অল্প পুঁজিতে অনেক রকম ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে অনেক রকম ব্যবসা

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক 

কাঁচা আমের টক আচার

\”আমের আচার তৈরি ব্যবসার জন্য তেমন কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। তবে স্থানীয়ভাবে রান্না শেখার যে সকল প্রতিষ্ঠান আছে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে আচার তৈরির ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। আনুমানিক ১৮০০-২০০০ টাকা মূলধন নিয়ে আমের টক আচার তৈরির ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। বড় আকারে এ ব্যবসা শুরু করতে নিজের কাছে যদি প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকে তবে ঋণদানকারী ব্যাংক, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়া যেতে পারে। \”

শনপাপড়ি তৈরি

“মজাদার খাবার হিসেবে শনপাপড়ি সব বয়সী মানুষই পছন্দ করে। বিশেষ করে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে এটি খুবই প্রিয় একটি খাবার। শনপাপড়ি তৈরি শেখার জন্য তেমন কোন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। শনপাপড়ি তৈরির ব্যবসা করে এমন কারো কাছ থেকে ধারণা নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। আনুমানিক ৪৫০০-৫০০০ টাকার মূলধন নিয়ে শনপাপড়ি তৈরির ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। শনপাপড়ি তৈরির ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকলে ঋণদানকারী ব্যাংক, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়া যেতে পারে। \”

কাঁচা আম সংরক্ষণ

আম কাঁচা অবস্থায় সংরক্ষণের মাধ্যমে মজুদ করা হলে সারাবছর খাবার পাশাপাশি আচার, চাটনি, মোরব্বাসহ অন্যান্য মুখরোচক খাবার তৈরি করে বিক্রির মাধ্যমে নিজের আয় বাড়ানো যায়। কাঁচা আম সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে এ কনটেন্ট তৈরি করা হয়েছে।

মুরালী তৈরি

মুরালী বানানো ও বিক্রি সহজ এবং তাই এটা একটি সম্ভাবনাময় ব্যবসা। অল্প খরচে, কিছু জিনিস ও কাঁচামাল ব্যবহার করে মুরালী ব্যবসা শুরু করা যায়। ভিডিও কনটেন্টিতে মুরালী বানানোর পদ্ধতি ও খরচের হিসাব এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহীদের জন্য দেয়া হয়েছে।

মুড়ি ও চিড়ার মোয়া তৈরি

মুড়ি ও চিড়ার সাথে গুড় মিশিয়ে মোয়া বানানো হয়। যে কেউ মোয়া তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারেন। কিছু স্থায়ী জিনিস এবং কাঁচামাল ব্যবহার করে মোয়া তৈরি করা যাবে। আগ্রহী ব্যবসায়ীদের জন্য ভিডিও কনটেন্টিতে মুড়ি ও চিড়ার মোয়া বানানোর পদ্ধতি এবং আনুষঙ্গিক খরচ দেয়া হয়েছে।

আপলোডের তারিখ: ২০১০-০৮-২৪ ১২:৫০:০৪ | দেখা হয়েছে: ৯৫ বার | তথ্য : প্যানোরমা-এটুআই
মতামত

আখের রস

ছোট-খাটো নানারকম ব্যবসার মাধ্যমে মানুষ জীবনধারণের ব্যবস্থা করে থাকে। এরকম একটি ব্যবসা হচ্ছে আখের রস বিক্রি ব্যবসা। পাইকারি দরে আখ কিনে পরিষ্কার-পরিছন্নভাবে মেশিনে আখের রস তৈরির ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।

পপকর্ন

ভুট্টা থেকে তৈরি পপকর্নের ব্যবসা প্রথমে শহরে শুরু হলেও ধীরে ধীরে গ্রামাঞ্চলেও এ ব্যবসার বিস্তার হচ্ছে। ছোটবড় সব বয়সের বিশেষ করে অল্প বয়েসী ছেলেমেয়েদের কাছে পপকর্ন খুব প্রিয় একটি খাবার। হালকা নাস্তা হিসেবে গরম গরম পপকর্নের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ছোট দানার ভুট্টা থেকে পপকর্ন তৈরি ব্যবসার মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি তার কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে পারেন।

