‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেমেয়েরাও অনেক মেধাবী’

‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেমেয়েরাও অনেক মেধাবী’

ফরিদপুরের সদরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ক্যাম্পাস টিভি কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষা বিষয়ক সাক্ষাৎকারভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান ‘আধুনিক শিক্ষায় সক্রিয় প্রিন্সিপাল’ এ অংশগ্রহণ করেন। ক্যাম্পাস টিভির পক্ষে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান। সাক্ষাৎকারটি অনুলিখন ও সম্পাদনা করেছেন মারুফ ইসলাম


সৈয়দ মিজানুর রহমান: ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় আপনাকে আজকের অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাই।

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: আমার মতো অর্বাচীনকে এই অনুষ্ঠানে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও আমার ছোটভাই সৈয়দ রাজুকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

সৈয়দ মিজানুর রহমান: আমরা মূল আলোচনায় চলে যাই। আমরা জানি আপনি একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজে প্রায় পাঁচ বছর ধরে কাজ করছেন। এ ধরনের কলেজে কাজ করতে অনেক ধৈর্য, সাহস ও উদ্ভাবনী শক্তির প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে নারী শিক্ষা যেখানে অনেকটাই পিছিয়ে আছে, সেখানে নারী শিক্ষার উন্নয়নে বা নারীদেরকে এগিয়ে নিতে আপনি কীভাবে কাজ করছেন?

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: আপনি ঠিকই বলেছেন। এটা একটা প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং চর এলাকা। তবে আমি এখানে এসে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে এই কলেজে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি উপস্থিত থাকে। পড়াশোনায় আগ্রহটা মেয়েদেরই বেশি। আমি খেয়াল করে দেখলাম, যেহেতু এটা চর অঞ্চল ফলে ছেলেরা বেশিরভাগ সময়ই বাবার সঙ্গে মাঠে ঘাটে বর্গাচাষে নিয়েজিত থাকে। অন্যদিকে মেয়েরা অনেকটাই ফ্রি থাকে। ফলে দেখা যায়, মা বাবারা মেয়েদেরকেই পড়ালেখার জন্য কলেজে পাঠাচ্ছে। আর জীবিকার তাগিদে এবং অর্থনৈতিক কারণে ছেলেদেরকে নানা কাজে যুক্ত থাকতে হচ্ছে। যার জন্য ছেলেরা কলেজে নিয়মিত নয়। ফলে এখানকার মেয়েরা মোটেও পিছিয়ে নেই। এই তো ডিগ্রি পরীক্ষায় আমাদের দশজন মেয়ে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছে। এটা আমাদের কলেজের একটা বড় অর্জন। এছাড়া আমার কলেজটি প্রতিবছরই উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের পুরস্কার পেয়ে আসছে। আমি নিজেও দুই একবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছি। যাইহোক, সেটা কথা নয়। কথা হচ্ছে ‘নীড় ছোট ক্ষতি নেই, আকাশ তো বড়’—আমি এই নীতিকে বিশ্বাসী। আমি যখন প্রথম এই কলেজে আসি তখন দেখলাম, নীড়টা অনেক ছোট। কিন্তু আকাশটা যেহেতু অনেক বিশাল, আমি তাই আমার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেই আকাশের বিশালত্ব ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম। আমাদের পাশেই রাজেন্দ্র কলেজসহ বড় বড় কলেজ আছে। অনেক শিক্ষার্থী আক্ষেপ করে বলে, আপা আমরা রাজেন্দ্র কলেজে পড়তে পারিনি। আপা আমরা ইয়াসিন কলেজে পড়তে পারিনি। আমি বলি, দেখ, আমি রাজেন্দ্র কলেজে সাত বছর শিক্ষকতা করে এসেছি। আমার মতো শিক্ষকরাই রাজেন্দ্র কলেজে শিক্ষকতা করেন অথবা ঢাকা কলেজে শিক্ষকতা করেন। কাজেই তোমরা মনে করো না যে তোমরা খারাপ শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করছ। এভাবে তাদের হীনমন্মতা কাটাতে হয়েছে। আমার কলেজের স্কাউট দল অনেক বার জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছে। তারা বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে। সদরপুর একটি নদী ভাঙনকবলিত এলাকা। চারপাশে খুবই দুর্দশা। ফলে মাঝে মাঝেই আমার ছেলেমেয়েরা ত্রাণ কর্মসূচিতে বেরিয়ে পড়ে। শুধু ত্রাণ নয়, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, মশক নিধন কর্মসূচি নানা কাজ করে তারা। ভেবে দেখার বিষয় হচ্ছে, পারিবারিক ও সামাজিক নানা বাধা পেরিয়ে তাদেরকে এসব কাজ করতে হয়। ফলে কাজগুলো কিন্তু মোটেও সহজ নয়। একবার এক ভাইভাতে এক মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম, তেমার বাবা কী করেন, মা কী করেন। মেয়েটা অনেকক্ষণ ধরে চুপ করে আছে। একসময় কাঁদতে শুরু করে। আমি বললাম, মা তুমি কাঁদছ কেন? আমি তোমার মায়ের মতো। স্যারেরা তোমার বাবার মতো। তোমার কী হয়েছে বলো। মেয়েটা তখন বলে, আমার বাবা নেশাগ্রস্ত। বাবা আমার মাকে দেখাশোনা করে না। আমি আর আমার মা মামার বাড়িতে থাকি। মা মামার বাড়িতে কাজ করে। এরকম অনেক ছেলেমেয়ে আছে যারা আমাদের দেশের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির নীচে বাস করে। আপনি চিন্তাই করতে পারবেন না তাদের অবস্থা। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে তারা পড়ালেখা করছে।

