প্লুটোতে বরফের পাহাড়

প্লুটোতে বরফের পাহাড়

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বরফাচ্ছাদিত প্লুটোর বিস্ময়কর পরিবেশ বিজ্ঞানীদের চমকে দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। মহাকাশ বিষয়ক মার্কিন সংস্থা নাসা বলছে, ক্ষুদ্রাকৃতির গ্রহটিতে ভাসছে হিমবাহের মতো দেখতে ‘বরফের পাহাড়’।

বৃহস্পতিবার একটি ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। প্লুটোর ‘ভাসমান পাহাড়ের ছবি’ হিসেবে একে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ছবিগুলো তুলেছে মহাকাশযান নিউ হরাইজন। ২০১৫ সালে প্লুটোর কাছাকাছি এলাকা থেকে ঘুরে আসা মহাকাশযানটির এই ভ্রমণ ঐতিহাসিক মর্যাদা পেয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম সাফল্য হিসেবে। ছবিতে দেখা গেছে, বামন গ্রহ হিসেবে পরিচিত প্লুটোর কেন্দ্রে একটি বিস্তৃত ও সমতল বরফে ঢাকা অঞ্চলের ভেতর পাহাড়ের মতো অংশ। ধারণা করা হচ্ছে, হিমায়িত অঞ্চলটির পরিসর কয়েক মাইল দীর্ঘ।

নাসার বিশেষজ্ঞদের নতুন তত্ত্ব বলছে, রহস্যময় এই ভাসমান পাহাড়গুলো দৈত্যাকৃতির হিমবাহের মতো দেখতে এবং পানির তৈরি বরফের অংশ। নাইট্রোজেন বরফের তুলনায় পানির তৈরি বরফ হালকা বলে নাইট্রোজেনের সাগরের ওপর এই পাহাড়গুলো ভাসছে। বিশাল বিশাল এই বরফের টুকরোগুলো পৃথিবীতে আর্কটিক সাগরে ভাসমান হিমবাহের মতো ক্রমাগত স্থানান্তরিত হচ্ছে ভাসতে ভাসতে। এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, বিশাল বিশাল উঁচুনিচু বরফখণ্ড থেকে এই ভাসমান টুকরোগুলো ভেঙে আলাদা হয়ে গিয়েছে এবং প্লুটোর হিমায়িত সমতল অঞ্চল স্পুটনিক প্ল্যানামের দিকে ভাসতে ভাসতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বামন গ্রহটি আগের ধারণার চাইতেও বেশি পরিমাণ পানির বরফে ঢাকা পড়ে আছে বলে গত জানুয়ারি মাসে এক ঘোষণায় জানিয়েছিল নাসা।

নিউ হরাইজনের তোলা দু’টো ইনফ্রারেড ছবিকে এক করে প্লুটোতে পানির বরফের অস্তিত্বের কথা জানতে পারে নাসা। নিউ হরাইজনের তোলা ছবিগুলোর মাধ্যমে প্লুটোর নতুন নতুন সব বৈশিষ্ট্য আবিষ্কৃত হচ্ছে। এর আগে সুউচ্চ বরফের পাহাড় থেকে শুরু করে সম্ভাব্য বরফের আগ্নেয়গিরি পর্যন্ত প্লুটোর বেশ কিছু মনোমুগ্ধকর ভৌগোলিক সক্রিয়তার কথা জানা গেছে। favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment