উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করবে সীমান্ত ব্যাংক

উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করবে সীমান্ত ব্যাংক

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মালিকানায় ৫৭তম ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে সীমান্ত ব্যাংক। ব্যাংকটির এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মুখলেসুর রহমান। এর আগে এনআরবি ব্যাংকের এমডি ছিলেন তিনি। সীমান্ত ব্যাংকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন অভিজ্ঞ এ ব্যাংকার।


:দেশে ৫৬টি ব্যাংক থাকার পরও সীমান্ত ব্যাংক এসেছে। গ্রাহকের আস্থা অর্জনে এর চ্যালেঞ্জ কী?
মুখলেসুর রহমান :বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ এ ধরনের একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা বাস্তবায়ন করেছেন। আস্থার প্রশ্নে সীমান্ত ব্যাংক অনেক এগিয়ে আছে। বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মালিকানায় পরিচালিত হওয়ায় এর প্রতি এমনিতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের আস্থা রয়েছে। এর পরও এটিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও পরিচিত করতে প্রচারমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে, স্বতন্ত্র একটি ট্রাস্টের একক মালিকানার কারণে এখানকার সুশাসন নিয়ে কারও কোনো প্রশ্ন থাকবে না। ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে করপোরেট গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যাংক পরিচালনার ওপর জোর দেওয়া হবে। সাজসজ্জার চেয়ে গ্রাহকসেবার ওপর বেশি জোর দিয়ে আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণে প্রাইস কম্পিটিশনে এগিয়ে থাকতে হবে। এর আগে নতুন ৯টি ব্যাংক একই সময়ে কাজ শুরু করেছিল। তখন কে কার চেয়ে বেশি জাঁকজমকপূর্ণ ডেকোরেশন করতে পারে তা নিয়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতার কারণে খরচ বেশি হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে সীমান্ত ব্যাংক সচেতন থাকবে। খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

:কোন ধরনের সেবা দেবে সীমান্ত ব্যাংক?
untitled-30_244560মুখলেসুর : আধুনিক ব্যাংকিংয়ের সুযোগ-সুবিধাসহ সব ধরনের গ্রাহকের জন্য কাজ শুরু করেছে সীমান্ত ব্যাংক। ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সলিউশনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে এ ব্যাংক গ্রাহকসেবা দেবে। উদ্বোধনের শুরু থেকেই সব শাখায় অনলাইন সেবা পাবেন গ্রাহকরা। আধুনিক সেবার লক্ষ্যে আগামী মাসে ডেবিট কার্ড চালু করা হবে। আগামী বছর চালু হবে ক্রেডিট কার্ড। বিজিবির সব সদস্য ও তাদের পরিবার ছাড়াও দেশের যে কোনো ব্যক্তি সীমান্ত ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকিং করতে পারবেন। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখা যায় এমন বিভিন্ন খাতে বেশি জোর দেওয়া হবে। এখান থেকে শিক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসহ বিভিন্ন কাজে গ্রাহকরা ঋণ পাবেন।

:গ্রাহক আকৃষ্ট করতে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি-না?
মুখলেসুর :দেশে অনেক করপোরেট গ্রাহক তৈরি হয়ে গেছে। এখন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের সেবার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদেরও ঋণ দেওয়া হবে। সীমান্ত স্কয়ারে ইতিমধ্যে এর প্রিন্সিপাল শাখার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও দুটি শাখা খোলা হবে। যার একটি হবে ময়মনসিংহ, অন্যটি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় শাখা খোলার মাধ্যমে সেবা দেওয়া হবে।

:ব্যাংকের অগ্রাধিকার কি থাকবে?
মুখলেসুর :বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরাও অনেক আশাবাদী। এখনই সময় উদ্যোক্তা তৈরি করার। এখানে অনেক করপোরেট গ্রাহক হয়ে গেছে। ১৭ কোটি মানুষ। সবাইকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তবে তাদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা বের করে এনে একজনের মাধ্যমে অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে সীমান্ত ব্যাংক। বিশেষ করে বেকারদের উদ্যোক্তায় পরিণত করতে কাজ করা হবে। বিজিবির বিভিন্ন সংস্থাপন কাজে লাগিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক সেবা দেওয়া হবে।

সূত্র: সমকালfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment