অটোক্যাড শিখি জীবন গড়ি
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
সারা বিশ্বে বর্তমানে বড় বড় স্থাপনার ডিজাইন প্রথমে কম্পিউটারের অটোক্যাডের মাধ্যমে করা হয় এবং ওই অনুযায়ী স্থাপত্য নির্মাণ করা হয়। নকশা ও প্রকৌশলের ক্ষেত্রে যে কোনো ছোট-বড় নিখুঁত বিষয় অটোক্যাড এর মাধ্যমে যাচাই করে নেওয়া হয় ফলে সময়, শ্রম ও অর্থের সাশ্রয় হয় বলেই সারাবিশ্বে এর চাহিদা বেড়েই চলছে।
যারা প্রকৌশলে ক্যারিয়ার শুরু করছেন বা করবেন অথবা আগে থেকেই এই ক্ষেত্রে আছেন তাদের প্রকৌশলী হিসেবে নিজস্ব কাজের ক্ষেএে অবস্থান দৃঢ় করার জন্য অটোক্যাড এর পরিপূর্ণ ব্যাবহার জানা অবশ্যই জরুরি।
অটোক্যাড কী
অটোক্যাড একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন প্রোগ্রামের নাম। অটোক্যাড সফটওয়্যারটি ব্যবহারকারীর অত্যন্ত বন্ধুত্বসুলভ সফটওয়্যার এবং এটি সবার জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ C++ দিয়ে তৈরি। যার সহায়তায় ডিজাইনার ও ইঞ্জিনিয়াররা সহজেই দ্বিমাত্রিক (2D) এবং ত্রিমাত্রিক (3D) ডিজাইন তৈরি করতে পারে এবং যে কোনো যন্ত্রের স্থানান্তরযোগ্য পার্টস ডিজাইন করতে পারে। বর্তমানে স্থাপত্য প্রকৌশল শিল্প ও ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের ক্ষেত্রে অটোক্যড গুরুত্বপূর্ন স্থান করে নিয়েছে।
অটোক্যাড ব্যাবহারের সুবিধা
ডিজাইন করা
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে যে কোনো প্রকার ডিজাইন করা বা প্রটোটাইপিং একটি সময়সাপেক্ষ ও কঠিন বিষয়। অন্যদিকে ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পার্টসের সমন্ময়ে একটি যন্ত্র তৈরি করতে হয় সেজন্য কাগজে ডিজাইন অনেকটাই জটিল।
অটোক্যাডের সাহায্যে সহজেই ডিজাইনের জটিল বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখা যায় 2D ও 3D ব্যবহার করে,যার ফলে সত্যিকারের স্থাপনা তৈরির আগেই এর পরিপূর্ন ডিজাইন তৈরি করে নেওয়া যায় এবং ডিজাইনের পরিমাপও ঠিক পাওয়া যায়। অটোক্যাড ব্যাবহার করে সহজেই ডিজাইনের ভূল বের করা যায় ।
অর্থের সাশ্রয়
ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের ক্ষেত্রে ডিজাইনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বাস্তবে অনেক ব্যায়বহুল সত্যিকারের স্থাপনা বা যন্ত্রপাতির ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা । যা অটোক্যাড ব্যবহার করে নিমীষেই সমাধান করা সম্ভব। ফলে সহজেই একজন ডিজাইনার তার ডিজাইনের বিভিন্ন অংশ পরিবর্তন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পরেন, এতে যেমন তার ডিজাইনের নতুনত্ব আসে তেমনি অর্থেরও সাশ্রয় হয়।
সময়ের কম অপচয়
বাস্তবে সত্যিকার নমুনা বা প্রটোটাইপ তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন কিন্তু অটোক্যাড ব্যাবহার করে অতি অল্প সময়েই যে কোনো কিছুরই নমুনা ডিজাইন তৈরি করে ফেলা যায় এবং ডিজাইনটির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দিক পরিবর্তন খুব সহজেই ও দ্রুততার সাথে করে ফেলা যায়। যা ডিজাইনারদের অনেক মূল্যবান সময় বাঁচাতে সাহায্য করে।
কমিউনীকেশন ও একএীকরণ
ডিজিটাল ফরম্যাটে ডিজাইনকৃত মডেল সংরক্ষণ করে একাধিক ইঞ্জিনিয়ার একটি ডিজাইনের ওপর কাজ করে ডিজাইনটিকে পরিপূর্ণ করতে পারে এবং অন্য যে কোনো ব্যক্তির কাছেও সহজেই তা পাঠাতে পারে। বিশ্বায়নের এই যুগে অটোক্যাড এর মাধ্যমে একজন ডিজাইনার সহজেই অন্য ডিজাইনারের সাথে তার ডিজাইনটির বিভিন্ন অংশ নিয়ে আলোচনা করতে পারে এবং বিভিন্ন ধারনার সমন্ময়ে একটি পরিপূর্ণ ডিজাইন তৈরি করা অনেক সহজ হয়।
কোথায় শিখবেন
ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে আপনি অটোক্যাড শিখতে পারবেন। রাজধানীতে শিখতে চাইলে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ইন্সটিটিউটে। ঠিকানা : ৬৪/৬, লেকসার্কাস, পান্থপথ, ঢাকা। ফোন : +৮৮০২৯১০৪৪৬০, +৮৮০১৭১৩৪৯৩২৮৯। ওয়েবসাইট : www.dipti.com.bd
নিজেদের সুবিধার জন্যই প্রকৌশলী ও ডিজাইনারদের অটোক্যাড শেখা প্রয়োজন। আমাদের দেশে কাজের পাশাপাশি অটোক্যাডের মাধ্যমে বহির্বিশ্বেও ইঞ্জিনিয়ার ও ডিজাইনারদের রয়েছে কাজের অনেক সুযোগ।