আজ থেকে শুরু নবম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব
বিনোদন ডেস্ক: চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আজ শনিবার শুরু হচ্ছে ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব’ এর নবম আসরের প্রথম ধাপ।‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটে শুরু হচ্ছে উৎসব। উৎসবে ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটের মোট ১৫টি ভেন্যুতে ৩০টি দেশের দেড় শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বর ও শওকত ওসমান মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনোয়ার।
উদ্বোধনী দিন প্রদর্শিত হবে জার্মানির চলচ্চিত্র ‘মাই ফ্রেন্ড রাফি’। ঢাকায় উৎসবের মূল কেন্দ্র কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তন। উদ্বোধনী দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ১১ টা, ২ টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট ৪টি করে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার অন্য কেন্দ্রগুলোয় বেলা ১১ টা, ২ টা, বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। যা অভিভাবকসহ শিশুদের জন্য উন্মুক্ত। উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকবে ‘শিশুদের ওপর নির্যাতন’ বিষয়ক দুই পর্বের সেমিনার। তাছাড়া উৎসবের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও আরও কিছু বিষয় নিয়ে দুটি কর্মশালার আয়োজন করা হবে। কর্মশালা পরিচালনা করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম ও অমিতাভ রেজা। উৎসবে থাকছে দর্শক ও অতিথিদের মধ্যে কথোপকথন পর্ব। প্রথম দিন দর্শকদের সঙ্গে কথা বলবেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। দ্বিতীয় দিন যুদ্ধদিনের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিচারণ করবেন দুজন মুক্তিযোদ্ধা।
উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে চারটি বিভাগে। প্রতি বিভাগে সেরা নির্মাতা আলাদাভাবে পুরস্কৃত হবেন। খুদে নির্মাতাদের নির্মিত বাংলাদেশি ছবি বিভাগে এ বছর জমা পড়েছে ৮০টি চলচ্চিত্র। এর মধ্য থেকে নির্বাচিত ৩৩টি ছবি প্রদর্শিত হবে উৎসবে। সেখান থেকে পাঁচটি ছবিকে পুরস্কৃত করা হবে। সেরা ছবি নির্বাচন করবে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের ৫ সদস্যের জুরি বোর্ড। অন্যদিকে বড়দের নির্মিত শিশুতোষ চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, চলচ্চিত্র সমালোচক সাজেদুল আউয়াল এবং জাকির হোসেন রাজু। আরও থাকছে তরুণ নির্মাতাদের জন্য ‘ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘সোশ্যাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’।
পূর্বের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে এবার পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বিভাগে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপ শেষ হলে ফেব্রুয়ারিতে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে, এরপর মার্চে রংপুর, খুলনা ও বরিশালে। ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে আয়োজন করা হবে উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রাণ-আর এফ এল গ্রুপ। উৎসবে আরও সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। ভেন্যু পার্টনার হিসেবে থাকছে আলিয়ঁস ফ্রঁসেস ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়।