সফল লাউ চাষী ইসমাইল হোসেন

সফল লাউ চাষী ইসমাইল হোসেন

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

লাউ মুলত গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুর সবজি হলেও বর্তমানে কৃষকরা সারাবছর লাউ চাষ করতে পারেন। বিজ্ঞান উৎকর্ষের যুগে আধুনিক পদ্ধতিতে সারাবছর লাউ চাষ হলেও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটবাউর গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষকরা তাদের লোকায়ত জ্ঞান প্রয়োগ করেই সারাবছর এ লাউ চাষ করেছেন। মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের ভাটবাউর গ্রামের কৃষক মো. ইসমাইল হোসেন অন্যতম। 8e1a6091-ef33-44ad-8273-440be1056c60

বর্তমানে যে লাউটি তিনি সারাবছর চাষ করেছেন সেটার বীজ তিনি তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন। তাঁর বন্ধুর জমিতে এই লাউয়ের ভালো ফলন দেখে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন তাঁর নিজের জমিতে আবাদ করার। তিনি বলেন, “আমি স্বচোখে লাউয়ের ভালো ফলন দেখে তার কাছে বীজ নিয়েছি। প্রথমে আমি জমিতে হালি পেঁয়াজ রোপণ করি এক মাসপর এই পেয়াজের কেলে লাউয়ের বীজ রোপণ করি।” তিনি আরও বলেন, “রোপণকৃত লাউয়ের বীজ গজাতে থাকে। পেঁয়াজ উঠানোর পর জমিতে ভালো করে নিরানি দেই।” দেড় মাস ইসমাইল হোসেনের রোপণকৃত লাউয়ের ফলন শুরু হয়। এক লাউ যে উৎপাদিত হবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।

উৎপাদিত লাউ বাজারে বিক্রি করে ভালোই লাভবান হয়েছেন ইসমাইল হোসেন। শুধুমাত্র লাউ বিক্রি করেই তিনি প্রায় এক লাখ টাকা আয় করেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, “আমি পরিশ্রম করে বুদ্ধি খাটিয়ে এ অর্থ উপার্জন করেছি। এই টাকা আমার সংসারে উন্নতি আনবে এবং দেশেরও উন্নতি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।” তাঁর আবাদৃকত লাউয়ের ভালো উৎপাদন দেখে অন্যরাও তাঁর কাছ থেকে বীজ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে তিনি জানান।

ইসমাইল হোসেন তাঁর পূর্ব পুরুষের কাছ থেকেই লোকায়ত পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের শস্য-ফসল উৎপাদন করার কৌশল শিখেছেন। কৃষিকাজের পাশাপাশি তিনি ফলের ব্যবসাও করেন বলে জানান। favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment