টেলিভিশন নাট্যকারদের সম্মেলন ২ এপ্রিল
- হাসনাত কাদীর :
নাটক-সিনেমায় আমরা একটি গল্প দেখি। সেই গল্পের জন্ম কারো মনোভূমিতে। কল্পনার গল্পটিকে খাতার পাতায় নাটক হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন নাট্যকার। নাট্য নির্মাতা তাকে খাতার পাতা থেকে তুলে আনেন ক্যামেরায়। মনোভূমিতে জন্ম নেয়া গল্প হয়ে ওঠে বাস্তব। তাই পরিচালক কে যদি কোন নাটকের পিতা বলা হয় নাট্যকারকে বলা হবে আদি পিতা। বস্তুত, নাট্যকারের কলমের আচড়ে আঁকা স্বপ্নই তো তুলে আনে ক্যামেরা।
অথচ সেই নাট্যকাররা চরম অবহেলিত হচ্ছেন আজকাল। প্রায়ই নানা ধরনের অভিযোগ আর হতাশার কথা শোনা যায় তাদের। প্রযোজক, পরিচালক নাট্যকারের সম্মানী দিচ্ছেন না, স্ক্রিপ্ট চুরি কিংবা নতুন কোন নাট্যকারের নাটক বিলকুল অন্য কারো নামে চালিয়ে দেয়ার মত ঘটনা মিডিয়ায় অহরহ ঘটছে। অনেক হয়েছে। এখন এর প্রতিকার প্রয়োজন। এমনই ভাবনা থেকে নাট্যকারদের প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা। সেই অনুভব থেকেই জন্ম ‘টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের বলে জানালেন সংঘের আহ্বায়ক জনপ্রিয় নাট্যকার মেজবাহ উদ্দিন সুমন।
আগামী ২ এপ্রিল বাংলাদেশে এই প্রথম বারের মতো টেলিভিশন নাট্যকারদের জাতীয় সম্মেলন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সেমিনার কক্ষ অনুষ্ঠিত হবে। এই সংঘের কার্যাবলী নিয়ে মেজবাহ উদ্দিন সুমন বলেন, মূলত নাট্যরদের স্বার্থসংরক্ষণ এবং আত্ম উন্নয়নের লক্ষ্যে সংঘ কাজ করবে। এছাড়া নাট্যকারদের পান্ডুলিপি সংরক্ষণ, প্রকাশনা এবং নতুন নাট্যকারদের জন্য কর্মশালা আয়োজনের ব্যাপারগুলিও আমাদের মাথায় রয়েছে।
তিনটি খন্ড নাটক বা একটি টেলিফিল্ম অথবা একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হয়েছে এমন যেকোন নাট্যকার সংঘের সদস্য হতে পারবেন। এছাড়া নাটক প্রচারিত হয়নি এমন নাট্যকারেরা অপেক্ষমাণ বা প্রাথমিক সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন সংঘের সাথে। টেলিভিশন নাট্যকারদের সম্মেলন কে সফল করার জন্য একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক- মেজবাহ উদ্দিন সুমন, সদস্য সচিব- শফিকুর রহমান শান্তনু। কার্যকরী সদস্য – ইফফাত আরেফীন তন্বী, প্রসুন রহমান, মহিউদ্দীন আহমেদ, জাকির হোসেন উজ্জল, হামেদ হাসান নোমান, ফরহাদ লিমন, রেজাউর রহমান রিজভী, উৎপল সর্বজ্ঞ।