অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির সহজ কৌশল

অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির সহজ কৌশল

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

কখনও ক্লাসে আবার কখনও অফিসে, অ্যাসাইনমেন্টের ঝক্কিতে থাকতেই হয় আমাদের। এই অ্যাসাইনমেন্টকে অনেকে ভূত দেখার মতো ভয় করে। এর জন্য রাজ্যের প্রস্তুতির দরকার নেই। তবে একাডেমিক অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে জ্ঞান না রেখে সামনে এগোনোটা একেবারেই বোকামি। ভালো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির জন্য কিছু কৌশল মাথায় রাখলেই চলে। আজ সেই কৌশলে চোখ বোলাই, চলুন-

আইডিয়া এবং প্ল্যান

টপিক ঠিক থাকলে তো হলোই। না হয় আপনি টপিক বেঁচে নিতে আইডিয়াটাকে কাজে লাগান। ভালো আইডিয়ার বিকল্প নেই। এরপর দরকার প্ল্যানিং। বিষয়টাকে আপনি কীভাবে উপস্থাপন করতে চান তা ঠিক করুন। এই দুটো ঠিক হয়ে গেলে আপনার প্রাথমিক কাজ শেষ।

উপস্থাপন কৌশল

আইডিয়া এবং প্ল্যানিং ঠিক তো হয়েই গেল। এবার তা কীভাবে উপস্থাপন করবেন সেটা ঠিক করে নিন। কার সামনে আপনি উপস্থাপন করবেন তার পছন্দ-অপছন্দ এবং আপনার অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে এই ক্ষেত্রে। এই বিষয়টা আপনার সামনে কেউ উপস্থাপন করলে কোন কোন বিষয়টায় আপনার চোখ যাবে এবং কতটা রঙ মাখালে আপনার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে সেটা ভেবে উপস্থাপন কৌশল ঠিক করুন।

খসড়া তথ্য সংগ্রহ

এই ক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, আগে ভাবনা পরে লেখা-কথাটা। শুরুতেই তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত হওয়ার দরকার নেই। আগে খসড়া করুন। হোক সেটা মনে মনে। তবে লেখাটাই ভালো। খসড়া তৈরির পর কী কী তথ্য আপনার দরকার সেসব তথ্য সংগ্রহ করুন।

পরিচিত শব্দ ব্যবহার

অনেকেই মনে করেন অ্যাসাইনমেন্ট একটু কঠিন, দুর্বোধ্য এবং অপরিচিত শব্দ ব্যবহার করলে তার গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। এটা আসলে ঠিক নয়। বরং আপনি এমন শব্দ ব্যবহার করুন, যা সবার কাছেই পরিচিত। নিজে বোঝেন না, এমন শব্দ কখনোই ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত অপরিচিত এবং দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহারের ফলে অ্যাসাইনমেন্টের প্রতি অন্যরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।

ছোট বাক্য এবং

বাক্য যত বড় হবে তার বিভিম্ন অংশের মধ্যে সম্পর্ক তত জটিল হবে, আর বাক্য যত জটিল হবে ততই তা সবার কাছে দুর্বোধ্য ঠেকবে। তাই বাক্য ছোট করবেন। তবে খি ত বা বিক্ষিপ্ত হলে চলবে না। কমা, সেমিকোলন ইত্যাদি যতিচিহ্নের ব্যবহার কম করেও বাক্য ছোট রাখা যায় সেই পথে হাঁটাই ভালো।

দীর্ঘ অনুচ্ছেদে না

দীর্ঘ বা বড় অনুচ্ছেদ পাঠক বা শ্রোতার জন্য বিরক্তিকর হতে পারে। অনুচ্ছেদ ছোট হলে একটি মাত্র ভাব, একটি মাত্র প্রসঙ্গ বা ধারণার অতিরিক্ত তাতে যোগ করা সম্ভব হয় না, ফলে পাঠকের জন্য সুবিধা হয়। প্রতিটি অনুচ্ছেদে পাঠক নতুন প্রসঙ্গ বা তথ্যের সঙ্গে পরিচিত হন, যা পাঠের আগ্রহ ও আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। এতে করে পাঠক নিজ থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে এর শেষটা দেখতে।

এই নিয়ম ছাড়াও নিজের মতো করে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অ্যাসাইনমেন্টে মন দিতে পারেন। তবে ওপরের বিষয়গুলো মাথায় রেখে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করলে তা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারবেন যে কোনো জায়গায়।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment