পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং কেন জরুরি

পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং কেন জরুরি

  • আহমেদ ফয়সাল

উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে ব্যবসায় ব্রান্ডিংয়ের গুরুত্ব বুঝতেই হবে। এটা অনেক উদ্যোক্তা বুঝেও থাকেন। তারা বোঝেন, প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচিত ব্র্যান্ড ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা বয়ে আনে। তারপরও বেশিরভাগ উদ্যোক্তা কেন ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ খুঁজে বের করতে পারেন না?

মেলি, একজন ব্যবসায় বিশেষজ্ঞ এবং এসওএআর কমিউনিটি নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী যিনি নিজস্ব ব্র্যান্ড এর প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন এবং এটি অন্য উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। মেলির মতে, ব্যক্তিক বিক্রয়ে ব্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড আপনি কেমন হতে চান এ ব্যপারে সাহায্য করবে। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড আপনার নেতৃত্বের গুণ প্রতিষ্ঠিত করবে এবং কাজ এবং কাজের বাইরে আপনাকে পরিচিত করবে।

তাছাড়া এখানে কিছু কারণ আছে যার জন্য আপনাকে ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করতে হয়। যেমন :

  • আপনার সামর্থ্য এবং দুর্বলতা সম্পর্কে অবগত হোন।
  • ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসুন।
  • একই মতামত রয়েছে এমন একটি গোত্র তৈরি করুন।
  • পারষ্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করুন।
  • কাজের মাধ্যমে নিজের অবস্থান তৈরি করুন।
  • সামাজিকভাবে নিজেকে ওপরে প্রতিষ্ঠিত করুন।
  • আপনার নিজস্ব কাজে স্থির থাকুন।
  • আপনার মতামত প্রকাশ করুন।
  • আরও আত্মবিশ্বাসী হন।

আপনি চান কিংবা না চান আপনাকে ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে।

আপনি যদি নিজস্ব ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে ধরে নিন অন্যরা আপনার জন্য এটি করছে। তাহলে কীভাবে আপনি আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করবেন? মেলি কিছু প্রশ্ন এবং উত্তরের মাধ্যমে আপনাকে যাচাই করতে বলেছেন:

  • আপনার প্রধান উদ্দেশ্য কী?
  • আপনার আগ্রহ এবং আকাঙ্ক্ষা কী?
  • কোনটি আপনাকে প্রভাবিত করে?
  • আপনাকে কী সুখী করে?

আপনার বিবৃতি গুলো সত্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। উত্তরগুলো কী হবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই।

আসুন, এবার এই প্রশ্ন গুলো দেখি :

  • আপনার কী প্রয়োজন এবং কী অর্জন করতে চান?
  • আপনার কাছে সাফল্যের সংজ্ঞা কী?

আপনি যা ভাবেন সেটিই উত্তর হিসেবে লিখুন। বিশ্বাস রাখুন যদি আপনি সৎ হোন তাহলে উত্তরগুলো ইতিবাচক আসবে।

যখন আপনার লক্ষ্যগুলো স্থির করবেন তখন নিজের সম্পর্কে এবং কীভাবে অর্জন করবেন তা নির্ধারন করা প্রয়োজন:

  • আপনার পেশাগত অভিজ্ঞতা কী?
  • আপনার প্রধান সামর্থ্য কোনটি?
  • আপনার দুর্বলতা কী?
  • কী আপনাকে স্বাতন্ত্র্য করে। কোন কোন বৈশিষ্ট্য আপনাকে ভিন্নধর্মী করে তুলে।

যখন নিজের দক্ষতা এবং সামর্থ্য খুঁজে বের করতে পারবেন তখন এসব আপনার লক্ষ্যকে অর্জন করতে সাহায্য করবে। যদি এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে না পারেন তাহলে ঘনিষ্ঠ বন্ধু কিংবা পরিবারের সাহায্য নিন।

সূত্র : এন্ট্রাপ্রেনার ডটকম।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment