বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ, সঙ্গে বৃত্তি

বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ, সঙ্গে বৃত্তি

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

সম্ভাবনাময় হালকা প্রকৌশল শিল্পের হাজার হাজার কারখানার জন্য দক্ষ জনবল গড়তে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বাইওয়া-লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। যাঁরা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশিক্ষণ নেবেন, তাঁরা মাসিক ভিত্তিতে বৃত্তি পাবেন। এমনকি প্রশিক্ষণের পরে প্রশিক্ষণার্থীদের চাকরি পেতে সহায়তা করে ইনস্টিটিউটটি।

২০১৫ সালের এপ্রিলে যাত্রা শুরু করে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটটি। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির অধীনে পরিচালিত এই ইনস্টিটিউটে মাস্টার ক্রাফটসম্যানশিপ (আপ-স্কিলিং), লেদ ও মিলিং মেশিন অপারেশন, ওয়েল্ডিং, ক্যাড-ক্যাম ডিজাইন, সিএনসি অপারেশন, ইলেকট্রিক্যাল, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

নতুনদের পাশাপাশি বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত শ্রমিকেরাও দক্ষতা বাড়াতে এই ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। দক্ষতা বাড়ানোর কোর্সটি ১৫ দিনের। নতুনদের জন্য সাতটি কোর্সের মেয়াদ ৪ থেকে ১২ মাস। এ জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে অষ্টম শ্রেণি পাস। দক্ষতা বৃদ্ধির কোর্সে দেড় হাজার ও অন্য কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়।

পুরান ঢাকার ওয়ারীর ফোল্ডার স্ট্রিটে প্যারাডাইজ ভবনে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয়। শাখা কার্যালয় আছে লক্ষ্মীবাজার ও গেন্ডারিয়ায়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেপ) প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি গড়ে উঠেছে। প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক কম্পিউটার এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে।

বাইওয়া-লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এনামুল হক খান বলেন, ‘ইনস্টিটিউট থেকে ঢাকার বাইরের শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর কোর্স পরিচালনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে এমন কারখানার সঙ্গে আমরা চুক্তি করি।’

মোহাম্মদ এনামুল হক খান আরও বলেন, ‘প্রকল্পের শর্তানুযায়ী এই ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৭০ শতাংশের চাকরির ব্যবস্থা করব আমরা। এখন পর্যন্ত সেটি আমরা করতে পেরেছি। এ ছাড়া দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বেতন বৃদ্ধি করতে চাকরিদাতাদের অনুরোধ করি আমরা।’

ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন কোর্সে তিন বছরে নয় হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে। আমরা সেই দিকে ভালোভাবেই এগোচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, হালকা প্রকৌশলশিল্পের কারখানাগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি চালানোয় দক্ষ শ্রমিকের অভাব আছে। আশা করছি, ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সেটি পূরণ হয়ে যাবে।’

পুরান ঢাকার পাশাপাশি কেরানীগঞ্জ, বগুড়া, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নীলফামারীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৪০ হাজার ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা আছে। বিভিন্ন বিসিক শিল্প এলাকা ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) হালকা প্রকৌশলশিল্পের মাঝারি ও বড় কারখানা আছে। অনেক কারখানা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রিক পণ্য, বাইসাইকেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি রপ্তানি করছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫১ কোটি মার্কিন ডলারের প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি হয়।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment