জেনে নিন চাকরির এ টু জেড

জেনে নিন চাকরির এ টু জেড

  • রবিউল কমল

চাকরি মানেই সেবা প্রদান। তাই চাকুরে হিসেবে সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যক্তিগত যোগ্যাতা, গুণাবলী, দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক অভিযোজনশীলতা অর্জন করাটা চাকুরে হিসেবে সেবা প্রদানের পূবশর্ত। এ প্রেক্ষিতে, কর্মী হিসেবে কিছু মৌলিক বিষয়াবলী জানা প্রয়োজন যা তাকে সমৃদ্ধ করে নিজ কর্মক্ষেত্রে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করতে সহায়কের ভূমিকা পালন করে।


  • চাকরি বিধিমালা : একজন চাকুরে হিসেবে নিজের দায়-দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের চাকরি বিধিমালা বিশেষত ছুটি (ঐচ্ছিক, চিকিৎসা, অর্জিত), যাতায়াত, শিক্ষা, চিকিৎসা, ওভারটাইম, স্টেশনারি ও ফটোকপি, পরিদর্শন, যানবাহন ও লাইব্রেরি ব্যবহার, স্টাফ প্রাপ্যতা ইত্যাদি বিষয়ক নীতিমালা জানাটা অত্যাবশ্যক। এছাড়াও, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, আর্র্থিক ব্যবস্থাপনা, ক্রয়-বিক্রয়, টেন্ডারিং, বিজ্ঞাপন, স্থায়ী সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, নিরীক্ষা, প্রশিক্ষণ, ভবিষৎ তহবিল (প্রভিডেন্ড ফান্ড, পিএফ), আনুতোষিক তহবিল (গ্রাচ্যুয়িটি ফান্ড), স্টাফ জামানত, স্টাফ কল্যাণ তহবিল, গৃহ ঋণ, কম্পিউটার ঋণ, শ্রান্তি ভাতা, শুদ্ধাচার ইত্যাদি সাধারণ চাকুরে বিধিমালা চাকুরেকে তার নিজ কর্মসম্পাদন এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে সহায়কের ভ‚মিকা পালন করে।
  • দায়-দায়িত্ব : চাকুরে হিসেবে নিজের অর্পিত দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণার্জন করে তা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক উৎপাদনীলতা বৃদ্ধির সক্ষমতাই তার ইতিবাচক পারঙ্গমতার মাত্রাকে নির্দেশ করে। আর এই পাঙ্গমতার মান তাকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে মূল্যায়নের মৌলিক সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। দায়-দায়িত্ব পালনের সফলতা নিজেকে ব্যবস্থাপনার নিকট আস্থাশীল ভাবমুর্তি বির্নিমাণে সহায়কের ভ‚মিকা পালন করে। দায়িত্ব পালনের দক্ষতা ও সক্ষমতা আরও অধিক দায়িত্ব পরিপালনের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনিক বিবেচ্যতায় এনে থাকে। সুতরাং, দায়-দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পরিপালন মানেই আস্থাশীল হয়ে অধিক দায়িত্ব পালনে  ইতিবাচক সক্ষমতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ যার মাধ্যমে  প্রতিষ্ঠানের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • অভ্যন্তরীণ পরিবেশ : স্বকীয়তা এবং স্ব-স্ব বৈশ্যিষ্ট অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশের ভিন্নতা রয়েছে। সেখানকার একজন হিসেবে আপনার প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরিবেশে নিজের চাওয়া পাওয়া মতো হবে এমন কোনো কথা নেই। অভ্যন্তরীণ পরিবেশের সাথে সমাঞ্জস্যতা বজায় রেখে নিজের অভিযোজশীল কৌশল নির্ধারণের মাধ্যমে কর্মে প্রবৃত্ত হওয়াটাই বৃদ্ধিমানের কাজ। তবে অভ্যন্তরীণ পরিবেশের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমমনা সহকর্মীদের সহযোগিতায় উৎসাহিত হয়ে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণে ব্রতী হওয়া যেতে পারে।