চানাচুর তৈরি

বাড়িতে বসে খুব সহজে চানাচুর তৈরির পর বাজারজাত করতে পারলে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। বেসনের সাথে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে চানাচুর তৈরি করা হয়। মুখরোচক এ খাবারটি সব বয়সের মানুষেরই খুব পছন্দের ।

শুকনো বরই’র আচার

বিভিন্ন উপাদান দিয়ে আচার তৈরি করা যায়। যেমন- চালতা, আম, জলপাই ইত্যাদি। এর মধ্যে বরই’র আচার অন্যতম। সববয়সী বিশেষ করে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে বরই’র আচার খুবই পছন্দের একটি খাবার। উন্নত উপায়ে আচার তৈরি করলে তা বেশি দিন সংরক্ষণ করা সম্ভব। বরই’র আচার তৈরির পর তা পাইকারি দরে দোকানে দোকানে সরবরাহ করে সংসারের আয় বাড়ানো সম্ভব।

চানাচুর তৈরি

চানাচুর তৈরি ও বিক্রি করে একটি পরিবারের সফল হওয়ার বর্ণনা এই ক্লিপে দেখানো হয়েছে।

ভেলপুরি বিক্রি

“ভেলপুরি একটি জনপ্রিয় খাবার। ভেলপুরি তৈরি ব্যবসায় অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে ভালো আয় করা সম্ভব। পুরির মধ্যে ঘুঘনি, শসা ও তেঁতুলের টক দিয়ে ভেলপুরি তৈরি করা হয়। সাধারণত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ভেলপুরির প্রধান ক্রেতা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে ভেলপুরি বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে স্কুল-কলেজ ছাড়াও হাট-বাজারে ভেলপুরি বিক্রি করতে দেখা যায়। “

সন্দেশ

“মিষ্টি খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে সন্দেশ অন্যতম। ছানা, চিনি, ময়দা ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে সন্দেশ তৈরি করা হয়। যে কোনো ব্যক্তির কাছেই সন্দেশ একটি লোভনীয় খাবার। অতিথি আপ্যায়নে, যে কোনো শুভ সংবাদে, ধর্মীয় বা সামাজিক উৎসবে আমরা সন্দেশ কিনে থাকি। বাড়িতে বসে সন্দেশ তৈরি করে খাবারের দোকানে বা যে কোনো উৎসবে অর্ডারি হিসেবে সরবরাহ করা সম্ভব। “

চমচম

চমচম খুব জনপ্রিয় একটি মিষ্টান্ন। অতিথি আপ্যায়নে বা যে কোনো শুভ সংবাদে আমরা চমচম কিনে থাকি। বিভিন্ন সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে চমচমের চাহিদা থাকে। বাড়িতে চমচম তৈরি করে খাবার দোকানে সরবরাহ করা যেতে পারে। চমচম কনটেন্টটিতে চমচম – এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান, পুষ্টিমান এবং সর্বোপুরি এর মাধ্যমে কীভাবে বাড়তি আয় করা সম্ভব, সেই বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে ।

ছানা

টাটকা ছানা খেতে খুবই সুস্বাদু। অনেকেই শুধু ছানা খেতে বেশ পছন্দ করেন। আবার ছানা দিয়ে রসগোল্লা, রসমালাই, চমচম ইত্যাদি মিষ্টি পণ্য তৈরি করা হয়। নিজেরা মিষ্টি তৈরি করলে নিজেরাই ছানা তৈরি করে নেয়া যায় আবার মিষ্টি তৈরি ব্যবসায়ীদের কাছেও নির্দিষ্ট মূল্যে ছানা বিক্রি করা সম্ভব।

গুড়ের টানা তৈরি

যে কোনো লোক বিশেষ করে অল্প বয়সীদের কাছে গুড়ের টানা হচ্ছে খুবই প্রিয় একটি খাবার। শহর বা গ্রাম দুই জায়গাতেই গুড়ের টানার কদর রয়েছে। তবে গ্রামে এর বিক্রি বেশি হয়ে থাকে। যে কোনো উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় গুড়ের টানা বিক্রির পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়া স্কুল, পার্ক, আবাসিক এলাকাতেও এ ব্যবসা ভালো চলে। অল্প পুঁজি নিয়েই গুড়ের টানা তৈরি ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।

