৩০ বছর বয়সের আগেই হন মিলিনিয়র

৩০ বছর বয়সের আগেই হন মিলিনিয়র

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক
জীবনে সফল হতে কে না চায়! কিন্তু সে সফলতা কতখানি? আপনার লক্ষ্য বা স্বপ্ন আপনাকে কতটা উপরে তুলতে পারে? সফল হতে হলে সবার প্রথমে বিশ্বাস করতে হবে যে আপনি সফল হবেন! আপনার বিশ্বাসই আপনাকে পথ দেখাবে। বয়স যত কম পরিশ্রম করার জন্য সময়ও আপনার তত বেশী। ৩০ বছর বয়সের মাঝে নিজেকে মিলিনিয়র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দেখতে মেনে চলুন চমৎকার এই ৫টি বিষয়, আর জীবনে উপলব্ধি করুন অভাবনীয় অগ্রগতি।


 
১। প্রথাগত পথ এড়িয়ে চলুন
ডাক্তার বা ল’ইয়ার হওয়া মিলিনিয়র হওয়ার জন্য একমাত্র পথ নয়। এই পেশাগুলোয় প্রচুর সময় লাগে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষেও অনেক দিন যাবত কারও অধীনে কাজ করতে হয়। এর খরচও অনেক। শিক্ষাজীবন শেষ করতে করতেই হয়ত আপনার বয়স ৩০ পেরিয়ে যাবে। নিজের ভীত শক্তপোক্ত হতেও অনেক সময় লেগে যায়। যতদিনে আপনার হাতে জশ আসবে ততদিনে পেরিয়ে যাবে জীবনের অনেকটা সময়।
তাই দ্রুত বেশী অর্থ আয় করতে হলে ভিন্ন কোন বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করুন। এখনকার সময় পুরোপুরি ইন্টারনেট ভিত্তিক। দক্ষতা অর্জনেও ইন্টারনেটের সহযোগিতা নিতে পারেন আপনি, যার বেশিরভাগ প্রশিক্ষণই আপনি নিতে পারবেন বিনামূল্যে। ইন্টারনেট মার্কেটিং এর মত এমন অনেক পেশা খুঁজে নিতে পারেন যেখানে বিশেষ পড়াশোনা বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই, কিন্তু অর্থ উপার্জন খুবই সহজ এবং গতিশীল।
 
২। শুধু অর্থ আয়ের দিকে নজর দেবেন না
আপনি যদি শুরু থেকেই শুধু অর্থ আয়ের দিকে নজর দেন তাহলে কাজের মান কমে যাবে। কোথাও স্থিরভাবে কাজ করতে পারবেন না। কাজের মানের দিকেও নজর দিন। দ্রুত মিলিনিয়র হওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন সেই আর্থিক অবস্থা ধরেও রাখাও একটি ব্যাপার। তাই তাড়াহুড়ো নয়, সময় নিন। যাদের সাথে কাজ করছেন তাদের কোম্পানির নাম আপনার ক্যারিয়ারে কি ভ্যালু যোগ করছে সেটাও খেয়াল করুন। অবস্থানকে পোক্ত করুন।
৩। নিজের যোগ্যতা বাড়াতে থাকুন
অনলাইন পেশায় অনেক ক্ষেত্রেই হয়ত বাড়তি প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হচ্ছে না। তবু মনে রাখবেন সময় কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে। যে যত বেশী দক্ষ তার কাজের ক্ষেত্র তত বেশী। অনেকেই দেরীতে কাজ শুরু করে দক্ষতার জোড়ে আপনাকে পিছনে ফেলে যেতে পারে। তাই সবসময় নতুন কিছু শিখতে থাকুন। যা শিখেছেন তাকে আরও সমৃদ্ধ করুন।
আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব কারণ অভিজ্ঞতা আমাদেরকে উন্নত করেছে। আমরা পড়াশোনা করি, নিজেদের আরও দক্ষ করি, বুদ্ধিকে শাণিত করি। এভাবে আমরা নিজেদের পৃথক করি অন্যসব প্রাণীদের থেকে। শেখা বন্ধ করে দিলে আমাদের মস্তিষ্ক একসময় কাজ করা বন্ধ করে দেবে।
 
৪। ত্যাগ করার মানসিকতা রাখুন
এত অল্প সময়ে এত পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে হলে আপনাকে অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হবে। আপনার বন্ধু-বান্ধব, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন কাউকেই আপনি সেভাবে সময় দিতে পারবেন না। আপনাকে অনেক কিছুই রাখতে হবে পেছনের সারিতে। একমাত্র ব্যবসাই হবে আপনার প্রথম কাজ।
সম্পর্ক অনেক পিছুটান তৈরি করে। একইসাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন আপনার সময় নষ্ট করে, মানসিক স্থিতিশীলতা কেড়ে নেয়।তাই মিলিনিয়র হওয়ার এই যুদ্ধে জয় লাভ করতে হলে এরকম অনেক কিছু থেকেই দূরে থাকতে হতে পারে আপনাকে।
৫। সমস্যা সমাধান করে ফেলুন
মিলিয়র হতে হলে শুধু টাকা নয়, বিনিয়োগ করতে হবে নিজের মেধা, শ্রম সর্বোপরি নিজেকে। নিজেকে সবটা দিতে পারলে আপনি সফল হবেন না। তাই সম্পূর্ণ ফোকাস করুন আপনার কাজে।
কোন সমস্যাকে অবহেলা করবেন না। কোন সমস্যাই ছোট নয়। দ্রুত সমাধান করুন। আপনাকে সিরিয়াস দেখলে আপনি যাদের সাথেকাজ করছেন তারাও সিরিয়াস আচরণ করবেন। আপনার অধীনে যদি কিছু লোক করেন তাহলে তো আরও দ্রুত আপনার সমস্যা সমাধান করা উচিৎ। নাহলে আপনার কর্মীরা আপনাকে ভুল বুঝবে, কাজে ফাঁকি দেবে। সমস্যা সমাধান করে অন্য কাজে মন দিন।  favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment