ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা জন-কায়ো ফেবিগ সম্প্রতি এ কথা বলেন।
ফেবিগ বলেন, বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। ২০২০ সাল নাগাদ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিতে। কাজের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রচলিত কাজ ছেড়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢুকছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। পাঁচ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন। এই মার্কেটপ্লেসে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেশি। দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে কাজ করছে কোডারসট্রাস্ট।
কোডারসট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর শুরুতেই প্রায় ২৫০ ডলার করে কাজ পাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সাররা।
কোডারট্রাস্ট থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাতুল রায়হান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির লারন অ্যান্ড আর্ন পাথ নামের একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে তিনি কোডিং শেখেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি আয়ত্ত করেন। কোর্স চলাকালে সময়েই তিনি ২৫০ মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পে কাজ পান। বর্তমানে তাঁর মাসিক আয় এক হাজার ডলারের বেশি। রাতুল বলেন, দক্ষ হয়ে তারপরই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসা উচিত। এ ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর প্ল্যাটফর্ম হতে পারে কোডারসট্রাস্ট।
কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, সব সময় সহযোগিতার পাশাপাশি পুরো পেশাদার মানসিকতা তৈরি করে দিতে ও উৎসাহ দিতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ডেনমার্কভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই সময়ের মধ্যে ৫০০ জনেরও বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোডারসট্রাস্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের অনলাইন কাজ বিক্রি করতে পারেন এবং এখান থেকে শিখতেও পারেন। কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার লিংক (https://www.coderstrust.com/)। কোডারসট্রাস্টে বর্তমানে ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড, এসইও অ্যান্ড এসএমএমসহ মোট ছয়টি কোর্স চালু আছে।