বুন্দিয়া তৈরি

ছোলার ডালের বেসন দিয়ে বুন্দিয়া তৈরি করা হয়। ছোট ছোট লাল-হলুদ বুন্দিয়া দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমনি মজা। সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি মেয়েরা বাড়িতে বসেই বুন্দিয়া তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারে। কনফেকশনারি দোকান বা মিষ্টির দোকানে বুন্দিয়া বিক্রি করা হয়। বুন্দিয়া তৈরির ব্যবসা শুরু করে যে কোনো ব্যক্তি স্বাবলম্বী হতে পারেন।

 মুরালী তৈরি

ময়দা ও চিনি দিয়ে তৈরি মুরালী একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। এটি অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। কোথাও বলা হয় গজা, কোথাও বলা হয় খাজা। মুরালী সাধারণত সাদা, হলুদ ও লাল রঙের হয়। মেয়েরা বাড়িতে বসে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি মুরালী তৈরি করে সংসারে বাড়তি আয় করতে পারেন।

মুড়ি ও চিড়া তৈরি

প্রধান খাদ্য ভাতের পাশাপাশি মুড়ি ও চিড়া মুখরোচক খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। নতুন ধান কাটার পর বাড়িতে পিঠা তৈরির পাশাপাশি চিড়া ও মুড়ি তৈরির ধুম পড়ে যায়। গ্রামের বাড়িতে অতিথি আসলে অনেক সময় মুড়ি চিড়া দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। আবার শহরের বাড়িতেও মুড়ি, চিড়ার কদর কোনো অংশে কম নয়। রোজার মাসে ইফতারিতে মুড়ি ও চিড়া বেশ জনপ্রিয় খাবার। মুড়ি-চিড়া অনেক দিন ভালো থাকে এবং এগুলো তৈরি করে সরাসরি ফেরি করেও বিক্রি করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন দোকানেও সরবরাহ করা সম্ভব।

ডালের বড়ি তৈরি

“সাধারণত শীত মৌসুমে ডাল দিয়ে বড়ি তৈরি করা হয়। যে কোনো লোকের কাছেই বড়ির তরকারি খুবই লোভনীয় খাদ্য। পূর্বে কেবলমাত্র নিজেদের খাওয়ার জন্যই বড়ি তৈরি করা হত। বর্তমানে অধিক চাহিদার কারণে এগুলো বাজারে বিক্রি করা হয়। মাসকলাই-এর ডাল দিয়ে বড়ি তৈরি করা যায়। শুকনো বড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়, আবার মাছ ছাড়া শুধু সবজি দিয়েও রান্না করা যায়। “

আমড়ার ঝাল আচার

“বিভিন্ন রকমের আচারের মধ্যে আমড়ার আচার অন্যতম। আমড়া দিয়ে তৈরি টক-মিষ্টি-ঝাল আচার খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার। বাংলাদেশে বরিশাল অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আমড়া উৎপাদন হয়। উৎপাদন মৌসুমে এগুলোর দাম অনেক কম থাকে। এ সময়ে অল্প দামে আমড়া কিনে আচার তৈরি করে রাখলে সারাবছর ধরেই তা বিক্রি করা যায়। সব বয়সী মানুষ বিশেষ করে অল্প বয়সীদের কাছে আচার খুব লোভনীয় একটি খাবার। “

জলপাই-এর আচার

“সামান্য পুঁজি নিয়েই আচার তৈরির ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। আচার খুবই লোভনীয় একটি খাবার। বিভিন্ন উপাদান দিয়ে যেসব আচার তৈরি করা যেতে পারে এর মধ্যে জলপাই অন্যতম। “

কাঁচা আমের চাটনি

“চাটনি খুবই লোভনীয় একটি খাবার। সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি চাটনি তৈরি করে যে কোনো নারী বাড়তি আয় করতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন উপাদানের চাটনি পাওয়া যায়, এর মধ্যে আমের চাটনি অন্যতম। উৎপাদন মৌসুমে কাঁচা আম দিয়ে চাটনি তৈরি করে সারা বছর ব্যবসা করা সম্ভব। অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে চাটনি খুব প্রিয় একটি খাবার। উৎপাদন মৌসুমে কাঁচা আমের দাম যখন কম থাকে তখন আম কিনে উন্নত পদ্ধতিতে চাটনি তৈরি করতে পারলে ব্যবসা করে লাভবান হওয়া সম্ভব। “

