বাটিক শিল্পে সহজ ক্যারিয়ার

বাটিক শিল্পে সহজ ক্যারিয়ার

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

নিজের পায়ে দাঁড়াতে, নিজের রোজগারে নিজে চলতে কে না চায়? কিন্তু সবার পক্ষে তো ঘরের বাইরে গিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। তবে কিছু কিছু কাজ আছে, যা ঘরে বসেই করা সম্ভব এবং অর্থ আয় করা সম্ভব। এর মধ্যে একটি হলো বাটিক শিল্প। কাপড়ের কিছু অংশে নকশা এঁকে তারপর নকশাটি মোম দিয়ে ঢেকে সেটা রঙে ডুবিয়ে যে পদ্ধতিতে কাপড় রং করা হয় তাকে বাটিক প্রিন্ট বলে। খুব স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে যে কেউ এই শিল্পকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। অন্যান্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে খুব সময়ে বাড়িতে করতে পারেন কাপড়ে বাটিক ছাপার কাজ। যে কেউ এই কাজ করতে পারে। এর জন্য শুধু প্রয়োজন কাজ করার ইচ্ছা এবং পরিশ্রম করার মানসিকতা।

কাজ শুরুর আগে
বাংলাদেশে বাটিক হস্ত ও কারুশিল্প হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। ষাটের দশকে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ শিল্প প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাটিক শিল্পকে পেশা হিসেবে নেবার আগে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন :

  • একটি স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিন বাটিক প্রিন্ট সম্পর্কে। এতে আপনার কাজ সহজ হয়ে যাবে বহুগুণ।
  • বাটিক প্রিন্টের কাপড় ও পোশাকের বাজারদর, কারা এসব বিক্রি করে, ডিলার কারা – এসব ব্যাপারে ভালোভাবে খোঁজখবর করুন।
  • বাটিক প্রিন্টের বিভিন্ন উপকরণ, রং ইত্যাদি কোথায় ভালো ও উন্নতমানের এবং কম দামে পাওয়া যায় খোঁজখবর নিন। বিক্রেতাদের ফোন নম্বর মনে করে নিয়ে রাখুন যাতে পরে প্রয়োজনে সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন।
  • যাদের কাছে আপনার পণ্য বিক্রিয় করবেন তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। ফ্যাশন হাউজগুলোর সাথে কথা বলুন।
  • নিজের প্রতিষ্ঠানের একটি নাম ঠিক করে নিন। এবং সেই প্রচার ও বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করুন। প্রতিষ্ঠানের নাম, যোগাযোগের ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ আপনার কার্ড তৈরি করুন।

প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বাটিকের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই এসব প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানেই এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিয়ে কাজ শুরু করা সম্ভব।

কাজ শুরু
কাজের শুরুতে প্রথমেই কিনে ফেলতে হবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। বাটিক প্রিন্টের কাজে প্রয়োজন পড়বে চুলা, মোম গলানোর পাত্র, মোম লাগানোর তুলি, ব্রাশ, বালতি, গামলা, জান্টিং, রং, মোম, রজন, ফ্রেম, স্কেল ইত্যাদি। এসব পেয়ে যাবেন যেকোনো হার্ডওয়্যারের দোকানে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করা হয়ে গেলে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। প্রথম প্রথম রঙের গন্ধের কারণে কাজ করতে অসুবিধা অনুভব হলেও পরে অভ্যাস হয়ে যাবে।

মনে রাখুন

  • যে কাপড়ে বাটিক করবেন তা যেন অবশ্যই মাড় ছাড়া হয়।
  • ভুল জায়গায় মোম পড়ে গেলে তার উপরে চোষ কাগজ রেখে গরম ইস্ত্রি ধরুন, বাড়তি মোম উঠে যাবে।
    নতুন রং তৈরিতে আগে অল্প কাপড়ে রং করে দেখুন।
  • কাপড় প্রথমে ছায়ায় শুকিয়ে নিন। পরে মাড় দিয়ে কাপড় রোদে শুকিয়ে ইস্ত্রি করুন।
  • মনে রাখবেন, ভালো ব্যবহারই ব্যবসার সাফল্যের মূলমন্ত্র। তাই সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment