ভিডিও এডিটিংয়ে ক্যারিয়ার
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
ভিডিও এডিটিং এমন একটি পেশা, যেখানে সবসময়ই সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আপগ্রেড করে নিতে পারলে আপনিও এ পেশায় জড়িয়ে থাকতে পারবেন সবসময়। এ পেশায় ক্যারিয়ারে খ্যাতি, সুনাম, পরিচিতির পাশাপাশি রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি। বিশ¡ব্যাপীতো বটেই, বাংলাদেশেই রয়েছে এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার বিশাল ক্ষেত্র। আজকে একুশ শতকে দাঁড়িয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়া কতটা এগিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। ১৫ বছর আগেও মানুষ ভাবেনি ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ পর্যায়ে চলে আসবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বড় ক্ষেত্র হলো টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। ক্যারিয়ারের বড় ক্ষেত্রও এটি। ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার দারুন চ্যানেলে কাজ এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয়। দেশে এখন একাধিক সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল রয়েছে। প্রতিদিন টিভি চ্যানেলগুলোতে সংবাদের পাশাপাশি অসংখ্য অনুষ্ঠান, নাটক, ম্যাগাজিন প্রচারিত হয়। এসব অনুষ্ঠান টিভি চ্যানেল ছাড়াও বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থাও নির্মাণ করে থাকে।
এছাড়া টেলিভিশনে প্রচারিত বিজ্ঞাপনসমূহ নির্মাণ করে থাকে বিভিন্ন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। দক্ষ ভিডিও এডিটররা উচ্চ বেতনে চলে যাচ্ছেন টিভি চ্যানেলগুলোতে। ফলে বেসরকারিভাবে যে অনুষ্ঠান নির্মাণের কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেখানে কাজের পদ খালি হচ্ছে। যার জন্য ভিডিও এডিটিং জানা ছেলেমেয়েরা খুব সহজেই এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে ভিজ্যুয়াল মিডিয়া সম্প্রসারণের সঙ্গে বাড়ছে ভিডিও এডিটরদের চাহিদাও। নূন্যতম এইচএসসি পাস হলে সংশি−ষ্ট প্রশিক্ষণ নিয়ে ভিডিও এডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া যায়। এ পেশায় সৃজনশীলতা থাকা খুবই জরুরি। টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পর্কেও স¡চ্ছ ধারণা থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে কী ধরনের বৈচিত্র্য আনা সম্ভব, সেই বিবেচনা শক্তি থাকা চাই। একজন ভিডিও এডিটরকে চোখ রাখতে হয় দেশ-বিদেশের টিভি পর্দায়। কোথায়, কোন অনুষ্ঠানে কী বৈচিত্র্য এলো, সেদিকে নজর রাখতে হয়।
চিত্রগ্রাহকদের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ কাটছাঁট করে দৃশ্যের পর দৃশ্য সাজিয়ে দর্শকদের দেখার উপযোগী করে তোলাই ভিডিও এডিটরদের কাজ। দেশের সবগুলো টিভি চ্যানেলেই দক্ষ এডিটরদের কাজের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন এডিটিং ফার্ম। ফুলটাইম এবং পার্টটাইম দু\’ভাবেই ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করা যায়। কেউ চাইলে অন্য চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সে কাজ করতে পারেন ভিডিও এডিটর হিসেবে। এছাড়া দেশের বাইরেও কাজের চাহিদা রয়েছে অনেক। ইউরোপ, আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশেই আলাদা আলাদাভাবে রয়েছে কয়েকশ টেলিভিশন চ্যানেল। এসব টিভি চ্যানেলে নিজ দেশের দক্ষ জনবল নিয়ে কাজ করতে তাদের বড় অংকের ব্যয় বহন করতে হয়। সেখানে আমাদের মতো তৃতীয় বিশে¡র দক্ষ জনশক্তি দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচে কাজ করানো যায়। ফলে আমাদের এ অঞ্চলের দক্ষ জনশক্তির জন্য বিশেষ করে ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক টিভি মিডিয়ায় ভিডিও এডিটর হিসেবে চাকরি পাওয়া অনেকটাই সহজ।
এসব দেশে এ পেশায় বেতন কাঠামোও বেশ ভালো। কাজের দক্ষতার ওপর বেতনের অংক নির্ভর করে থাকে। দেশে-বিদেশে যেখানেই কাজ করুন না কেন, সবার আগে দরকার এ বিষয়ে সঠিক প্রশিক্ষণ। ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ শিখে ছেলেমেয়েরা দেশেই ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি জুটিয়ে নিতে পারবেন অবলিলায়। এর বাইরেও অবসরে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন। সম্ভাবনাময় এ সেক্টরে দক্ষ জনবল তৈরিতে ইজি কমিউনিকেশন চালু করেছে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স।
কোর্স পরিচালনা করবেন বিভিন্ন টেলিভিশনে কর্মরত দক্ষ ভিডিও এডিটররা। কোর্স শেষে থাকছে ইন্টার্নির সুযোগ। নূন্যতম এইচএসসি পাস যে কেউ দু\’মাস মেয়াদি এই কোর্স সম্পন্ন করে শুরু করতে পারেন সম্ভাবনাময় এক ক্যারিয়ারের পথচলা। বর্তমানে সময়ের চাহিদা অনুযায়ি ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (দিপ্তি) ভিডিও এডিটিং প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করেছে। প্রফেশনাল প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ৩ মাস মেয়াদি কোর্সটি সম্পূণর্ঞ্চ ব্যবহারিক ক্লাসভিত্তিক। এই কোর্সটি সম্পন্ন করে একজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন মিডিয়া হাউস ও ভিডিও এডিটিং প্রতিষ্ঠানে ভিডিও এডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।