সহজ পথে সাফল্য
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
চাকরির বাজারে অন্য চাকরিপ্রার্থীদের পেছনে ফেলতে চাইলে ভেতরে আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন। মনে রাখবেন, জীবনযুদ্ধে সব সময় শক্তিমান এবং দ্রুতগামীরা জয়ী হতে পারে না। যিনি আত্মবিশ্বাসে অটল থাকেন আজ হোক কাল হোক, তার জয় নিশ্চিত।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিল্প উদ্যোক্তা হেনরি ফোর্ড বলেন, ‘যদি মনে কর তুমি পারবে, কিংবা মনে কর তুমি পারবে না- দুই ক্ষেত্রেই তোমার বিশ্বাস সঠিক।’
- সুতরাং আত্মবিশ্বাস রাখুন- আপনি পারবেন এবং আপনাকে দিয়েই হবে। প্রথম সাক্ষাতেই চাকিরদাতার সামনে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বসুন। আর ভাবুন, যিনি আপনার সামনে বসে আছেন তিনি আপনার মতোই একজন। তিনি তার যোগ্যতা দিয়ে তার অবস্থান তৈরি করেছেন এবং সেটা তার আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। তিনি যদি মনে করতেন, তাকে দিয়ে হবে না তবে আজকের এই অবস্থানে তিনি কখনও আসতে পারতেন না। তারচেয়ে বড় কথা তিনি তার প্রতিষ্ঠানে এমন কাউকে নিশ্চয় নিয়োগ করতে চাইবেন না যার ভেতর কোনোরকম আত্মবিশ্বাস নেই। যিনি মনে করবেন, তাকে দিয়ে কিছু হবে না তাকে দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানেরও উন্নতি হতে পারে না। আর এমন কাউকে কোনো প্রতিষ্ঠান কখনও নিয়োগ দিতে উৎসাহী হয় না।
- অন্য প্রার্থীরা আপনার চেয়ে বেশি যোগ্য, তারা আপনার চেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেছেন, তাদের যোগাযোগ আপনার চেয়ে বেশি- সুতরাং এত বাধা অতিক্রম করে আপনার পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এ ধরনের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, আপনার সামনে যত বেশি বাধা, সুযোগও তত বেশি।
- কী করে ভেতরে আত্মবিশ্বাস তৈরি করবেন? আত্মবিশ্বাস তৈরির সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। আপনাকেই ভেতরের আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে হবে। এজন্য কিছু পদ্ধতি আপনি অনুসরণ করতে পারেন।
- মনকে স্থির রাখুন। কারণ অস্থিরতা আপনার শারীরিক ও মানসিক শক্তির ক্ষতি করে।
- ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করুন এবং নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করুন।
- আপনার জানার বা জ্ঞানের পরিধি বাড়ান। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখুন এবং ঘটনা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করুন।
- ইতিবাচক চিন্তা করুন। কারণ ইতিবাচক চিন্তা আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে দারুণভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।
- নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। এ ধরনের চিন্তা মানুষের ভেতর হীনমন্যতার জন্ম দেয়।
- অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন। অভিজ্ঞতা পাঠশালার মতো। এ পর্যন্ত যা অর্জন করেছেন তার সবটুকু কাজে লাগিয়ে বর্তমান সময়ের সিদ্ধান্তগুলো নিন।
- অতীতের ব্যর্থতাগুলো মন থেকে মুছে ফেলুন। কারণ ব্যর্থতা জীবনেরই অংশ। ব্যর্থতা হচ্ছে মুদ্রার এপিঠ। মনে রাখবেন, মুদ্রার অন্য পিঠে আছে সাফল্য।
- মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন। যত বেশি মানুষের সঙ্গে মিশবেন আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি তত বেশি পূর্ণ হবে। একই সঙ্গে নৈরাশ্যবাদী এবং মন্দ লোকদের সঙ্গ পরিহার করার চেষ্টা করুন। কারণ তাদের দ্বারা আপনিও প্রভাবিত হতে পারেন।
এভাবেই নিজেকে একজন পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী মানুষ রূপে গড়ে তুলুন। আর সেই পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই চাকরিদাতার সামনে হাজির হয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিন, যেন প্রথম দর্শনেই একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষকে দেখতে পান চাকরিদাতা। আর আপনার এ আত্মবিশ্বাসী ছবিটাই আপনাকে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে।