সাফল্যের জন্যে এসিসিএ
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
ক্রমে ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসারের সাথে এই খাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে হিসাবের জটিলতা। আর একইভাবে এর সমাধানে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে হালনাগাদ কারিকুলাম। এমনই গ্লোবাল এবং সময়োপযোগী প্রফেশনাল কোর্স হচ্ছে এসিসিএ। এটি বিশ্বব্যাপী অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন এবং যুগোপযোগী একটি কোর্স। বিশ্বের অন্যতম গ্রহণযোগ্য এই প্রফেশনাল কোর্সটি বাংলাদেশে পরিচালনা করে আসছে চার্টার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজ (www.cucedu.com)। উচ্চ আয়ের পেশাজীবী হওয়ার সাথে সাথে গ্লোবাল প্রফেশনালদের কাতারে আসতে এটি অন্যতম কোর্স।
ACCA এবং CAT উভয়েই প্রফেশনাল কোর্স। এসিসিএ মূলত সিপিএ, সিএ, সিএমএ প্রভৃতির সমমানের। এটি জাতিসংঘ স্বীকৃত এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের সদস্য। সিএ এবং এসিসিএর মধ্যে মূল পার্থক্য হলো সিএ স্থানীয় কারিকুলাম আর এসিসিএ হচ্ছে আপডেট কারিকুলাম। এটি একমাত্র কোর্স যাতে যেকোনো পর্যায়ে যুক্তরাজ্যসহ ১৭৩টি দেশে শতভাগ ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায়। কোর্সটি সম্পন্ন করে বহুজাতিক কোম্পানি বা কর্পোরেট অফিসে উচ্চপদের বিভিন্ন চাকরি লাভের সুযোগ তৈরি হয়। এসব পদের মধ্যে রয়েছে চিফ ফিন্যান্স অফিসার, অডিটর, আন্তর্জাতিক ফার্মে অ্যাকাউন্টিং পার্টনার, ফিন্যান্স ডিরেক্টর, সিনিয়র ইন্টার্নাল অডিটর, বিজনেস অ্যাডভাইজর প্রভৃতি।
এসএসসি/এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সিএটি কোর্সে ভর্তি হতে পারে। CAT করার পর এসিসিএ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। অন্যদিকে এইচএসসি বা ও-লেভেল শেষে এফডিতে ভর্তি হয়ে সিএটি সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে। আবার এ-লেভেল বা যেকোনো বিভাগ থেকে ব্যচেলর ডিগ্রি করা থাকলে সরাসরি এসিসিএ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। করো অনার্স, মাস্টার্স, সিএ, আইসিএমএ কোয়ালিফিকেশন থাকলে ৯টি বিষয় পর্যন্ত অব্যহতি পেতে পারে। ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা (FD) হচ্ছে এসিসিএর এন্ট্রি লেভেলের স্যুট অব কোয়ালিফিকেশন্স যা থেকে শিক্ষার্থীরা পূর্বের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চমত্কার কোর্স বেছে নিতে পারে। যাদের অ্যাকাউন্টিংয়ের বেসিক শক্তিশালী কিন্তু গ্র্যাজুয়েশন নেই, তারা এফডির ডিপ্লোমা লেভেল থেকে শুরু করতে পারে। শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা লেভেল শেষ করে সরাসরি এসিসিএর স্কিল মডিউলে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
এসিসিএতে একসাথে একটি থেকে চারটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দেওয়া যায়। এর পরীক্ষা পদ্ধতি যথেষ্ট সহজ। কোনো এক বিষয় ফেল করলে কেবল সেই বিষয়েই পরীক্ষা দিতে হয়। কোর্সটি ব্রিটিশ কাউন্সিলে পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়। পরীক্ষা বছরে জুন এবং ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। তবে কম্পিউটার-বেজড পরীক্ষা বছরের যেকোনো সময় হতে পারে। বাংলাদেশে এই কোর্সে সর্বাধিক সাফল্য রয়েছে চার্টার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজের। এদের একাধিক ক্যাম্পাস ছাড়াও রয়েছে নিজস্ব ক্যাম্পাসে কম্পিউটার-বেজড পরীক্ষার দেওয়ার সুযোগ। কোর্সটি অল্প সময়ে সম্পন্ন করা যায় বলে খরচও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। যেমন বিবিএ/এমবিএর সময়সীমার সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে, এসএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পর এইচএসসির জন্য দুই বছর, বিবিএর জন্য ৪ বছর এমবিএর জন্য ২ বছর, অর্থাত্ প্রায় ৬ থেকে ৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়। সময় বেশি লাগার কারণে এই শিক্ষা পদ্ধতিতে খরচও বেশি। কিন্তু এসএসসি/এইচএসসি’র পর যেকোনো শিক্ষার্থী সাড়ে তিন থেকে চার বছরে আন্তর্জাতিক মানের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে পারে, অর্জন করতে পারে অ্যাকাউন্টিংয়ে অনার্স ডিগ্রি। আর তা হতে পারে এসিসিএর মাধ্যমে।