  • আচার-আচরণ : পরিমিত, পরিশীলিত ও মার্জিত আচার-ব্যবহার ব্যক্তি স্বত্ত্বার বিকাশ ঘটিয়ে এবং ইতিবাচক ইমেজ সৃষ্টি করে নিজেকে অন্যের নিকট গ্রহণযোগ্য করে তোলে। পেশাগত মনোভাব ও নান্দনিক আচরণ তার মানবিক মূল্যবোধকে অপরের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে সহকর্মীদের নিকট আস্থাশীল হতে এবং অধঃস্তনদের মাধ্যমে কাজ আদায় করে নিতে সহায়কে ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠানের কোড অব কন্ডাক্ট যথাযথভাবে অনুসরণ করে আচার-আচরণের পরিমিতবোধ কর্মসম্পাদনের ইতিবাচকতাকে প্রভাবিত করে যার দৃশ্যমানতা তাকে মূল্যায়নের মানদণ্ডে বিবেচনায় আনে। আচার-ব্যবহারের নেতিবাচকতা তার জন্যে কখনই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুভকর নয় বলে সর্বজনবিদিত।
  • সম্পর্ক : প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সহকর্মী, তত্ত্বাবধায়ক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সুসর্ম্পক স্থাপনের ফলে কর্ম-সম্পাদনের লক্ষ্যে নানাবিধ সহযোগিতা, পরামর্শ ও দিক নিদের্শনা পেয়ে থাকে যা তার বিদ্যমান সমস্যা ও পরিস্থিতি উত্তোরণের সহায়কের ভূমিকা পালন করে। পক্ষান্তরে, সহকর্মীদের, তত্ত্বাবধায়ক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈরি সম্পর্ক কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচকতা ঘটাতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে থাকে যা একজন সফল কর্মজীবীর প্রকৃত পারঙ্গগমতাকে নেতিবাচকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে তার সমস্ত অর্জনকে ম্লান করে দিতে পারে।
  • তত্ত্ব ও তথ্য : দক্ষতার সাথে দায়-দায়িত্ব পালন বা কার্যসম্পাদন বা পরিস্থিতি উত্তোরণের লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তত্ত্ব ও তথ্যের সম্মিলন কর্মরতের জ্ঞানের প্রসারতা বৃদ্ধি করে তাকে বহুমুখী হতে সহায়তা করে। ফলে কার্যসম্পাদনের লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক বিষয়ের জ্ঞানাঙ্ক বৃদ্ধি করে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ও জিজ্ঞাসিতব্য প্রশ্নের উত্তর প্রদানের সক্ষমতা তাঁর প্রতি সহকর্মীদের ও ব্যবস্থাপনার আস্থা তৈরিতে সহায়তা করে।
  • প্রযুক্তির ব্যবহার : প্রযুক্তিগত অভিগম্যতা ও প্রায়োগিক সক্ষমতা তার কর্ম-সম্পাদনের দক্ষতাকে নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি করে তাঁকে ডায়নামিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রভাবিত করে। সময় ও প্রয়োজনের নিরিক্ষে প্রচলিত আধুনিক প্রযুক্তির (কম্পিউটার, ইন্টারনেট, জেরোক্স, ফ্রাক্স, বিভিন্ন সফট্ওয়ার ব্যবহার) যথাযথ ব্যবহারের সক্ষমতা চাকুরের উপস্থাপনা ও উৎপাদনশীলতাকে বৃদ্ধি করে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে সহায়কের ভ‚মিকা পালন করে থাকে।
  • ভাষাজ্ঞান : সুষ্ঠু ও সুচারুপে কার্য-সম্পাদনের লক্ষ্যে ভাষাজ্ঞানের পর্যাপ্ততা আবশ্যক। ভাষাজ্ঞানের তাত্তি¡ক সমৃদ্ধকরণের পাশাপাশি মৌখিক ও লিখিতভাবে ভাষা ব্যবহারের প্রয়োগিক সক্ষমতা চাকুরেকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিকতা এনে দেয়। এক্ষেত্রে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষার বস্তুনিষ্ট ও শুদ্ধ ব্যবহারের দক্ষতা একজন সফল কর্মীর গুণগত মান বৃদ্ধি করে উপস্থাপনায় কৌশলী ও পারঙ্গমী হতে সহায়তা করে। বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানি যেখানে দেশি-বিদেশি নানা ধরণের লোকের সাথে লেনদেন বা কাজ করতে হয়, সেখানে তার ভাষাগত উৎকর্ষতা কার্যসম্পাদনের অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবে গুণগত মানোন্নয়নে ভ‚মিকা পালন করে। ফলে কম কাজ করে একজন কর্মী ভাষাজ্ঞানের দক্ষতা অর্জন করে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপনা করতে সক্ষম হতে পারেন।
