নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের লাভ কী?
- সারমিন আক্তার
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ব্রিকস জোটের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের নতুন সদস্য হিসেবে যোগদান করেছে বাংলাদেশ। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক হচ্ছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত। ব্যাংকটি গঠিত হয় ২০১৫ সালে।
ব্যাংকটি মূলত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো এবং নগর উন্নয়নের বিভিন্ন কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এছাড়াও এনডিবি চুক্তি মতে ঋণ, ইকুইটি অংশগ্রহণ এবং গ্যারান্টীসহ অন্যান্য আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রকল্পগুলোকে সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং অন্যান্য আর্থিক সংস্থাগুলোর সাথেও একজোটে সহযোগিতা করে। আর্থিক সহায়তা ছাড়াও ব্যাংকের সমর্থিত প্রকল্পগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রদান করে থাকে এই ব্যাংক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন অব্দি ব্যাংকটি সদস্য দেশগুলোর মোট ৮০টি প্রকল্পে প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশের এই ব্যাংকের সদস্যপদ লাভ করা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথকে আরো সুগম করবে বলে আশা করা যায়। ব্যাংকের কাজের ধারা অনুযায়ী এর সহায়তার আওতাভুক্ত প্রকল্পগুলোতে বাংলাদেশও এখন সমর্থন পাবে যা বাংলাদেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করবে। সদস্যপদ হিসেবে বাংলাদেশ ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং উরুগুয়ের নামও আসে একইসাথে। ২০২০ সালের শেষের দিকে এনডিবির বোর্ড অব গভর্নর্স সম্ভাব্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার অনুমোদন দেয়। কয়েক দফা আলোচনা শেষে এই তিনটি দেশকে নিজেদের নতুন সদস্যদেশ হিসেবে ঘোষণা করে। সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা পেয়ে থাকবে। এমনকি দেশের যাতায়াত, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল অবকাঠামো, পানি ও পয়নিষ্কাশন, সামাজিক অবকাঠামো এবং নগর উন্নয়ন খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও ঋণ গ্রহণের সুবিধা পেয়ে থাকবে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের গতি দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশের নামের স্বার্থকতা বজায় রাখতে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্যপদ প্রাপ্তি এবং এর সহায়তা দেশের উন্নয়নের গতি আরো একধাপ এগিয়ে নেবে যা দেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে একটি নতুন অংশীদারিত্ব তৈরির পথকে সুগম করেছে।