সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন চঞ্চল চৌধুরী

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন চঞ্চল চৌধুরী

  • আফরিদা ইফরাত

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ যেকোনো সময় বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানতে পারে।আবহাওয়াবিদেরা সবাইকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সঙ্গে অবস্থান করতে বলছেন, জানানো হয়েছে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত।

উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। তবে আটকে পড়েছেন সমুদ্রপ্রেমী ভ্রমণপিপাসু বহু পর্যটক, সেই সঙ্গে আটকে পড়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীও।
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমার শুটিং চলছে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলবর্তী এলাকায়। এ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য সেন্টমার্টিন অবস্থান করছিলেন এ সিনেমার অন্যতম অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এবং অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রীসহ শতাধিক কলাকুশলী, তারা সকলেই আটকে পড়েছেন।

সিনেমাটির পরিচালক জানিয়েছেন,’এটা সমুদ্রতীরবর্তী মানুষের গল্প না। একেবারে সমুদ্রের জলের সঙ্গে মিশে যাওয়া জেলেদের গল্প। জলের গল্প মাছ ধরার ট্রলারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কাহিনী। গভীর সমুদ্রে ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য মাছ ধরতে যান জেলেরা সেখানকার অভিজ্ঞতা এটি। আমাদের এ অঞ্চলে জলকেন্দ্রিক যে মিথোলজি আছে, তার একটা আধুনিক উপস্থাপনা বলতে পারেন।’

চিত্রনাট্যের আবেদনেই গভীর সমুদ্রে শুটিং করতে হয় এবং সেখানেই ঝড়ের কবলে পড়েছিলেন তারা।
মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার সকালে আমরা সেখানে যাই। যাওয়ার পর পরিস্থিতি ওতোটা ততটা বুঝতে পারিনি। কিন্তু দুপুরের পর আবহাওয়া দ্রুত খারাপ হতে থাকে। ঢেউ ভয়ংকর থেকে আরও ভয়ংকর হতে শুরু করে। অনেক উঁচু উঁচু ঢেউ। ট্রলারের লোকজন দ্রুত ফিরে যাওয়ার জন্য তাগিদ দেন। আমরাও ভয় পেয়ে যাই। ফিরে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু সন্ধ্যার আগে সেন্ট মার্টিনের কাছাকাছি এসে মূল ট্রলার থেকে ছোট ট্রলারে কোনোভাবেই নামতে পারছিলাম না। ভয়াবহ স্রোত আর মনে আতঙ্ক তৈরি করার মতো ঢেউ। সঙ্গে বাতাস আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। মনে হচ্ছিল নৌকা একেবারে উল্টে যাবে। সব মিলিয়ে খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে সবার।’

এছাড়া সিনেমার শুটিং নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা পরিচালক জানিয়েছেন, ‘গভীর সমুদ্রে গিয়ে শুটিং করতে হচ্ছে। নানা ঘটনা ঘটছে, রোমাঞ্চকর যেমন, তেমনি আনন্দেরও। জোছনা রাতে সমুদ্রের ভেতরে শুটিং করেছি,এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
সিনেমাটির পরিচালক এবং চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও অভিনেত্রী নাজিফা তুশি, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, রিজভি, নাসিরসহ আরো অনেকেই আটকা পড়েছেন প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। এখন তাঁরা সকলেই হোটেলে নিরাপদে অবস্থান করছেন।

Sharing is caring!

Leave a Comment