  • নোট, প্রতিবেদন, পত্র ও কার্যবিবরণী : প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক প্রয়োজনে নথি লিখন, উপস্থাপন ও প্রয়োজনে জটিল ও সংবেদন ইস্যুতে ব্যাখ্যা প্রদান, বোধগম্য, হৃদয়গ্রাহী ও বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন প্রণয়ন, মানসম্মত পত্র প্রস্তুতি ও সভা সেমিনারের বস্তুনিষ্ঠ কার্যবিবরণী প্রণয়ন, প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরিতে সব চাকুরের দক্ষতা ও আউটপুট কখনই সমভাবে আসে না। ফলে এ ধরণের কাজের দক্ষতা ও সক্ষমতা নিজের ব্যক্তি ইমেজকে প্রস্ফুটিত করে নিজের পারঙ্গমতাকে প্রকাশ করে যা তাঁর অপরিহার্যতাকে ব্যবস্থাপনার নিকট দৃশ্যমানকরণে সহায়কের ভ‚মিকা পালন করে থাকে।
  • আন্তঃযোগাযোগ : যোগাযোগের সক্ষমতা দক্ষতার সাথে কর্মসম্পাদনের অন্যতম পূর্বশর্ত। বিভিন্ন ইতিবাচক গুণাবলী বহাল থাকার পরেও অন্তঃমুখী (ইনট্রোভার্ট) চরিত্রের  আন্তঃযোগাযোগের সক্ষমতা কাক্সিক্ষতমানের হয় না যা তাঁর উৎপাদনশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ভাষাজ্ঞান ও প্রয়োগিক সক্ষমতা, উপযুক্ত যোগাযোগে মাধ্যম নির্বাচন ও যথাযথ ব্যবহারিক কলাকৌশল প্রয়োগের দক্ষতার ওপর আন্তঃযোগাযোগের সফলতা নির্ভর করে। সুতারং চাকুরে হিসেবে আন্তঃযোগাযোগের সক্ষমতার মাত্রা তাঁকে ফলপ্রসুভাবে কর্মস¤পাদন করতে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়কের ভ‚মিকা পালন করে।
  • সৃজনশীল ও কৌশলী : প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে সবাই সৃজনশীল নয়। ক্ষুদ্রতম পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই প্রথাগতভাবে নৈমত্তিক কাজ করে থাকে এমন কর্মীর সংখ্যাই বেশি। তবে হাতে গোনা কয়েকজন থাকেন যারা সৃজনশীলতা, কৌশিলতা ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সক্ষমতার দাবি রাখেন তারাই মূলত ঘুরে ফিরে প্রতিষ্ঠানের সকল সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত থাকেন এবং ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদেরকেই ব্যবহার করেন বাকিদের নয়। সৃজনশীলতা ও উৎপাদনশীলতার মেরুকরণের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা স্থবির হয়ে পড়ে যা চাকুরের নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদে টেকসহিতার জন্যে সুখকর নাও হতে পারে।
  • চাপ সহ্য করা এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা : অর্পিত দায়-দায়িত্ব পালনকালে নিজ দায়িত্বের বাইরে অন্যান্য কাজের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা ও বহুমুখী কাজ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ সহ্য করার ক্ষমতা বা পরিস্থিতি উত্তোরণের সক্ষমতা নিজের প্রতি ব্যবস্থাপনার মূল্যায়ন ভিত্তিক আস্থা অর্জনে সহায়তা করে। বিশেষ করে মাকেটিং পেশার ক্ষেত্রে চাপ সহ্য করার ক্ষমতা বা বহুবিধ পরিস্থিতি উত্তোরণের সক্ষমতা তার স্ব পদে টেকসহিভাবে কাজ করার নিদের্শক হিসেবে কাজ করে থাকে।
