সুযোগ আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে

সুযোগ আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

একজন শিক্ষার্থীরও স্বপ্ন থাকে স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে পছন্দের বিষয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে। কিন্তু কখনও কখনও সে স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হয়। প্রচুর শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সীমিত আসনে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে একটি বিরাট অংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। এর ফলে কেউ কেউ হতাশ হয়ে পড়ে। কেউ বা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে থাকে, যদিও আগামী বছর থেকেই দ্বিতীয়বার ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরই ফলে অনেক শিক্ষার্থী সময় নষ্ট না করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া সেশন জট, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

চাহিদা আছে যেসব বিষয়

ব্যবসায় প্রশাসন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা এখন অনেক। এ ছাড়া মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম, স্থাপত্য, ইংরেজি সাহিত্য, হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম, কম্পিউটার সায়েন্স ইত্যাদি বিষয়েরও চাহিদা রয়েছে। মাইক্রোবায়োলজি, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচারের চাহিদা আছে সব সময়ই।

ভর্তির সময়সূচি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে তিনবার ভর্তির সুযোগ রয়েছে স্প্রিং, সামার ও ফল_ সাধারণত এ তিন সেমিস্টারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।

ভর্তির যোগ্যতা

বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ভিন্ন হয়ে থাকে। মানসম্মত বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসিতে আলাদাভাবে নূ্যনতম জিপিএ ৩.৫০ (চতুর্থ বিষয় বাদে) চাওয়া হয়। জিপিএ ২.৫০ থাকলেও আবেদন করা যায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণত ‘ও’ লেভেলে চারটি বিষয়ে জিপিএ ৩.০০ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি বিষয়ে জিপিএ ৩.০০ চাওয়া হয়। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেখানে ভর্তি হতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় না। তবে নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট, এআইইউবি, আইইউবি, ইউআইইউসহ প্রথম সারির কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। ভর্তি পরীক্ষা এবং এসএসসি-এইচএসসির ফলে দুটির সমন্বয়ে মেধা তালিকা করা হয়। প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে ভালো প্রস্তুতি থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা চাই। সে সঙ্গে গণিতেও ভালো করতে হবে। এ জন্য নিয়মিত অনুশীলন ভালো ফল দেবে।

খরচাপাতি

খরচের বিষয়টি নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ের ওপর। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ কোর্সে ৫ লাখ ৩৩ হাজার, ফার্মেসি কোর্সে প্রায় ৭ লাখ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ, ইংরেজিতে ৪ লাখ ৩৬ হাজার, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রিক্যাল, টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে খরচ হবে প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ও অর্থনীতিতে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ, ইলেকট্রিক্যাল, কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রোবায়োলজি ও বায়োটেকনোলজিতে পড়তে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা। টিউশন ফিতে প্রায়ই পরিবর্তন আসে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে এ সংক্রান্ত দরকারি তথ্য।

একটুখানি সতর্কতা

ভর্তির আগে খোঁজ নিন কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন পেয়েছে কি-না কিংবা কালো তালিকাভুক্ত কি-না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন থাকলেও তাদের পরিচালিত অনেক কোর্সের অনুমোদন থাকে না, এ বিষয়টি যাচাই করে নিন। ঢাকার বাইরের শাখার অনুমোদন নেই কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরই। এ রকম কোনো শাখায় ভর্তি হবেন না। কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান পদ্ধতি কেমন, পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা আছে কি-না, ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়েই তবে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিষয় নির্বাচনে সতর্ক হোন।

সূত্র: সমকালfavicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment