নতুন দায়িত্ব পেলে

নতুন দায়িত্ব পেলে

পদোন্নতির প্রত্যাশা চাকরিজীবনে কমবেশি সবাই করে থাকেন। আর সে লক্ষ্যে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য আত্মনিয়োগে খাটতি রাখেন না অনেকেই। অবশেষে অনেক প্রত্যাশার সেই পদোন্নতি যখন বাস্তব হয়ে ধরা দেয় আপনার ক্যারিয়ারে, তখন তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার কিন্তু কোনো সুযোগ নেই। 


তবে পদোন্নতি পাওয়ার পর স্বভাবতই বেড়ে যায় দায়-দায়িত্ব। আর যেহেতু পদোন্নতি মানেই নতুন দায়িত্ব, নতুন চ্যালেঞ্জ, অর্জিত পদে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার একটা অনিবার্য চাপ। ফলে এ ক্ষেত্রে অনেকেই হিমশিম খান। এমন সংকটে যারা আছেন, তাদের জন্য চলুন সহজ কিছু উপায় খুঁজে দেখা যাক_

অতীত থেকে পাঠ
চাকরিজীবনের এতদিনের অভিজ্ঞতা বা সহজ কথায়, অতীত থেকে পাঠ নিয়ে নিজের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতি রাখুন বিচক্ষণ চোখ। আর এ ক্ষেত্রে নিজের প্রতিই রাখুন কিছু সাদামাটা অথচ অর্থবহ জিজ্ঞাসা। যেমন ূ যে পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, সে পদটির কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে যথেষ্ট জানাশোনা আছে তো আপনার?

  • যদি তা কিঞ্চিতও থাকে, তাহলে নিজের কাজের ভেতর দিয়ে সেটিতে নিয়মিত শানিয়ে নিচ্ছেন তো?
  • অতীতে চাকরি ক্ষেত্রে যে ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন, নতুন পদে সে ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে কীভাবে সামলাবেন, ভেবে রেখেছেন কি? কেননা, একই ধরনের সমাধানের প্রচেষ্টা এ ক্ষেত্রে হয়তো কার্যকর নাও হয়ে উঠতে পারে।
  • আপনার দায়িত্বটির পরিধি বর্তমান চাকরি বাজারে কতটুকু_ সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ধারণা অর্জন করেছেন তো?
  • এক বছর পর, দুই বছর পর কিংবা পাঁচ বছর পর নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান, করেছেন সেই পরিকল্পনা?
  • সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পেঁৗছানোর জন্য প্রতিদিনই নিজেকে একটু একটু করে এগিয়ে রাখছেন কি?

নব্বইয়ের ফাঁদ
সাধারণত যে কোনো পদে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য কমবেশি তিন মাস বা ৯০ দিন সুযোগ পেয়ে থাকে একজন চাকরিজীবী। ফলে যে কারও ক্যারিয়ারের জন্য প্রথম ৯০ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। এ সময়টি আপনি এভাবে অর্থবহ করে তুলতে পারেন।

  • নতুন-পুরনো সব সহকর্মীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। নিজ অবস্থান থেকে সততা, বিশ্বস্ততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের যে কোনো সমস্যায় পাশে থাকুন।
  • যে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সে কাজ সময়মতো ও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সচেষ্ট হোন।
  • আপনার যা যা পরিকল্পনা, কাজের অগ্রগতি ও ফলাফল_ সব নিজের সহকর্মীদের, বিশেষ করে আপনার টিমের সদস্যদের কাছে স্পষ্ট রাখুন। কেননা, এমনটি না করলে কাজ করতে গিয়ে প্রায় প্রতি ধাপে নানা রকমের অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুট-ঝামেলার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
  • আপনার সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কাজের বোঝাপড়ায় কোনো ফারাক রাখবেন না। প্রয়োজনীয় সব বিষয় তাকে সময়মতো অবহিত করুন।
  • নিজের চাকরিজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে একটা ইতিবাচক সম্পর্ক সমন্বয় করুন। কেননা, একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয় করতে না পারলে একদিকে যেমন ব্যক্তিজীবন বিভীষিকাময় হয়ে উঠতে পারে, অন্যদিকে সেটির প্রবল নেতিবাচক প্রভাবে আপনার কর্মজীবন হয়ে উঠতে পারে বিষাদগ্রস্ত। favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment