কাজের পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন উচ্চশিক্ষা

কাজের পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন উচ্চশিক্ষা

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

বিভিন্ন কারনেই কারো কারো নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। কেউ দারিদ্রতা, কেউ পারিবারিক-সামাজিক দূর্দশায় পড়ে নিয়মিত পড়াশোনা থেকে ছিটকে পড়ে যান। নিয়মিত পড়াশোনা এমন একটা পদ্ধতি যা নিয়মিতই চালিয়ে যেতে হয়। একবার গ্যাপ হয়ে গেলে তা পূরণ করা কঠিন। তাই বলে কি উচ্চতর পড়াশোনার ইচ্ছা দমিয়েই রাখবেন? না, আপনার জন্য আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সান্ধ্যকালীন কোর্স।


 

আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কোর্সে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ হয়নি? সেই স্বপ্ন পূরণ করুন সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হয়ে। এখানকার আইবিএ বিশ্বমানের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুধু সার্টিফিকেটই নয়, আইবিএ ডিগ্রি আপনার পেশাগত জীবনে এনে দিবে ব্যপক উন্নতি। কর্মক্ষেত্রে পাবেন সুনাম ও সাফল্য।

যে কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন
এখান থেকে এমবিএ ডিগ্রী নিতে পারবেন। পার্টটাইম এমবিএ’র ক্ষেত্রে মোট ১১টি কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। ক্লাস হয় বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

আসন সংখ্যা ও ভর্তি পরীক্ষা
নিয়মিত কোর্সের মতো এখানেও আসন সংখ্যা সীমিত। ৯০ থেকে ১০০টি। সুতরাং এখানে ভর্তির আগে পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। ভর্তি কার্যক্রম চলে বছরে দুইবার। সুতরাং যোগাযোগ করে সুবিধামত সেশনের জন্য প্রস্তুতি নিন। এখানে পড়াশোনার খরচ তুলনামুলক কম।

ভর্তি যোগ্যতা
আইবিএ’তে ভর্তির জন্য বর্তমান ডিগ্রীগুলো মিলিয়ে ন্যূনতম ৭ পয়েন্ট থাকতে হবে। অনার্স কিংবা পাস কোর্সের বিষয় ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, কৃষি কিংবা যেকোনটি থাকলেই চলবে। দেখে নিন ৭ পয়েন্ট কিভাবে বিবেচনা করা হয়।

টেবিল এ- এসএসপি/ও লেভেল ও এইচএসসি/এ লেভেল এর ক্ষেত্রে পয়েন্ট বিন্যাস

এএসসি
জিপিএ/বিভাগ
এইচএসসি
জিপিএ/বিভাগ
ও লেভেল
জিপিএ
এ লেভেল
জিপিএ
পয়েন্ট
>=৪.০ / প্রথম >=৪.০ / প্রথম >=৩.০ >=২.৫
>=৩.০ / ২য় >=৩.০ / ২য় >=২.৫ >=২.০
>=১.০/তয়
>=১.০/তয়
>=১.০ >=১.০
  • ও লেভেল উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে গনিতসহ অন্তত ৫টি বিষয়ের প্রতিটিতে ‘ডি’ গ্রেড থাকতে হবে।
  • এ লেভেল উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে অন্তত ২টি বিষয়ের প্রতিটিতে ‘ডি’ গ্রেড থাকতে হবে।
  • ও লেভেল ও এ লেভেল এর লেটার গ্রেড এর ক্ষেত্রে- এ=৪, বি=৩, সি=২ ও ডি=১ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। জিপিএ হিসেব করা হবে ও লেভেলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫টি  গ্রেড পয়েন্ট এর গড় এবং এ লেভেলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২টি গ্রেড পয়েন্ট এর গড়।

টেবিল বি- ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রীর ক্ষেত্রে পয়েন্ট বিন্যাস

ডিগ্রী
জিপিএ/বিভাগ/শ্রেণী
 এসএসসি/এইচএসসি
>=৩.৫/১ম >=৩.০/২য় >=২.৫/৩য়
ব্যাচেলর (পাস কোর্স)
ব্যাচেলর (অনার্স কোর্স-৪বছর)
মাস্টার্স ডিগ্রী

অন্যান্য যেকোন ডিগ্রীর ক্ষেত্রে সমমান বিবেচনা করবেন Equivalence Committee of IBA। এসব কিছুর পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় বসতে হবে। আর এতে প্রার্থীদের সাধারনত তিনটি বিষয়ে দক্ষতা যাচাই করা হয়-

  • English Language & Communication
  • Mathematics
  • Analytical Ability

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আইবিএ’র প্রফেশনাল এমবিএ’র ব্যপক চাহিদার প্রেক্ষিতে ২০০২ সালে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদও চালু করে প্রফেশনাল এমবিএ। হিসাব বিজ্ঞান, ফিন্যান্স, মার্কেটিং ও ব্যবস্থাপনা এই চারটি প্রধান বিষয়ের উপর এই ডিগ্রী দেওয়া হয়।

যে কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন
এখান থেকে হিসাব বিজ্ঞান, ফিন্যান্স, মার্কেটিং ও ব্যবস্থাপনা এই চারটি প্রধান বিষয়ের উপর এমবিএ কোর্সে পড়াশোনা করতে পারবেন।

আসন সংখ্যা ও ভর্তি পরীক্ষা
২ বছরে ২ সেমিস্টার করে মোট ৪ সেমিস্টারে এমবিএ কোর্স সম্পন্ন করা হয়। ৪টি বিষয়ের প্রতিটিতে ৫০ টি করে মোট ২০০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় সাধারনত জানুয়ারী ও জুলাই থেকে। এখানে পড়াশোনার খরচ আইবিএ থেকে কিছুটা বেশি।

ভর্তি যোগ্যতা
এখানে ভর্তির ক্ষেত্রে আইবিএ’র মতই ন্যূনতম ৭ পয়েন্ট হিসেব করা হবে। উপরন্তু যেকোন প্রতিষ্ঠানে ২ বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ভর্তির জন্য নির্ধারিত লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষাতেই টিকে যেতে হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে প্রার্থী যে বিষয়ের উপর এমবিএ ডিগ্রী নিতে চান তার উপর ভিত্তি করে। তবে ইংরেজি ও অংক বিষয়ে অবশ্যই প্রশ্ন থাকবে।

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মূলত শিক্ষকদের জন্য এখানে উচ্চতর ডিগ্রী নেওয়ার একটা সুযোগ আছে। তবে শিক্ষক ছাড়াও বিএড ও বিবিএড করা যে কেউ এখান থেকে ডিগ্রী নিতে পারবেন।

যে কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন
বিএড ও বিবিএড করা শিক্ষার্থীরা এখান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী নিতে পারবেন। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষকগণ এখান থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে পারেন।

আসন সংখ্যা ও ভর্তি পরীক্ষা
২৫০টির মতো আসন আছে। ২ বছরে ২টি করে মোট ৪ সেমিস্টারে একটি প্রধানসহ ৭টি কোর্স পড়ানো হয়। এখানেও পড়াশোনার খরচ আইবিএ থেকে কিছুটা বেশি। সাধারনত জানুয়ারীতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।

ভর্তি যোগ্যতা
গ্র্যাজুয়েশন করার পর ও বিএড বা বিবিএড করা আছে এমন প্রার্থীরা এখানে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যাতার প্রমাণ দিয়েই এখানে ভর্তি হতে হবে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারন জ্ঞান ও কোর্স ভিত্তিক প্রশ্ন করা হবে। favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment