অফিস সংস্কৃতির ১০ দিক

অফিস সংস্কৃতির ১০ দিক

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

অফিস সংস্কৃতির প্রসঙ্গ উঠলেই বেশির ভাগ সিইও ও হর্তাকর্তারা যেন ঘুমিয়ে পড়েন। সংস্কৃতির মতো এমন কোমল ও স্পর্শকাতর বিষয়ে চিন্তার সময় তাঁদের নেই। তাঁরা ব্যবস্থাপনা ও মুনাফার মতো শক্ত বিষয়ে মনোযোগ ঢালতে চান। এসব করপোরেট নেতা বোঝেন না যে সুষ্ঠু সংস্কৃতি ছাড়া অর্থের স্রোত সঠিক পথে বইবে না। বরং দুর্ভাগ্যজনকভাবে দক্ষ কর্মীরা বিরক্তি নিয়ে চলে যাবেন।

মূলত ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিপথগামী সিদ্ধান্ত কর্মীদের কর্মপরিবেশ নষ্ট করে। প্রতিষ্ঠান কঠোর ও রক্ষণশীল নীতিমালা প্রয়োগের মাধ্যমে করপোরেট সংস্কৃতিকে বিকশিত হতে দেয় না। মৌখিক নির্দেশে কাজ পরিচালনা নেতৃত্বের সাধারণ অবস্থা। তবে কাজটি নমনীয়তার সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ মেজাজ নিয়েও করা যায়। বড় সফলতা হাসিল করতে এমন পরিবেশই দরকার। কর্মীদের অফিসে মানসিক চাপমুক্ত রাখা নেতার দায়িত্ব। এর মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তবে নতুন কিছু চালু করার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, বিপরীত প্রতিক্রিয়া হয়ে কী কী অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।

ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞ লিজ রায়ান এখানে তুলে ধরেছেন ব্যবস্থাপনার ১০টি ভুল সিদ্ধান্তের কথা। এগুলো চমৎকার অফিস সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে। দক্ষ কর্মীদেরও চলে যেতে বাধ্য করে এসব সিদ্ধান্ত।

১. কর্মীদের পদমর্যাদা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হতে পারে। বিষয়টি যদি এক কর্মীর বিরুদ্ধে অপরকে দাঁড় করিয়ে দেয়, তবে অফিসের বেহাল খুব শিগগির দেখা দেবে।

২. এক বিভাগের সঙ্গে অন্য বিভাগের সমন্বয় ইতিবাচক বিষয়। কিন্তু অজ্ঞাতপরিচয়ে সব কর্মীর মধ্যে ফিডব্যাক আদান-প্রদানের নিয়মে হিতে বিপরীত ঘটাতে পারে।

৩. কোনো কর্মী এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতে পারে। কিন্তু এ কাজ করতে প্রথমেই নিজ বিভাগের প্রধানের অনুমতি নেওয়ার নিয়মটি সংস্কৃতি নষ্ট করে।

৪. পরিবারের সদস্যের মৃত্যু বা এ ধরনের ছুটির ক্ষেত্রে কাগজে-কলমে প্রমাণ উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত মোটেও ইতিবাচক নয়। বিশেষ করে পেইড লিভের ক্ষেত্রে এমন বাজে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

৫. কাজ থেকে কর্মীদের সামান্য এদিক-ওদিক যাওয়ার বিষয়ে হিসাব নেওয়ার রীতি প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতিতে দূষণ ঘটায়।

৬. যেকোনো সফলতা বা কৃতিত্বকে প্রশংসার সঙ্গে প্রচার করার পরিবর্তে একে বিশেষ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা।

৭. খালি পদ পূরণের জন্য বিভাগে যথেষ্ট যোগ্য ও ইচ্ছুক কর্মী থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে কর্মী নিয়োগের বিষয়টি সব সময় ইতিবাচক হয় না।

৮. এইচআর ডিপার্টমেন্টের অন্যতম দায়িত্ব অফিস সংস্কৃতি সৃষ্টি ও সমস্যার সমাধান করা। কিন্তু একে জোরপূর্বক নির্দেশ বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে ব্যবহার করা সংস্কৃতি ধ্বংসের কারণ।

৯. অর্থ বাঁচাতে চলতি বাজারের চেয়ে কম পারিশ্রমিকে কর্মী নিয়োগ দেওয়া খুবই বাজে বিষয়।

১০. মেধাবী ও সৃষ্টিশীল কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠানকে কেবল লিখিত নিয়মনীতিতে পরিচালনা করা আরেকটি সংস্কৃতি বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত। দক্ষ কর্মীরাও কাজ করার আগ্রহ হারায়।

ফোর্বস অবলম্বনে

সূত্র: কালের কণ্ঠfavicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment