতিমাসে আমাকে এত টাকা যে করেই হোক উপার্জন করতে হবে। নিজের মধ্যে এই তাড়না থাকা জরুরী।
Measurable-পরিমাপযোগ্য:
আপনার নির্দিষ্ট সময়ে অর্জন করার জন্য যে লক্ষ্য আপনি ঠিক করলেন তা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছেন সেটা প্রতিদিন পরিমাপ করা জরুরী। সবচেয়ে ভালো কাজ রোজ মাইক্রোসফট এক্সেলে সবকিছু লিখে রাখা, আগের দিনের কাজের সাথে তুলনা করা এবং মাসিক লক্ষ্য অর্জন হতে আপনি আর কতাটা দূরে তা পরিমাপ করা।
Realistic-বাস্তবসম্মত:
আপনার লক্ষ্যটি অবশ্যই বাস্তবসম্মত হতে হবে। আপনি যদি ব্যবসার শুরুতেই একটি বড় সংখ্যার কাস্টমার পাওয়ার টার্গেট করেন বা আপনার পণ্যটি সবাই গ্রহণ করবে বা জনপ্রিয় হয়ে যাবে মাত্র ১ মাসে এমনটি ধরে নেন, তাহলে হতাশ হবেন। আবার আপনার পণ্য যদি এতই ব্যতিক্রম হয় যা মানুষ আগে কখনো ব্যবহার করে নি তাহলে সেই পণ্য মার্কেট অবশ্যই অনেক সময় লাগবে এবং পণ্যের সাথে মিলিয়েই আপনাকে সময় এবং আয় এর লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।
Timely-সময়মত:
প্রত্যেকটি কাজই সময়মত শেষ করতে হবে। কাজ ফেলে রাখলেই আপনি বিপদে পড়বেন। মনে রাখবেন স্মার্ট ফোনের যুগে এক পেজ থেকে সরে অন্য পেজে যেতে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। তাই কাস্টমারকে সময়মত রেস্পন্স করুন, তার চাহিদা মত পণ্য সাজান, পৌছে দিন।

SMART Goal ঠিক করার পরদিন থেকে আপনার কাজের ধরণ বদলে যাবে। আপনার ব্যবসাটি একটি নির্দিষ্ট স্ট্রাকচারে চলে আসবে। আপনার লক্ষ্যই আপনাকে পথ দেখিয়ে নেবে। আজকের ছোট্ট অনলাইন পেজটি একদিন হবে Brand Shop.favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment