ভর্তি পরীক্ষা : শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ভর্তি পরীক্ষা : শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন মো. সাইয়েদ বিন আবদুল্লাহ। তিনি এখন আইন বিভাগে পড়ছেন। এইচএসসি পরীক্ষার পর কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।


★ এই শেষ মুহূর্তে এসে আগে পড়া টপিকগুলো রিভিশন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো বিগত চার-পাঁচ মাস অনেক বেশি পড়াশোনা করেছেন। এখন পরীক্ষার যে কয়টা দিন সামনে বাকি আছে, সেই সময়টাতে নতুন টপিক পড়ার পাশাপাশি আগে পড়া টপিকগুলো রিভিশন করা অবশ্যকর্তব্য।

 

★ শুধু অধিক পড়াশোনা করলেই পরীক্ষায় ভালো করা যায় না। পড়াশোনার পাশাপাশি বেশ কৌশলীও হতে হবে আপনাকে। ধরুন, আপনার কাছে কোনো একটি নির্দিষ্ট টপিক খুবই জটিল মনে হয়। কিছুতেই সেটা আয়ত্ত করতে পারছেন না। স্মরণ রাখা ভালো যে ভর্তি পরীক্ষায় একটি টপিক থেকে একটি, বড়জোড় দুটি প্রশ্ন আসে। যদি এমন মনে হয় যে কোনো একটি টপিক আয়ত্ত করতে গিয়ে অন্যগুলোর দিকে সময় কম দিতে পারছেন, এমনকি অনেক কষ্ট করে যা পড়লেন, দিন শেষে তাও মনে রাখতে পারছেন না, তাহলে এমন টপিক বাদ দিয়ে বাকিগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়াটাই অধিকতর যুক্তিসংগত হবে।

 

★ কোনো নির্দিষ্ট বিষয় যদি খুব জটিল মনে হয়, তবে তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা না পড়াই ভালো। কারণ, এতে ক্লান্তি আর হতাশা আপনাকে পেয়ে বসতে পারে। কঠিন বিষয়টির জন্য রুটিনের ছোট ছোট অংশ বরাদ্দ রাখতে পারেন। যেমন: সকালে ২০ মিনিট, বিকেলে ২০ মিনিট, আবার রাতে ঘুমানোর আগে ২০ মিনিট।

 

★ সাধারণ জ্ঞান অংশে সাম্প্রতিক বিষয়াবলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে খুব গুরুত্বের সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে সাম্প্রতিক বিষয়াবলি যদি কোনো অতীত যোগসূত্র থাকে, তবে সেগুলোও সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি খোলাসা করা যাক। ধরুন, এবার সাম্প্রতিক হিসাবে এই বছর রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ বেশ আলোচিত। দেখা গেল, আপনি রাশিয়া বিশ্বকাপের খুঁটিনাটি সব পড়লেন, কিন্তু পরীক্ষায় প্রশ্ন এল—‘প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে কোন দেশ?’ তাহলে কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপের খুঁটিনাটি সব জানা সত্ত্বেও আপনি বিশ্বকাপের প্রেক্ষাপট থেকে আসা এই প্রশ্নের উত্তর করতে ব্যর্থ হবেন।

 

★ পরীক্ষার আদতে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করার সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ হলো মডেল টেস্ট পরীক্ষা দেওয়া, সেটা হতে পারে ঘরে বসেও। বাজারে মডেল টেস্টসংবলিত বিভিন্ন বই পাওয়া যায়। সেগুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে অভ্যস্ত করে তুলতে পারলে পরীক্ষাভীতি অনেকটা কেটে যাবে।

সূত্র: প্রথম আলো

Sharing is caring!

Leave a Comment