যে ছবি অনুপ্রেরণা দেয়
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
সিনেমার নাম গুরু। দেখতে বসলে ‘বারষো রে মেঘা মেঘা… ধান না রে ধান না রে ধান না রে ধান্না’ শুনতে শুনতে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রতি একধারনের মোহ তৈরি হয়ে যাবে নিঃসন্দেহে। তবে খানিক বাদেই যখন আপনি মূল কাহিনীর ভেতর প্রবেশ করবেন তখন একজন গুরুকান্ত দেশাইয়ের জীবন সংগ্রামই আপনাকে মোহগ্রস্ত করে ফেলবে।
ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়। স্বপ্নবাজ এক তরুণ গুরুকান্ত দেশাইয়ের ব্যবসা আর ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার তীব্র প্যাশনের গল্প দিয়েই সিনেমার শুরু। গুরুকান্ত জানতেন এটা হওয়ার নয়। কিন্তু তাকে করে দেখাতে হবে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সুজাতা দেশাই ও সম্পাদক মানিক দাস গুপ্ত। তিল তিলি করে তার ইন্ডাস্ট্রি এক সময় তিলোত্তমা হয়ে উঠে। এর মধ্যে পারিবারিক কলহ, পরকীয় সম্পর্ক, রাজনীতি, কালোটাকার আমদানী আরও কত কী!
মূল চরিত্রে অভিনয়কারী অভিষেক বচ্চনকে শেষ দিকে একটু গডফাদার ধাঁচে দেখতে পাবেন। ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা আর আন্ডার ওয়ালর্ড গড়ে তোলা যেন প্যারালাল ও তুলনামূলক ঘটনা, এমনটা মনে হতে পারে গুরু দেখতে দেখতে। বিশেষ করে শিল্প আদালতে বিচারের সময় অভিষেককে গডফাদারের আল পাচিনোর কপি মনে হবে আপনার।
২০০৭ সালে মুক্তি পায় গুরু।তখন ভারতের অনেক পত্রিকা লিখেছিল, গুরু সত্য কাহিনীর ভিত্তিতে নির্মিত। ভারতের বিখ্যাত ব্যাবসায়ী ধীরুভাই আম্বানীর জীবন নিয়ে তৈরি এ সিনেমা। পরিচালক মণিরত্নম।
এই চলচ্চিত্র একজন উদ্যোক্তাকে স্বপ্ন দেখাবে কীভাবে স্বপ্নের পেছনে নিরন্তর লেগে থাকতে হয়।দুঃখ-কষ্ট, ঝড়-ঝাপ্টা যাই আসুক না কেন, স্বপ্ন দেখা কখনো থামানো চলবে না। একজন উদ্যোক্তাকে হতে হয় প্রচণ্ড সহনশীল। এইসব শিক্ষা পাওয়া যাবে গুরু মুভিতে।
এখানে আপনি এক তরুণের প্যাশন দেখতে পাবেন। আজকের ভারত দাঁড়িয়ে আছে ’৪৭ পরবর্তী প্রজন্মের এই প্যাশনের ভিত্তির ওপর। এর মধ্যে হয়তো অনেক দুর্বলতা আছে। কিন্তু সঙ্গে আছে একরাশ উত্তাপও।
মণিরত্নম সম্ভবত ভবিষ্যতের ভারতের উদ্দেশ্যেই একটা মেসেজ দিতে চেয়েছেন গুরুর মাধ্যমে। চাইলে আপনিও গ্রহণ করতে পারেন মণির বার্তাটি। চলচ্চিত্রের আবার দেশ-কাল কী?