কাঁচা মরিচের আচার

আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত একটি মসলা হলো কাঁচা মরিচ। কাঁচা মরিচের টক-ঝাল আচার খুব সহজেই তৈরি করে বাজারজাত করা সম্ভব। ভাতের সাথে এ আচার খেতে খুবই সুস্বাদু। কাঁচা মরিচের আচার তৈরির উপকরণ খুব সহজেই পাওয়া যায়। অল্প পুঁজি নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করে আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব।

চালতার আচার

বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কমবেশি চালতা উৎপন্ন হয়। ঘরের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি মেয়েরা ঘরে বসে চালতার আচার তৈরি করে বাড়তি টাকা আয় করতে পারেন। চালতার আচার ছোটবড় সবারই খুব পছন্দের। চালতার আচার তৈরির কাঁচামাল খুব সহজেই বাজারে পাওয়া যায়। এছাড়া অল্প পুঁজি নিয়েই এ ব্যবসা করা সম্ভব।

কলার চিপস্ তৈরি

চিপস এক ধরনের তেলে ভাজা মচমচে ও মজাদার খাবার। ছোটবড় সবার কাছে চিপস খুব প্রিয় একটি খাবার। নাস্তা হিসেবে বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য গ্রাম শহর নির্বিশেষে কলার চিপস ব্যবহৃত হয়। ঘরে বসেই যে কোনো নারী বা পুরুষ কলার চিপস তৈরি করে ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। অল্প পুঁজি দিয়ে এই ব্যবসা করা যায় বলে আগ্রহী নারী-পুরুষ যে কেউ কলার চিপস তৈরি ও বাজারজাত করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ঘরে বসে কলার চিপস তৈরি করা যায়। তাই বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হয় না এবং পরিবারের ছোটবড় সবাই এ কাজে সাহায্য করতে পারে

পেয়ারার জেলি

কিছু কিছু খাবার আছে যা ছোটবড় সবার কাছেই প্রিয়। এসব খাবারের মধ্যে পেয়ারার জেলি অন্যতম। পেয়ারার জেলি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। আমাদের দেশে সারাবছরই নানান সুস্বাদু ফল জন্মে। ফল ছোটবড় সবার কাছেই বেশ প্রিয়। এসব কাঁচাপাকা ফল খাওয়ার পাশাপাশি এগুলো দিয়ে নানা ধরনের জেলি বানানো যায়, যা সবাই পছন্দ করে। আম, কমলা, আনারস, পেয়ারা, লিচু প্রভৃতি ফল দিয়ে জেলি তৈরি করা হয়। সাধারণত পাকা ফল দিয়ে জেলি তৈরি করা হয়। জেলি সাধারণত পাউরুটি, বিস্কুট ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়।

মোরব্বা

“মোরব্বা খুব সুস্বাদু ও মজাদার একটি খাদ্য। বিভিন্ন ধরনের মোরব্বার মধ্যে চালকুমড়ার মোরব্বাই বেশি জনপ্রিয়। চালকুমড়ার মোরব্বা তৈরি করে নিজেদের খাওয়ার পাশাপাশি বিক্রি করা যেতে পারে। আমাদের দেশে ছোটবড় সব বয়সী মানুষের কাছেই মোরব্বা বেশ জনপ্রিয় খাবার। উৎপাদন মৌসুমে চালকুমড়ার দাম বেশ সস্তা থাকে। এছাড়া মোরব্বা খুব সহজেই তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়। “

আলুর চিপস্ তৈরি

“সবজি ছাড়াও আলু দিয়ে নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। এর মধ্যে আলুর চিপস হল অন্যতম। ছোট বড় সবার কাছেই আলুর চিপস প্রিয় একটি খাদ্য। আলুর চিপস ছোটবড় সবার কাছেই খুব প্রিয় একটি খাবার। সব সময়ই এর চাহিদা থাকে। আলুর চিপস তৈরি করে বিক্রির জন্য বিভিন্ন খাবারের দোকান, কনফেকশনারিতে সরবরাহ করা যায়। এছাড়া আলুর চিপস তৈরি করে হাট- বাজার, বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। “