সৈয়দ মিজানুর রহমান: শুরুতেই একটা ধাক্কা দিলেন। আমাদের অনুমান আসলে ঠিক নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল মানেই মেয়েরা পিছিয়ে থাকবে এমন নয়।

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: আপনি শুনলে আরও আশ্চর্য হবেন। একবার বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে একটা মেয়ে এলো কত্থক নাচের পোশাক পরে। আমি বললাম, তুমি এই নাচ কোথায় শিখেছ? সে বলল, ঢাকায় আমার এক বোন আছে। সে মাঝে মাঝে আসে। তার কাছে শিখেছি। তারপর মেয়েটা যে নাচল, আমি দেখে অভিভূত। ঢাকার কোনো প্রশিক্ষিত নৃত্যশিল্পীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। এরকম প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ মেয়ে আছে ভাবতেও ভালো লাগে। আমাদের কলেজে গানের শিল্পীও অনেক আছে।

সৈয়দ মিজানুর রহমান: আমরা জানি, আপনি নিজেও ভালো গান করেন। আপনি নিশ্চয় শিক্ষার্থীদেরকে গান শেখান।

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: না। সে রকম সুযোগ হয়নি। কিন্তু জাতীয় সংগীত গাওয়া প্রতিযোগতায় জেলা পর্যায়ে আমার কলেজের মেয়েরা প্রথম হয়েছে। সেই ঘটনা বলি। একটা মেয়ে মাত্র একটু আধটু হারমোনিয়াম বাজাতে পারত। গান তেমন কেউ গাইতে পারত না। ওদেরকে তখন জাতীয় সংগীতটা তুলে দিয়েছিলাম। ওদের ভালো জামাকাপড়ও ছিল না। শেষে কলেজের টাকা দিয়ে ওদেরকে লাল পাড় সবুজ শাড়ি কিনে দিয়েছিলাম। কি যে খুশি হয়েছিল ওরা।

সৈয়দ মিজানুর রহমান: আপনার মনে আছে কি না, আপনি কিন্তু আমাকেও গান শিখিয়েছিলেন। যাইহোক। এখন তো সারা পৃথিবীতে একটা মহামারি চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। এই সময় আপনারা কীভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছেন?

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: আমার কয়েকজন শিক্ষক এ ব্যাপারে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। তারা জুমের মাধ্যমে ক্লাস নিয়েছে। ভিডিও ক্লাস নিয়ে কলেজের ওবেসাইটে আপলোড করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অনেক শিক্ষার্থীরই কোনো ডিভাইস নেই। যদি তাদের মোবাইল বা ল্যাপটপ থাকত তাহলে সবাইকেই জুমে অন্তর্ভূক্ত করা যেত। এখানে বেশিরভাগ ছেলে মেয়ের জীবিকার বিষয়টিই অনিশ্চিত। সেখানে তাদের কাছে কীভাবে ছয় সাত হাজার টাকার ডিভাইস আশা করি? উপজেলা পর্যায়ে যা হয়, কলেজের ফান্ড থাকে না। যদি পর্যাপ্ত ফান্ড থাকত তাহলে ছেলেমেয়েদেরকে অন্তত পাঁচ হাজার টাকার ডিভাইস কিনে দিতে পারতাম। তারপরও মোবাইল ফোনে আমাদের শিক্ষকরা তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। নিয়মি যোগাযোগ রাখছেন যাতে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে না পড়ে। পড়ালেখা থেকে একেবারে দূরে সরে না যায়। এখন সরকার যদি চায়, ভেন্যু বাড়িয়ে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা নেবে, তবে সেটাও সম্ভব। আমার কলেজে দুটি ভেন্যুতে আগে পরীক্ষা হতো। এখন চারটা ভেন্যু করা সম্ভব। আমাদের এখন পরীক্ষামুখী হওয়া উচিত। এতে করে যে ৩৫% বখে যাওয়া ছেলেমেয়ের কাছে স্মার্টফোন আছে তারা অন্তত পরীক্ষাভীতির কারণে হলেও পড়ালেখায় মনোযোগী হবে।

সৈয়দ মিজানুর রহমান: এখানে আপনার সঙ্গে একটু দ্বিমত করতে চাই। স্মার্টফোন থাকলেই সেই ছেলেমেয়ে বখাটে কেন হবে?

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: আমি সবার কথা বলিনি। সবাই নিশ্চয় বখাটে নয়। আমি এখানকার প্রেক্ষাপটে বলেছি। একদিনের ঘটনা বলি। বিরাট দামি মোটর সাইকেল হাকিয়ে উপবৃত্তির ফরম জমা দিতে এসেছে একটি ছেলে। আমার হাসব্যান্ড এত বছর চাকরি করার পরেও এ রকম একটা মোটরসাইকেল কেনার সামর্থ অর্জন করতে পারেনি, সেই ছেলে তেমন একটা মোটর সাইকেল নিয়ে কলেজে এসেছে। দেখেই বুঝলাম, মা বাবার আদরের নন্দদুলাল। একবার ক্লাস থেকে বেশ কিছু স্মার্টফোন সিজ করেছিলাম। পরে দেখা গেল কেউ বোনকে মা সাজিয়ে, মামাকে বাবা সাজিয়ে, বন্ধুকে বড় ভাই সাজিয়ে তারা আমার অফিসে এসেছে ফোন উদ্ধার করতে। এসব প্রেক্ষাপটেই বলেছি।

সৈয়দ মিজানুর রহমান: আপনি একদিকে বলছেন, এটা যতই প্রত্যন্ত অঞ্চল হোক না কেন, এখানে প্রচুর মেধাবী ছেলেমেয়ে আছে। আবার বলছেন, টেকনোলজির কারণে অনেকই বখে যাচ্ছে। কিন্তু পৃথিবী যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে টেকনোলজি থেকে দূরে থাকলে ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে পড়বে কী না। আপনি কী মনে করেন?

