এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যারিয়ার

এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যারিয়ার

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক :

বিশ্বায়নের এই যুগে পরিবর্তনের একটি অপরিহার্য মাধ্যম হলো উড়োজাহাজ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব এখন এই লাভজনক পরিবহন ব্যাবসায় অধিক বিনিয়োগ করছে। ফলে দেশে এখন বিমান সংস্থার সংখ্যা কমপক্ষে ২৪টি, ২০২০ সালে যা হবে দ্বিগুণেরও বেশি। ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে উড়োজাহাজ প্রকৌশলী চাহিদাও বাড়ছে। আর এই প্রকৌশলী তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজি (ক্যাটেক)। সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাকে স্বাবলম্বী করে গড়তেই কাজ করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। গতানুগতিক, ব্যয়বহুল শিক্ষাব্যাবস্থার বাইরে এই বিষয়ে দ্রুত ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে, যা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি উপযোগী।

এয়ারক্র্যাফট মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছেন লাইসেন্সপ্রাপ্ত এমন একজন ব্যক্তি যে উড়োজাহাজের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে। উড়োজাহাজ ফ্লাই করার পূর্বে উড়োজাহাজের সিস্টেমগুলো ঠিক আছে কি না, তার সার্টিফিকেট নিতে হয় একজন এয়ারক্র্যাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারের (এএমই) কাছেই।

কেমন হবেন এএমই :উড়োজাহাজে অবস্থিত সকল যাত্রী এবং পাইলটদের নিরাপত্তা নির্ভর করে একজন এএমই’র উপর। এএমই যদি ভুল করে, উড়োজাহাজ কখনও তার গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছাতে পারবে না। তাই একজন এএমইকে হতে হবে দক্ষ এবং বিচক্ষণ। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

এএমই (অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং)-এর কাজ :এক কথায় এয়ারক্র্যাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার এমন একজন ব্যক্তি, যার কাজ উড়োজাহাজের ডিজাইন উন্নয়ন করা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাতে উড়োজাহাজ, হেলিকাপ্টার, মিসাইলস, স্যাটেলাইট বা অন্যান্য স্পেস ক্র্যাফট নিরাপদে আকাশে উড়তে পারে। আরও রয়েছে এয়ারফ্রেম তৈরি/এয়ারফ্রেম ইঞ্জিন তৈরি, এয়ারক্র্যাফট ও এর আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতির সংযোগ স্থাপন, উন্নয়ন ও মেরামত করা। ফ্লাইট টেস্ট প্রোগ্রামে টেক অব ডিস্টেন্স, রেট অব ক্লাইম্ব, সিল স্পিড, ম্যানুইভারিলিটি অ্যান্ড ল্যান্ডিং ক্যাপাসিটি ঠিক আছে কিনা তা দেখাও একজন এএমই’র কাজ। জ্বালানী দূষণ কমানো ও সেফটি সিস্টেম নিয়ে কাজ করা, এয়ারক্র্যাফট দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় করার কাজও করতে হয় এএমইকে।

এএমই (এভিয়নিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং)-এর কাজ :উড়োজাহাজের ফ্লাইট ডাইমানিক্স, কোয়ালিটি, স্ট্যাবিলিটি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম নিয়ে এভিয়নিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। উড়োজাহাজের ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম নিয়ে কাজ করা হয় এভিয়নিক্সে। এভিয়নিক্সের মধ্যে রয়েছে এক্সিলারোমিটার, গাইরোস্কোপ, ফাইট ইন্সট্রুমেন্টস, সেন্সর একুরেটর, লিনিয়ার সার্কিট, কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন (ক্যাড), অ্যানালগ অ্যান্ড ডিজিটাল এভিয়নিক্স কম্পোনেন্ট প্রভৃতি।

এএমই লাইসেন্স পেতে :এএমই লাইসেন্স পেতে হলে ন্যাশনাল ডিপ্লোমা এবং হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা-ইন-অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনা করছে ক্যাটেক। কলেজটির প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের কয়েকশ শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে চাকরি/ইন্টার্নি করছে। তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও কয়েকমাস পরেই যোগ দেবে তাদের সাথে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে ফোন করুন ৮৯৯১৩৭১, ০১৯৩৭১৮২৪৭০ নম্বরে। এ ছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েও এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

যোগ্যতা :এসএসসি/এইসএসসি, এ-লেভেল /ও-লেভেল শেষ করে এই কোর্স করা যাবে। বিটেক এডেক্সেলের আওতায় রয়েছে চার বছরের অনার্স ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ। এ ক্ষেএে ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট লেভেল থ্রি বা এনাড পাওয়া যায়। এর পর ফাইনাল ইয়ার বা চতুর্থ বছরে পাওয়া যায় টপ আপ বিবিএ বা বিএসসি। এরপর বিশ্বজুড়ে এভিয়েশন খাতে খ্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। এএমই ডিগ্রির সমতুল্য আর একটি র্কোস এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট। এই কোর্সের পাঠ্যসূচী এবং চাহিদাও একই রকম। এই কোর্স শেষ করেও কভেন্টি, কিংসস্টোন, স্যালফোর্ড, ক্রেইনফিল্ড প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেকোনো দেশের এডেক্সেল অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ে সহজেই চূড়ান্ত বর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া এই কোর্সে বিশ্বের ১৭৩টি দেশে ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায়।

১৮ মাসের লেভেল-৩ বা এ-লেভেল করতে খরচ পড়বে ৩ লক্ষ টাকা। পরে ১৮ মাসের লেভেল-৫ করতে খরচ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা। এর পরে টপ-আপ বিএসসি’র কিংসটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ বছরের টিউশন ফি প্রদান করতে হবে সেমিস্টার অনুাযায়ী। যোগাযোগ :ক্যাটেক, বাড়ি-১৪, রোড-২, সেক্টর-১১, উত্তরা, ঢাকা।

সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক। favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment