কর্মক্ষেত্রের অশুভ ৭

কর্মক্ষেত্রের অশুভ ৭

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

মিথ আছে-সাত একটি শুভ সংখ্যা। এজন্য ইংরেজিতে একটি শব্দ বহুল প্রচলিত-লাকি সেভেন! কিন্তু সব সাতই কি শুভ? অবশ্যই নয়। আপনার ক্যারিয়ারের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন ৭টি অশুভ কাজের সঙ্গে চলুন পরিচিত হওয়া যাক।


১.সময় অপচয়
প্রায় দিনই অফিসে পৌঁছতে দেরি হওয়া মানে অফিসের নির্দিষ্ট কাজের সময় থেকে বেশ কিছু সময় অপচয় হয়ে যাওয়া। অফিসের অন্যদের কাছে এতে অপনি সব সময় ছোট হয়ে থাকবেন। এ ছাড়া নিজের কাজ আপনি ধীরে ধীরে সারছেন, অথচ অন্যরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে_ এতেও আপনার ও অন্যদের সময় নষ্ট হয়। তাই অন্যদের বিরক্তির কারণ না হয়ে সময় মেনে দ্রুতগতিতে কাজ করুন।

২.ফোন ব্যাক না করা
অনেক সময় হাতের কাছে ফোন না থাকার কারণে কিংবা ফোন সাইলেন্ট থাকায় কলিগদের ফোন রিসিভ করা হয়ে ওঠে না। পরে যখনই সময় পাবেন বা মিস্ড কল দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে ব্যাক করুন ফোন। না হলে আপনার ওপর কলিগদের আস্থা কমে যাবে।

৩.রসিকতার সীমা না বোঝা
কলিগদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টার সম্পর্ক থাকা ভালো, কিন্তু তা যেন কখনোই সীমা অতিক্রম না করে। কলিগদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে যে কোনো ধরনের রসিকতা এড়িয়ে চলুন।

৪.বড়াই করা
অহঙ্কার পতনের মূল। তাই কথা ও কাজে বড়াই প্রকাশ না করে বিনয়ী হোন। যদি কোনো বিষয় নিয়ে গর্ব প্রকাশ করতেই হয় সেটা খোলামেলা প্রকাশ করুন, তবে সীমার মধ্যে থেকে। অন্যদের কষ্টের কারণ হবেন না কিছুতেই।

৫.মতামত চাপিয়ে দেওয়া
কলিগদের ওপর মতামত চাপানো অভ্যাসটা খুব খারাপ। নিজের মতামতের ওপর বিশ্বাস থাকা যেমন জরুরি তেমনি জরুরি অন্যের মতামতকে সম্মান করা। তাই নিজের মতামত অন্যের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।

৬.অন্যকে খাটো করে দেখা
পেশাগত ও সামাজিক জীবনে আপনার অবস্থান যতই ওপরে থাক, অন্যকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। আপনিই সেরা- এই ভাবটা প্রকাশ করে কলিগদের সঙ্গে আচরণ না করে অন্যদের সম্মান করুন। অন্যদের প্রতি সম্মান ও বিনয় আপনাকে সফল করবে।

৭.অন্যকে সাহায্য না করা
সহকর্মীদের কেউ বিপদে আছে জেনেও তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দেওয়া অন্যায়। আপনার যদি একান্তই সাহায্য করার সামর্থ্য না থাকে, সমবেদনা জানান; এড়িয়ে যাবেন না। মনে রাখবেন- আপনিও একদিন কোনো সমস্যায় পড়তে পারেন।

সূত্র: সমকাল

Sharing is caring!

Leave a Comment