রসমালাই তৈরি

“রসমালাই খুবই মজাদার ও সুস্বাদু একটি মিষ্টি খাদ্য। যে কোনো বয়সের মানুষের কাছে রসমালাই প্রিয় একটি খাবার। মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন দ্রব্যের মধ্যে রসমালাই-এর চাহিদা অপেক্ষাকৃত বেশি। দুধে ভিজানো টুপটুপে রসমালাই তৈরির পর তা মিষ্টির দোকান বা অন্যান্য খাবারের দোকানে সরবরাহ করা যেতে পারে। “

রসগোল্লা তৈরি

সব বয়সী মানুষই রসগোল্লা পছন্দ করে রসগোল্লাকে মিষ্টি দ্রব্যের রাজা বলা হয়। বাড়িতে অতিথি আসলে বা যে কোনো শুভ সংবাদে আমরা রসগোল্লা কিনে থাকি। আবার বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় উৎসবে রসগোল্লার চাহিদা বেশি থাকে। রসগোল্লা তৈরি করে বিভিন্ন উপায়ে বাজারজাত করা সম্ভব।

সয়া তফু

“আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষই সয়াবিন তেল দিয়ে রান্না করে থাকে। সয়াবীজ থেকে সয়াবিন তেল তৈরি করা হয়। এই সয়াবিন থেকে সয়াদুধ তৈরি করা যায়। সয়াদুধ দিয়ে সয়া ছানা বা তফু তৈরি করা সম্ভব যা রান্না করে বা মিষ্টি তৈরি করে খাওয়া যায়। সয়াবিনের ডাল দিয়ে খুব সহজেই সয়া তফু তৈরি করা সম্ভব। যে কেউ ঘরে বসে সয়া তফু তৈরি করে লাভবান হতে পারেন। কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সয়া তফুর বেশ কদর রয়েছে। উন্নত উপায়ে সয়া তফু তৈরি করতে পারলে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। “

টমেটো কেচাপ

ফাস্ট ফুড বা জল খাবারের সাথে টমেটো কেচাপ খাওয়া হয়। টমেটো, চিনি ও অন্যান্য উপকরণের মিশ্রণে তৈরি টমেটো কেচাপ খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আজকাল টমেটো কেচাপের ব্যবসা বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি টমেটো কেচাপ তৈরি করে যে কোনো ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন।

কাসুন্দি

“সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি মেয়েরা অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে কাসুন্দি তৈরির ব্যবসা শুরু করে বাড়তি আয় করতে পারেন। সরিষা দিয়ে তৈরি কাসুন্দি কাঁচা আম, কাঁচা আমড়া, চালতা ইত্যাদির সাথে মাখিয়ে খাওয়া হয়। কাসুন্দি হচ্ছে একটি অতি জনপ্রিয় দেশীয় খাবার। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাসুন্দি তৈরি করতে পারলে বহুদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব। উৎপাদন মৌসুমে সরিষার দাম কম থাকে। এ সময়ে অল্প দামে কাসুন্দি তৈরি করে সংরক্ষণ করে রাখতে পারলে সারাবছর ব্যবসা করা সম্ভব। “

আমসত্ত্ব তৈরি

রং দিয়ে কোনো কিছুর উপর নকশা বা ছবির ছাপ দেয়ার আধুনিক পদ্ধতি হচ্ছে স্ক্রিন প্রিন্ট। স্ক্রিন প্রিন্ট করা বিভিন্ন কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে স্ক্রিন প্রিন্টের ব্যাবসা খুবই লাভজনক। স্ক্রিন প্রিন্ট করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি ব্যবহা

তেঁতুলের চাটনি

সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি মেয়েরা ঘরে বসেই চাটনি তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সামান্য পুঁজি নিয়েই এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। চাটনি হচ্ছে খুবই মুখরোচক একটি খাবার। বিভিন্ন উপাদান দিয়ে চাটনি তৈরি করা যেতে পারে। এর মধ্যে তেঁতুল অন্যতম। তেঁতুলের টক-ঝাল-মিষ্টি চাটনির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

রসুনের আচার

তরকারির স্বাদ বাড়ানোর জন্য রসুন ব্যবহার করা হয়। তরকারিতে দেয়ার পাশাপাশি রসুনের আচারও তৈরি করা যায়, যা ভাত দিয়ে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। সামান্য পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে রসুনের আচার তৈরি ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি যে কোনো নারী রসুনের আচার তৈরি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।

পাঁপর বিক্রি

“মচমচে মুখরোচক পাঁপর বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। চালের আটা, ময়দা বা ডালের তৈরি পাঁপর গরম গরম খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। অতিথি আপ্যায়ন বা বিকালের নাস্তার সাথে আমাদের দেশে পাঁপর বেশ উপযোগী একটি খাবার। সারাবছরই পাঁপরের চাহিদা থাকে। বিশেষ করে শীতকালে পাঁপরের চাহিদা বেশি দেখা যায়। অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে পাঁপর খুব লোভনীয় খাবার। গ্রাম বা শহর সব জায়গাতেই পাঁপরের চাহিদা লক্ষ্ করা যায়। “

আইসক্রিম

আইসক্রিম হচ্ছে অতি জনপ্রিয় একটি খাবার; বিশেষ করে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে আইসক্রিমের চাহিদা বেশি দেখা যায়। গরমকালে আইসক্রিমের চাহিদা আরও বেশি থাকে। শীতকালে বিক্রির পরিমাণ কমে যায়। স্কুল, কলেজের সামনে আইসক্রিম বেশি বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়া পার্ক, খেলার মাঠ এবং আবাসিক এলাকাতেও আইসক্রিমের চাহিদা থাকে। অতিথি আপ্যায়নেও আইসক্রিমের ব্যবহার দেখা যায়।

ঝালমুড়ি বিক্রি

“ছোটবড় সবার একটি প্রিয় খাবার ঝাল মুড়ি। অল্প টাকা বিনিয়োগ করে ঝালমুড়ির ব্যবসা শুরু করে বাড়তি আয় করা সম্ভব। মুড়ির সাথে সরিষার তেল, লেবু, টমেটো, বুট, শসা ইত্যাদি মিশিয়ে ঝালমুড়ি তৈরি করা হয়। ঝালমুড়ি একটি অতি জনপ্রিয় দেশীয় খাবার। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে, পার্ক, খেলার মাঠ, গ্রামাঞ্চলে হাট-বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করে ভালো আয় করা যায়।”

পিঠাঘর

নানান রকম পিঠা তৈরি করে দোকানে রেখে পিঠা বিক্রি করা সম্ভব। পিঠা মুখরোচক খাবার বলে আমাদের দেশে সারাবছরই নানা রকম পিঠার চাহিদা থাকে। এছাড়া আজকাল বিভিন্ন ঘরোয়া অনুষ্ঠান যেমন- জন্মদিন, গায়ে হলুদ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে পিঠার আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে অর্ডার অনুযায়ী পিঠা সরবরাহ করে আয় করা সম্ভব।

সিঙ্গারা

“বিকালের নাস্তা হিসেবে সিঙ্গারা বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা অতিথি আপ্যায়নে সিঙ্গারার ব্যবহার অনেক বেশি। শহরে বা গ্রামের হোটেল, কনফেকশনারি বা চায়ের দোকানে সকালে-বিকালে সিঙ্গারা বিক্রি হয়। বাড়িতে সিঙ্গারা তৈরি করে পাইকারি বা খুচরা দরে দোকানে সরবরাহ করা যেতে পারে। সব বয়সী মানুষের কাছেই সিঙ্গারা প্রিয় একটি খাবার। হালকা খাবার হিসেবে সিঙ্গারা সব মানুষের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। সকালে বা বিকালে গরম গরম সিঙ্গারা খেতেই অনেকে বেশ পছন্দ করেন। সিঙ্গারা তৈরির ব্যবসা শুরু করে যে কোনো ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন।”

চটপটি তৈরি

চটপটি খুবই মজাদার একটি খাবার। চটপটি বিক্রির ব্যবসা করে যে কোনো ব্যক্তি স্বাবলম্বী হতে পারেন। ঝালজাতীয় হালকা খাবারের মধ্যে চটপটি বেশ জনপ্রিয়। ডাবলী বুট দিয়ে তৈরি চটপটি কম বা বেশি সব বয়সী লোকের কাছে প্রিয়। স্কুল, কলেজ, বাসস্ট্যান্ড, রাস্তার মোড়, মেলা ইত্যাদি স্থানে চটপটির ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। অর্থাৎ যেখানে প্রতিদিন লোকসমাগম বেশি হয় সেখানে চটপটি বিক্রির ব্যবসায় লাভ হবার সম্ভাবনা বেশি।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment