রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

রবিউল কমল : অফিসে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নিজের ব্যবহার এবং মেজাজের উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। রাগের সময়ও সংযত থেকে পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখার বিশেষ গাইডলাইন।


রাগ এমন একটি অনুভূতি যা প্রকাশ করলেও ক্ষতি, আবার নিজের মধ্যে চেপে রাখলেও কষ্ট। তাই রাগ হলে কীভাবে নিজেকে সামলাতে হবে সেটা জানা খুব দরকার। কারণ পরিবেশ-পরিস্থিতি সবসময় আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমন নয়। তারচেয়ে বরং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখাটা সহজ। বাড়ির থেকে কাজের জায়গায় বোধহয় এই নিয়ম বেশি প্রযোজ্য।

রাগের সময় আমরা এমন অনেক কিছু করি বা বলে ফেলি যা নিয়ে পরে আফসোস হয়। রাড়ির লোকের সাথে রাগারাগি হলেও তারা সবসময় এ কথা মনে রাখেন না। কিন্তু অফিসের ফর্মাল পরিবেশে নিজের রাগ সংযমের আওতায় না রাখলে, তার প্রভাব সরাসরি পড়ে কাজের উপর। হয়তো অফিসের ডিসিপ্লিনের উপরেও। এর একটাই সমাধান- অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট। কোনও কারণে রাগ জমতে শুরু করলে বা মাথা গরম হলে নিজেকে অন্যদের থেকে একটু দূরে সরিয়ে নিন।

যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন দশ মিনিটের ব্রেক নিন। এই সময়ের মধ্যে নিজের মনের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করুন। অনেক সময় আপাতদৃষ্টিতে অনেক কিছুই মনে হয় কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় এগুলো ভেবে দেখলে সব ভিত্তিহীন মনে হবে। রাগের কথা ভুলে কীভাবে রিঅ্যাক্ট করলে সহজে সমস্যার সমাধান হবে চা বা কফি খেতে খেতে তা ভাবুন। কিংবা কী কী কারণে রাগ হচ্ছে তা চটজলদি লিখে ফেলুন। দেখবেন অনেকটা হালকা লাগছে। আস্তে আস্তে রাগ কমে আসছে।

আপনি আপনার সঙ্গে নিশ্চয়ই আইপড বা মোবাইল রাখেন? নিজের আইপড বা মোবাইলে পছন্দের গান শুনুন। নিজের ডেস্কে বসে রিলাক্স করুন, দেখবেন মন ভালো হয়ে যাবে। সবসময় যে কোনও বিশেষ কারণে রাগ হয় তা নয়। অনেক সময় নিজের ব্যাক্তিগত পছন্দ বা অপছন্দের কারণেও রাগ হতে পারে। কিন্তু মনে রাখুন সেই অনুভূতিটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত। সেটা অফিসের সবার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এমন নয়। নিজের ভালো লাগা বা খারাপ লাগার মাপ কাঠিতে অন্যকে বিচার না করে অফিসের প্রেক্ষিতে বিচার করুন। তাহলে অবস্থাটা বিচার করা সহজ হবে। মনের ওপর চাপও কম পড়বে। অতিরিক্ত আবেগ ও অযৌক্তিক যুক্তির সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই করা ঠিক নয়। favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment