৪টি কৌশলে হয়ে উঠুন পারফেক্ট ম্যানেজার

৪টি কৌশলে হয়ে উঠুন পারফেক্ট ম্যানেজার

  •  ক্যারিয়ার ডেস্ক
আমাদের পৃথিবী দিনে দিনে আরও গতিশীল হচ্ছে। ইন্টারনেটের দরুণ আগেই পৃথিবী চলে এসেছিল হাতের মুঠোয়, এখন স্মার্টফোন তাকে নিয়ে এসেছে নখদর্পনে। এই গতিশীলতার সাথে তাল মেলাতে হলে আমাদেরও হতে হবে দ্রুতগামী। 


আপনি যখন নতুন একটি ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন প্রতিযোগিতার বাজারে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে ঝড়ের গতিতে। তৈরি করতে হবে এমন নেটওয়ার্ক যা যে কোন পরিস্থিতিতে আপনার কাজে লাগবে। আপনার টিম হতে হবে এমন যারা নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে বাস্তবায়ণ করতে নেমে পড়বে আপনার স্বপ্নকে। কীভাবে হবেন এমন ম্যানেজার? জেনে নিন কৌশলগুলো-
১। টিম কমিউনিকেশন খুবই জরুরী
যোগাযোগ নেই মানেই ভুল বোঝাবুঝি। আপনার টিমের সাথে আপনাকে থাকতে হবে সারাক্ষণ সম্পৃক্ত। কখন কোন অর্ডার হল, সেটা কবে ডেলিভারি হবে, স্টকে আছে কিনা প্রতিটি বিষয়ে ওয়াকিভাল থাকতে হবে আপনাকে। আপনি যদি এতটুকু হাল ছেড়ে দেন, দেখবেন আপনার কর্মীরা ঠিকমত কাজ করছে না। কারণ জানতে চাইলে একজন আরেকজনকে দোষারোপ করছে। এই সুযোগ দেবেন না। নিজেই সব খোঁজ নেবেন। ফোন করে সাথে সাথে জেনে নেবেন। কোন তথ্য মনে রাখার চেষ্টা না করে লিখে রাখুন এবং একমাত্র লিখিত তথ্যের উপর বিশ্বাস করুন।
 
২। প্রতিষ্ঠানের অর্থের ব্যাপারে সবাইকে সিদ্ধান্ত নিতে দেবেন না
কথায় আছে ‘অধিক সন্নাসীতে গাজন নষ্ট’। আপনার সকল অর্থনৈতিক চুক্তি হতে হবে দুইটি পক্ষের মধ্যে। কোণ মধ্যস্থতাকারী রাখবেন না। টাকা যেমন সকল সুখের জন্য প্রয়োজন তেমনি এই টাকাই সকল অনর্থের মূল। তাই প্রতিষ্ঠানে আপনার যত আত্মার আত্মীয় থাকুক না কেন, সকল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিজে নিন। হ্যাঁ, পরামর্শ নিতে পারেন। তবে মূল নেতৃত্ব নিজের হাতে রাখুন। একজন হিসাবরক্ষক রাখুন। এতে আপনার স্ট্রেস কমবে, হিসেব রাখতেও সুবিধা হবে।
 
৩। একটা ট্রাকিং মেথড মেনে চলুন
প্রতিষ্ঠানের শুরুতে হয়ত আপনার সম্পদ কম থাকবে। কিন্তু আপনার টার্গেট থাকবে আরও সম্পদ বাড়ানোর, প্রতিষ্ঠানকে বড় করার। আয় এবং ব্যায় ট্রাক করতে পারা শুরুতে একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। সব রকম হিসেন নিকেশের পরও মনে হবে টাকা যে কোথায় খরচ হয়ে যাচ্ছে! আগে প্রতিষ্ঠানে লোক রাখা হত আলাদা করে এগুলো খাতায় লিখে রাখার জন্য। এখন যুগ বদলেছে। আমরা প্রযুক্তিনির্ভর হয়েছি। অফিসের কাজের সহযোগী এপ্স ব্যবহার করুন। একদম প্রথম থেকে প্রতিটি ট্রাকজেকশন ডাটা লিখে রাখুন। ‘মাত্র তো শুরু’ এই চিন্তা করে শুরুতে হেলাফেলা করলে সেই কোম্পানির হিসেবের লাগাম ধরা অনেক পরেও আর সম্ভব হয়ে ওঠে না।
৪। প্রভাব বিস্তার করুন
সিদ্ধান্ত হবে আপনার আর আপনার সিদ্ধান্তকে সবাই মানবে খুশী মনে। আপনার কর্মীরা সবার আগে গুরুত্ব দেবে আপনাকে, বিশ্বাস করবে আপনাকে। সবার উপর নিজের এই প্রভাব বিস্তার করুন। “It’s all about the delegation” এটি এখনকার প্রতিষ্ঠানের মূল মোটো হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক সময় কর্মীরা কম শিক্ষিত হতেন, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা অন্যরকম কঠিন ব্যাপার। এখনকার উচ্চ শিক্ষিত কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করা আরেক্রকম কঠিন। নেতার ইতিবাচক প্রভাব না থাকলে টিমওয়ার্ক করা কঠিন। এক কথার মানুষ হন, হন কৌশলী। কর্মীদের প্রতি সদয় হন।

বলা যতটা সহজ, করা ততটাই কঠিন। একজন ম্যানেজার এই কঠিন কাজটি করে যান প্রতিনিয়ত। আপনার বুদ্ধিমত্তার সাথে সাথে খেয়াল করুন এই পরামর্শগুলো। আরও সহজ হবে ম্যানেজ করা। favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment