গুজব প্রতিরোধে করণীয়
- ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী
বর্তমান সময়ে নেতিবাচক গুজব আমাদের সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর ফলে মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তবে কোনো একটি বিষয় বা ধারণাকে যাচাই করে তার সত্যতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মতো মনোভাব মানুষের মধ্যে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। এর কারণ হতে পারে মানুষের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও তার ভাবনা কোনো না কোনোভাবে অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আরেকটি বিষয় হল, কোনো একটি ঘটনার গভীরে প্রবেশ না করে মানুষের সেটিকে হালকাভাবে গ্রহণ করার প্রবণতা। কিন্তু কোনো বিষয়ই যে হালকাভাবে দেখতে নেই, সে বিষয়টি আমরা সক্রেটিসের জীবনের একটি ঘটনা থেকে উপলব্ধি করতে পারি।
একদিন একজন লোক বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিসের কাছে এসে বলল, ‘সক্রেটিস, তুমি কি জানো এইমাত্র আমি তোমার বন্ধুর ব্যাপারে কি শুনে এলাম? সক্রেটিস বললেন, ‘এক মিনিট দাঁড়াও, তুমি আমার বন্ধুকে নিয়ে ঘটনাটি বলার আগে আমি তোমাকে তিনটি প্রশ্ন করব। আমি এর নাম দিয়েছি ‘ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট’। প্রথম প্রশ্নটি সত্য মিথ্যা নিয়ে, তুমি কি নিশ্চিত তুমি আমাকে যা বলতে যাচ্ছ তা নির্ভেজাল সত্য? লোকটি উত্তর দিল, না, আমি জানি না এটা সত্য কিনা, আসলে আমি একজনের কাছে শুনেছি।’
‘ঠিক আছে’ সক্রেটিস আবার বলল, ‘তাহলে তুমি নিশ্চিত না যে তুমি যা বলবে তা সত্য। এখন আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন, তুমি কি আমার বন্ধু সম্বন্ধে ভালো কিছু বলবে?’ ‘উম, নাহ, আসলে খারাপ কিছুই…।’ সক্রেটিস বললেন, ‘তাহলে তুমি আমার বন্ধু সম্পর্কে আমাকে খারাপ কিছু বলতে চাও এবং তুমি নিশ্চিত নও যে তা সত্যি কিনা। ঠিক আছে, এখনও তৃতীয় প্রশ্ন বাকি, তুমি তৃতীয় পরীক্ষায় পাস করলে আমাকে কথাটি বলতে পারো।
তৃতীয় প্রশ্নটি হল, তুমি আমাকে যা বলতে যাচ্ছ তা কি আমার জন্য উপকারী? লোকটি উত্তর দিল, ‘না, আসলে তোমার জন্য তা উপকারী নয়।’ এবার সক্রেটিস শেষ কথাটি বললেন, ‘যদি তুমি আমাকে যা বলতে চাও তা সত্যও নয়, ভালো কিছুও নয় এবং আমার জন্য উপকারীও না হয়, তবে আমাকে বলে কী লাভ!’ এ ঘটনাটি থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার তা হল, কোনো একটি তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে যদি আমরা তা ছড়াতে থাকি তবে সেটি যেমন আত্মঘাতী হতে পারে, তেমনি সমাজ-রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এ ক্ষেত্রে কোনো একটি ঘটনা বা তথ্যকে বিশ্বাস করার আগে আমরা তা সক্রেটিসের দর্শনভিত্তিক ধারণার মতো ‘ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট’ করে নিতে পারি।
এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা গুজব প্রতিরোধের অন্যান্য কৌশল নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনায় আনতে পারি। এর সঙ্গে গুজবের প্রকৃতি ও তার বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও এটি নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। গবেষণার মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধের বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলো বের করে এনে তা প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য সরকার গুজব প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে পারেন। সম্প্রতি পদ্মা সেতুর নিকটবর্তী রাজবাড়ী এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পদ্মা সেতুর জন্য রক্ত লাগবে বলে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। যেহেতু রাজবাড়ী একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থিত। কাজেই এ ক্ষেত্রে কারা এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে তা খুব দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব। আমেরিকার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষক ডেভিড ডিওবয়েস বলছেন, গুজব যেহেতু খুব দ্রুত ছড়ায়, সেহেতু এটি ছড়ানোর আগেই তাকে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হয়। গুজবের উৎস খুঁজে বের করতে হবে এবং যদি উৎসটি খুঁজে পাওয়া যায় তবে রটনাকারীদের এটি প্রমাণ করার জন্য চ্যালেঞ্জ করতে হবে।
এখন বিজ্ঞানের যুগ। এই আধুনিক সমাজব্যবস্থায় যারা এ ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় এনে গুজব ছড়ানোর মূল উদ্দেশ্যগুলো চিহ্নিত করতে হবে। তবে অপরাধ বিজ্ঞানীদের মতে, কলুষিত রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতির কারণে যাতে ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারার ক্ষতি করা যায় এ ধরনের মানসিকতা থেকে গুজব ছড়ানোর মতো অপরাধে মানুষ সম্পৃক্ত হয়। এর ফলে যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়ে, এটি তারা কখনও চিন্তা করে না। কারণ গবেষণা বলছে, যারা গুজব ছড়ায় তারা কোনো না কোনোভাবে তাদের মনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ইতিহাসভিত্তিক গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজনীতিতে গুজব বরাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ইতিবাচক গুজবের পরিবর্তে নেতিবাচক গুজব সর্বদা অধিক কার্যকর হতে দেখা গেছে। গুজবের গবেষণাকে বিবেচনায় নিয়ে ‘এ সাইকোলজি অব রিউমার’ বইটি ১৯৪৪ সালে রবার্ট এইচ কন্যাপ লিখেছেন। এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক হাজারেরও বেশি গুজবের সামাজিক, রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রকৃতি ও প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করেছেন লেখক। তিনি বলেছেন, গুজবের তিনটি মৌলিক দিক আছে। প্রথমটি হল মানুষের মুখ। গুজব এক মুখ থেকে আরেক মুখে প্রচারিত হয়ে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সময় ও মানুষ- এ দুটি উপাদানের কারণে তা বিকৃতও হয় বিভিন্নভাবে। দ্বিতীয় দিকটি হল গুজবটি জ্ঞান প্রদান করে। বিষয়টি ভাবতে অবাক লাগতে পারে গুজব আবার কীভাবে জ্ঞান প্রদান করে। এর দুটো দিক থাকতে পারে। একটি হল ইতিবাচক আরেকটি হল নেতিবাচক। তৃতীয় দিকটি হল মানুষের মন গুজব দ্বারা প্রভাবিত হতে চায় ও গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এটাকে মাদকের আসক্তির মতো গুজবের আসক্তি বলা যায়।
সামাজিক বিজ্ঞানের ভাষায়, গুজব হল এমন কোনো বিবৃতি যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে অথবা কখনই নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। অনেকের দৃষ্টিভঙ্গিতে, গুজব হল প্রচারণার একটি উপসেট মাত্র। আবার সমাজবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান শাস্ত্রে গুজবের সংজ্ঞার ভিন্নতা পাওয়া যায়। গুজব অনেক ক্ষেত্রে ভুল তথ্য এবং অসঙ্গত তথ্য এই দুই বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ভুল তথ্য বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যকে বুঝায় এবং অসঙ্গত তথ্য বলতে বুঝায় ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা। গুজবকে প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে যেমন গুজবের বিষয়গুলোকে গবেষণার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে, তেমনি গুজববিরোধী কৌশল ও গবেষণার কাজ চলছে। ইউরোপের দেশগুলোতে প্রায় ২০০ মিলিয়নের মতো অভিবাসী আছে। এ ছাড়া এই দেশগুলোতেই বিভিন্ন মনভাবাপন্ন মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করে আসছে। ফলে ভিন্ন ভিন্ন জাতিসত্তা, সংস্কৃতি, ধর্ম ও সমাজ এই দেশগুলোর মধ্যে যাতে কোনো ধরনের অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়টি গবেষণার মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের ডাইনামিক সোসাইটিতে গুজব অস্থিরতা সৃষ্টির একটি প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০০৯ সালে বার্সিলোনা শহরে গুজব প্রতিরোধের কৌশল নিয়ে কাজ শুরু হয়। এখানে এই শহরের অধিবাসীদের একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়, তা হল কোন উপাদানগুলো ভিন্নমুখী সংস্কৃতির মানুষদের একত্রে বসবাস করতে সমস্যা সৃষ্টি করছে। জবাবে ৪৮.১ শতাংশ অধিবাসী অন্যদের সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব, গুজব, কুসংস্কার, অমূলক ধারণা এই বিষয়গুলোকে দায়ী করেছেন। এই উপাদানগুলো কোনো না কোনোভাবে গুজবের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় গুজবকে প্রাধান্য দিয়ে ২০১০ সালের জুন মাসে গুজব প্রতিরোধ কৌশল গ্রহণ করা হয়। এই গুজব প্রতিরোধ কৌশলের দুটি প্রধান দিক ছিল, একটি হল গুজবের বিরুদ্ধে প্রচারণা ও অন্যটি হল গ্রুপভিত্তিক গুজববিরোধী নেটওয়ার্ক তৈরি করা। একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পিত নীতির ওপর ভিত্তি করে মানুষের মধ্যে গুজবের নেতিবাচক ফলাফল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এই নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ও এলাকায় গুজব প্রতিরোধের জন্য এক একটি সুসংঘবদ্ধ ও দক্ষ গ্রুপ বা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়। আবার প্রতিটি প্রতিষ্ঠান একে অন্যের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করে গুজববিরোধী সমাজ বা সংস্কৃতি গড়ে তোলে। বিভিন্ন সভা, সেমিনার, মতবিনিময়, ওয়ার্কশপ ও কনফারেন্সের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে গুজববিরোধী মনোভাব সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়। এখানে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চিন্তাধারারও প্রতিফলন ঘটানো হয়। প্রথমত, এটি ছিল একটি সামাজিক আন্দোলন। দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সুস্থ চিন্তাধারা গড়ে তোলা। অন্যদিকে গুজব প্রতিরোধ বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আধুনিক গবেষণা বলছে, মানুষ যদি কিছু নিয়ম মেনে চলে এবং অন্যকে মানতে উৎসাহিত করে, তবে গুজব প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোনো একটি বিষয়ে তথ্য ও উপাত্ত ছাড়া অন্যের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত নয়, অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে উদার ও সৎ থাকতে হবে, অপরিচিত কারও কথার দ্বারা প্ররোচিত হওয়া উচিত নয়, অবান্তর কথা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অন্যের সঙ্গে কোনো একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে শেয়ার করতে হবে, যাতে কোনো বিভ্রান্তি না ঘটে।
মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়সমূহকে বিশ্লেষণ করে কীভাবে গুজব ছড়ানোর প্রবৃত্তি থেকে তাকে মুক্ত করা যায় এ বিষয়ে গবেষণা চলছে। আমাদের দেশেও সেটি হতে পারে। এ ধরনের গবেষণায় কোন কোন মনস্তাত্ত্বিক উপাদান মানুষকে গুজবে আকৃষ্ট হতে ও গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রে প্রভাবিত করে, সে উপাদানগুলো চিহ্নিত করে গবেষণার মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে গুজব ছড়ানোর প্রধান মাধ্যম হিসেবে অনেকে ব্যবহার করছেন। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের গবেষক ড. কালিনা বনচেভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা, কোনো বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা, ভুল তথ্য প্রদান, অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য- এই চার ধরনের বিষয়কে শনাক্ত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধের জন্য তার গবেষক দল ‘সফিস্টিকেটেড রিউমার ডিটেক্টর’ তৈরি করেছেন, যেটির মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যম, সরকার ও সাধারণ জনগণ চার ধরনের গুজবের সত্যতা যাচাই করতে পারবে। এই পদ্ধতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো উৎস থেকে গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে, তাদের ইতিহাস ও বিভিন্ন কার্যক্রম প্রকাশ করতে সাহায্য করবে, যার মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পারবে বিষয়টি সত্য নাকি নিছক গুজব। আমাদের দেশের আইটি বিশেষজ্ঞদের এ ধরনের গবেষণায় অনুপ্রাণিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে সাইবার ক্রাইম যে একটি অপরাধ, এটি করলে যে আইনের আওতায় পড়তে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে- এ বিষয়গুলো গবেষণার মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করা যায়। ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নাম দিয়ে যে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে একটি মহল গুজব ছড়িয়ে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে। সময়ের সঙ্গে এর প্রকৃতিও পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে এ বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে গুজব প্রতিরোধে কৌশল নিয়ে এখনও তেমন গবেষণা হচ্ছে না। যদি আমরা নিজেদের আধুনিক ও সভ্য মানুষ বলে দাবি করে থাকি তবে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে গুজব যেমন প্রতিরোধ করতে হবে, তেমনি গবেষণার মাধ্যমে অর্জিত ফলাফল থেকে গুজব প্রতিরোধে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তবেই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সচল রাখা সম্ভব।
ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী : অধ্যাপক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর
সূত্র : যুগান্তর