ডার্ক: টাইম ট্রাভেল, প্যারাডক্স আর ওয়ার্মহোল নিয়ে নেটফ্লিক্সের চমৎকার টিভি সিরিজ

ডার্ক: টাইম ট্রাভেল, প্যারাডক্স আর ওয়ার্মহোল নিয়ে নেটফ্লিক্সের চমৎকার টিভি সিরিজ

  • ওয়াছি আহসান

২০১৭ সালের শেষের দিকে নেটফ্লিক্স নিয়ে আসে সায়েন্স ফিকশন ও থ্রিলার ধাচের জার্মান টিভি সিরিজ ডার্ক। টিভি সিরিজ ভক্তরা যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিনেল স্ট্রেঞ্জার থিংসের সেকেন্ড সিজনের জন্যে ঠিক তখনি নেটফ্লিক্স তাদের দর্শকদের জন্যে হাজির হয় ডার্ক নিয়ে। যা দর্শকদের মোটেও হতাশ করেনি বরং বলতে ব্যাধ হচ্ছি যদি না দেখে থাকেন তবে খুব ভাল একাটি টিভি সিরিজ মিস করবেন।

সিরিজটি ব্যারেন বো এবং জান্তজে ফ্রিজ তৈরি করেছেন  আর সর্বমোট ১০টি পর্ব রয়েছে। প্রতিটি এপিসোডের ব্যপ্তিকাল ৪৫-৬১ মিনিট।

ডার্ক সিরিজটিতে তিনোটি টাইম লাইন (১৯৫৩-১৯৮৬-২০১৯) দেখানো হয়েছে। সিরিজে সময়কে লিনিয়ার ভাবে দেখানো হয়নি মানে সিজিরে যা কিছু দেখানো হয়েছে সব ঘটনাই এক চক্রের মধ্যে আবদ্ধ।আমরা মনে করি অতিত হল যা আগে ঘটেছে, বর্তমান এখন যেটা হচ্ছে  আর ভবিষ্যৎ সামনে যেটা  হতে যাচ্ছে। কিন্তু এটা কতটা সত্য? নাকি এরকমটা হতে পারে যেখানে অতিত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ একরকম ইল্যুয়েশন! যেখানে অতিত বর্তমানকে প্রভাবিত না করে বর্তমান অতিতকে প্রভাবিত করছে। ডার্ক সিরিজের কাহিনি মূলত এই থিউরি নিয়ে।

সিরিজটির কাহিনী শুরু হয় ২০১৯ সালে। জার্মানির ছোট্ট একটি শহর উনডেন যেখানে একটি বাচ্চার গায়েব হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে শহরে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থেকে। সিরিজে সর্বমোট চারটি পরিবারের তিন জেনারেশনে কাইনি দর্শকরা দেখতে পাবে। প্রথমে জোনাস কাহনওয়ান্ড (কাহনওয়ান্ড পরিবার) যে তার বাবার আত্মহত্যা কারনে মানসিক ভাবে কিছুটা খারাপ সময়ের মধ্যে রয়েছে। এরপরে রয়েছে পুলিশ অফিসার উলরিচ নিলসন (নিলসন পরিবার) যার ছোট ভাই ৩৩ বছর আগে একই ভাবে শহর থেকে উধাও হয়েছিল, এবং নিলসনের এক মহিলা পুলিশ সহকর্মী সারলে ডপলর (ডপলার পরিবার)। সর্বশেষ টাইডম্যেন পরিবার যারা উনডন শহরের নিউক্লিয়ার পাওয়ারপ্লান্টের দায়িত্বে রয়েছে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের নিচে একটি গুহা রয়েছে যেখান থেকেই এই সব রহস্যময় ঘটনার শুরু।

কাহিনী মূলত ২০১৯ এ শুরু হলেও টাইম ট্রাভেলের মাধ্যমে এই সিরিজ দর্শকদের ১৯৮৬ আর ১৯৫৩ সালে নিয়ে যায় ফলে এই চারটি পরিবার একটি টাইম লুপের মধ্যে আটকা পরে। স্টোরি টেলিং আর ক্যারেকটার ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে পরিচালকের প্রশংসা করতেই হবে। প্রথম পর্ব থেকে শেষ পর্ব অব্দি দর্শকদের বিরক্ত করবে না। সাথে রয়েছে এর অসাধারণ ব্যেকগ্রাউন্ড মিউজিক।

ডার্ক সিরিজের আইএমডিবি রেটিং ৮.৭ , এর মেটাক্রিটিক্স স্কোর ৬৭ এবং রটেন ট্মাটতে এর অডিয়েঞ্চ স্কোর ৯৪। আপনি যদি নেটফ্লিক্স আর টাইম ট্রাভেলের ভক্ত হয়ে থাকেন তবে ডার্ক আপনারই জন্যে।

Sharing is caring!

Leave a Comment