  • পরিস্থিতি ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ : সরসারি মানব ব্যবস্থাপনা ও সেবা এবং সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় সমস্যাকেন্দ্রিক ব্রত প্রতিষ্ঠানসহ মুনাফা ভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পরিস্থিতি ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ কর্মীর অন্যতম পেশাগত বৈশিষ্ট্য। যদিও পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণের সক্ষমতা সবার সমানভাবে থাকে না তারপরেও এরূপ দক্ষতা তার মেধা ও বুদ্ধাঙ্কের প্রকৃতমাত্রাকে নির্দেশ করে যা তাঁকে অন্য কর্মীর থেকে পৃথক স্বত্ত্বা হিসেবে চিহ্নিত করে। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ও বাইরের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণের সক্ষমতা মুলত অভিযোজনশীলতার নিরিক্ষে কর্মসম্পাদনের কৌশল ও আচরণ নির্ধারণে সহায়তা করে।
  • সততা, নিয়মাবর্তিতা এবং অধ্যাবশয় : একজন সফল কর্মী হিসেবে অন্যন্য গুণাবলী হচ্ছে তার সততা, যা তাকে সর্বাগ্রে ব্যবস্থাপনার নিকট কর্মে প্রবৃত্ত করার সূচক হিসেবে বিবেচনায় আনে। বিশেষ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের এই গুণটি তাঁকে টেকসহিভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে মৌলিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। মূলত প্রাতিষ্ঠানিক দায়-দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তি না হলে সব গুণাবলী অর্জন করেও সঠিক সময়ে আউটপুট প্রদানে কখনই সক্ষম হয়ে উঠেন না। তাই সরকারি-বেসরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠানে সফলভাবে কার্যসম্পাদনে নিয়মানুবর্তিতা কর্মদক্ষতার পরিমাপণে সহায়তা করে। চাকরি মানেই সেবা প্রদান। আরে এই সেবা প্রদানের ধরণ ও মাত্রা প্রতিষ্ঠান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন। তাই চাপ, ঝুঁকি ও পরিস্থিতি উত্তোরণ করে কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনিক ও গ্রহাকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টির লক্ষ্যে চাকুরেকে অধ্যবশয়ী হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
  • আন্তরিকতা, অঙ্গীকারবোধ ও ওনারশিপ : কাজের প্রতি স্ব-প্রণোদিত আন্তরিকতা তার দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচিত হয়ে থাকে। তাই আন্তরিকতার ব্যত্যয় হলে সুষ্ঠুভাবে অর্পিত দায়-দায়িত্ব পালন করে নিজের কর্মদক্ষতা কখনই প্রমাণ করা যায় না বরং আন্তরিকতা প্রতিষ্ঠানের কার্যসম্পাদনের সম্পৃক্ততা, স্পৃহা ও গতিকে বাড়িয়ে দিয়ে কর্মে নিয়োজিত রাখে। প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন ও গ্রাহকসহ অন্যান্য সহায়ক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টির লক্ষ্যে অঙ্গীকার মোতাবেক কর্মস¤পাদন নিজের ব্যক্তি স্বত্ত্বাকে মূল্যায়ন ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে বিশেষভাবে ভ‚মিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠান ও দায়-দায়িত্ব পালনের জন্যে ওনারশিপ অতিব জরুরি। প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করার মধ্যেই দায়িত্ববোধ ও দায়িত্ব পালনের আপন তাড়না অনুভূত হয়ে থাকে। সব গুণাবলী বহাল থাকার পরেও যদি তার মাঝে প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে না করার অর্থাৎ ওনারশিপ গুণটি না থাকে তাহলে ওই চাকুরে টেকসহিভাবে সেবা বা আউটপুট দিতে সক্ষম হয়ে উঠেন না। ফলে অব্যাহতভাবে দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থাপনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রাতিষ্ঠানিক ওনারশিপটা মূল্যায়নের অন্যতম সূচক হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।  favicon59

 

Sharing is caring!

Leave a Comment