ক্যারিয়ার গড়ুন স্ক্রিন প্রিন্টে
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রতিটি পণ্যে বা উপাদানে থাকে স্ক্রিন প্রিন্টের লেখা ও ডিজাইন। আধুনিকায়নের এ যুগে স্ক্রিন প্রিন্টের ব্যবসা করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন দেশের অনেক তরুণ। রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট, কাঁটাবন, পল্টন, ইসলামবাগ হলো স্ক্রিন প্রিন্ট ব্যবসার মূল কেন্দ্রস্থল। এসব এলাকা ঘুরে জানা যায়, হাজারো তরুণ স্বল্প পুঁজি নিয়ে এ পেশায় কাজ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছেন। স্ক্রিন প্রিন্টের কাজ বুঝতে পারলে অনেক সহজেই স্বাবলম্বী হওয়া যায় ।তবে রঙ, কাপড় ও কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। পোশাকের মধ্যে টি-শার্টেই সবচেয়ে বেশি স্ক্রিন প্রিন্ট করা হয়। এ ছাড়া ফতুয়া, পাঞ্জাবি, টপস, জিনসেও কিছু কিছু কাজ হয়। তৈজসপত্রের মধ্যে বেশি স্ক্রিন প্রিন্টের কাজ হয় মগের ওপর। এছাড়া আজকাল জগ, গ্লাস, প্লেট, পিরিচ, পেয়ালায়ও স্ক্রিন প্রিন্টের কাজ হচ্ছে। বিভিন্ন উৎসব-পার্বণকে কেন্দ্র করে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় বাদেও ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই স্ক্রিন প্রিন্টের কাজ করিয়ে থাকেন।
কাঁটাবনের স্ক্রিন প্রিন্ট ব্যবসায়ী কামাল জানান, এ ব্যবসা করে মাসিক আয় হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। ব্যবসার প্রক্রিয়া আমি শিখে গেছি।এখন পরিকল্পনা টাকা জমিয়ে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে এই ব্যবসা শুরু করব।
সরকারিভাবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনে স্ক্রিন প্রিন্টের ওপর দু’দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ জন্য ৫০ টাকা ভর্তি ফরম এবং ৩০০ টাকা প্রশিক্ষণ ফি বাবদ খরচ হবে। ঠিকানা : প্রধান নকশাবিদ, নকশা কেন্দ্র, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), ১৩৭-১৩৮ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।