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: পিছিয়ে তো পড়বেই। আমি আমার একটা ছেলের কথা বলি। সে আমার কলেজে জিওগ্রাফিতে পড়ে। খুবই মেধাবী। কিন্তু তাকে আমি কোনোভাবেই খুঁজে পাচ্ছি না। যদি তার একটা স্মার্টফোন থাকত তাহলে তাকে আমি কলেজের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত করতে পারতাম। এখন বাস্তবতা আরও আছে। এখানে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক খুবই খারাপ। সদরপুরে প্রতিদিন অন্তত দু ঘণ্টা ইলেকট্রিসিটি থাকে না। কখনো কখনো সারাদিন থাকে না। বাধ্য হয়ে আমরা কলেজে সোলার বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। তাহলে আপনিই বলুন, এতগুলো ছেলেমেয়েকে তাহলে কীভাবে আমি টেকনোলজির সুবিধা দিব। আমাদের চারপাশে অনেক কালো টাকার ছড়াছড়ি দেখি। তারা যদি তাদের কালো টাকাকে সাদা করার স্বার্থে এই গরীব ছেলেমেয়েদের দিকে একটু নজর দেন তাহলে কিন্তু সরকারও উপকৃত হয়।

সৈয়দ মিজানুর রহমান: একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে যাই। এখনকার ছেলেমেয়েরা প্রায় সবাই কোনো না কোনোভাবে টেকনোলজির সঙ্গে যুক্ত। তারা টিকটক বানাচ্ছে, ভিডিও বানাচ্ছে, নানা কিছু করছে। আপনার কলেজের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য আপনার কোনো আইডিয়া আছে কী?

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: আমার কলেজের ছেলেমেয়েরা সাংস্কৃতিকভাবে এমনিতেই বেশ উন্নত। তারা বরাবরই জেলা পর্যায়ে নাচ, গান, বিতর্কে পুরস্কার পায়। নজরুল জয়ন্তী, রবীন্দ্র জয়ন্তীসহ বিভিন্ন উপলক্ষে তাদের জন্য প্রতিযোগতার আয়োজন করে থাকি। সরকার যদি আমাদেরকে একটু প্রণোদনা দিত তাহলে আমার কলেজের ছেলেমেয়েদেরকে টেকনোলজির সঙ্গে যুক্ত করতে পারতাম। তারা অনেক ভালো জায়গায় যেতে পারত।

সৈয়দ মিজানুর রহমান: আপনি কী মনে করেন, আপনার সকল শিক্ষক টেকনোলজির মাধ্যমে পড়ালেখা করানোর জন্য তৈরি আছেন?

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: দেখুন, আমার শিক্ষকদের কারও বাড়ি মানিকগঞ্জ, কারও ঢাকা, কারও সাতক্ষীরা। যেহেতু কলেজ বন্ধ, তাই বেশিরভাগ চলে গেছেন বাড়িতে। অল্প কয়েকজন আছেন কলেজ স্টেশনে। ফলে তাদেরকে দিয়েই অনলাইন কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এখানে একজন শিক্ষকের কথা বলতেই হয়। উনি জিওগ্রাফির শিক্ষক। বাড়ি চট্টগ্রাম। উনি চট্টগ্রাম থেকেই জুমের মাধ্যমে ক্লাস নিচ্ছেন। শুধু আমার কলেজের শিক্ষার্থীদেরকেই নয়, তিনি চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থীদেরকেও তার ক্লাসে যুক্ত করেছেন।

সৈয়দ মিজানুর রহমান: আমরা অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। কিন্তু আপনার কণ্ঠে গান না শুনে তো অনুষ্ঠান শেষ হতে পারে না। অন্তত এক লাইন…।

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: হা হা হা। বড় শিল্পীদের মতো করে বলি, আজ তো আমার গলা বসে গেছে। তবু চেষ্টা করছি। ও আলোর পথযাত্রী…।

সৈয়দ মিজানুর রহমান: ও আলোর পথযাত্রী, এ যে রাত্রি, এখানে থেম না। এটাই হোক আমাদের মূলমন্ত্র। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়: আপনাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা।

Sharing is caring!

Leave a Comment