‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ঋণ দেয় না, অংশীদার হয়’
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী ‘উদ্যোক্তা ’ হতে চান।কিন্তু তাদের প্রধান সমস্যা-মূলধন। এ সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল। আশার কথা, অনেক দেরিতে হলেও বাংলাদেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নীতিমালা হয়েছে। তবে পরিতাপের বিষয়, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা নেই অনেক তরুণের মধ্যেই। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কী, কেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের কীভাবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সহায়তা করতে পারে এসব নানা বিষয় নিয়ে দি প্রমিনেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেডের (বিভিসিএল) সমন্বয়ক মো. রাশেদুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন মারুফ ইসলাম।
প্রমিনেন্ট: শুরুতেই আপনার কাছে জানতে চাই, ভেঞ্চার ক্যাপিটালের কাজ কী?
রাশেদুল ইসলাম: একজন উদ্যোক্তার মাথায় যখন ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আসে, তখন নিজের সাধ্যমতো অর্থ দিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেন৷ তারপর হাত পাতেন পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছে৷ এরপর চড়াই উত্রাই পার করার পর ব্যবসায় সাফল্য এলে উদ্যোক্তা আগ্রহী হন ব্যবসাটাকে বাড়ানোর জন্য৷ কিন্তু এখন এই অর্থের যোগান আসবে কোথা থেকে? কে দেবে এই অর্থ? অনেকের কাছেই যেতে হয় অর্থের যোগানের জন্য কিন্তু হতাশার বাণী ছাড়া আর কিছুই মেলে না৷ শেষ ভরসা ব্যাংক৷ কিন্তু ব্যাংক যখন দেখে, এখনো ব্যবসা লাভের মুখ দেখেনি আবার ব্যবসার বয়স এখনো দুই বছর পার হয়নি, তখন উদ্যোক্তাকে কোনো আশার বাণী শোনাতে পারে না৷ ব্যাংক এবং লিজিং কোম্পানির সাথে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো তারা ঋণ দেয় না৷ তারা কোম্পানির অংশীদার হিসেবে কাজ করে; এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তারা কোম্পানি পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করে যাতে কোম্পানি লোকসানের মুখে না পড়ে৷ যেহেতু কোম্পানির সাফল্য মানে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের সাফল্য সেহেতু কোম্পানিকে লাভজনক করার জন্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকে না৷ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োজিত কোম্পানিতে চিরদিন অংশীদার হিসেবে থাকার জন্য আসে না৷
প্রমিনেন্ট: আপনি বলছিলেন, ব্যাংক তরুণ উদ্যোক্তাদের আশার বাণী শোনাতে পারে না। শুধু এ কারণেই কী উদ্যোক্তারা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের কাছে যাবে?

রাশেদুল ইসলাম: ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা পাওয়া ভালো, তবে বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন:
- যে পরিমাণ টাকা আপনি ব্যাংক বা অন্যন্যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করবেন, লাভ ক্ষতি যেটাই করেন আপনাকে সুদের হার দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
- এই সুদের হার প্রদান করা আপনার জন্য ব্যয়বহুল হবে কারণ আপনার প্রতিষ্ঠান সবে মাত্র ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে।
- ব্যাংক কখনোই আপনার প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হবে না। যেহেতু ব্যাংক আপনার পার্টনার নয়, সেহেতু ব্যাংক থেকে কোনো প্রকার উপদেশ, কোম্পানি গঠন বা সৃজনশীলতায় সহায়তা করবে না এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও কোনো প্রকার সহোযোগিতা পাবেন না।
- কিন্তু ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আপনার পার্টনার (অংশীদার) হবে এবং অল্প পরিমাণ শেয়ার নিবে, মজার ব্যপার হচ্ছে প্রাধান্য আপনারই বেশি থাকবে যাকে ইংরেজিতে মেজরেটি বলে থাকি।
- ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আপনার পার্টনার ফলে আপনি যদি ব্যর্থ হন এটা শুধু আপনার ব্যর্থতা নয়; যে পার্টনার তারও। সেজন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল চাইবে আপনাকে কীভাবে সফলতায় নিয়ে যাওয়া যায়।
এখন আমরা বলতে পারি ব্যাংক এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে টাকা নেয়া আকাশ–পাতাল ব্যবধান। কারণ আপনি ব্যাংক থেকে টাকা পেতে পারেন কিন্তু ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে স্মার্ট টাকা পাবেন, স্মার্ট টাকা বলতে টাকা পাওয়ার সাথে সাথে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা বিনিয়োগ সংক্রান্ত সকল প্রকার সহোযগীতা পাবেন।
প্রমিনেন্ট: ব্যাংকঋণ ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মধ্যে পার্থক্য যদি আর একুট বিস্তারিতভাবে বলতেন…
রাশেদুল ইসলাম: ব্যাংক এবং লিজিং কোম্পানির সাথে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো; তারা ঋণ দেয় না৷ তারা কোম্পানির অংশীদার হিসেবে কাজ করে; এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তারা কোম্পানি পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করে যাতে কোম্পানি লোকসানের মুখে না পড়ে৷ যেহেতু কোম্পানির সাফল্য মানে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের সাফল্য সেহেতু কোম্পানিকে লাভজনক করার জন্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকেনা৷ ব্যাংক সাধারণত নতুন উদ্যোক্তাদের ফাইন্যান্স করতে পারে না৷ ব্যাংক যখন কোনো উদ্যোক্তাকে ফাইন্যান্স করবে তখন তার পূর্বের ব্যবসায়িক রেকর্ড চেক করার পাশাপাশি ব্যবসাটি লাভজনক কিনা, জামানত দিতে পারবে কিনা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কি পরিমাণে আছে এবং ট্রেড লাইসেন্সের বয়স ন্যূনতম ২ বছর হয়েছে কিনা তা যাচাই করবে৷ সেক্ষেত্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম-ই একমাত্র ভরসা৷ শুধু তাই নয় ব্যাংক থেকে টাকা নেয়ার ২ বা ৩ মাস গ্রেস পিরিয়ড পার হলেই সুদ সহ ঋণ পরিশোধ করতে হবে৷ অপরদিকে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োজিত কোম্পানির লাভ-লোকসান সমানভাবে শতাংশ অনুযায়ী বহন করে৷ এজন্যই বিনিয়োজিত কোম্পানিতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম অনেক বেশি জড়িত থাকে৷

প্রমিনেন্ট: ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ধারনাটি আমাদের দেশে তুলনামূলকভাবে নতুন। উদ্যোক্তারা অনেকেই এসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানে না। ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে পরিচিত করানোর ক্ষেত্রে আপনারা কী ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন?
রাশেদুল ইসলাম: উদ্যোক্তারা বিষয়টি নিয়ে জানে না বললে ভুল হবে। সকল ভেঞ্চার ক্যাপিটালই স্বস্ব ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গেল ২০ তারিখে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে একিট সেমিনার হয়ে গেল। প্রচুর উদ্যোক্তার সমাগম ছিল সেখানে। এই খাতকে আরো কীভাবে বিনিয়োগ-বান্ধব করা যায় তা নিয়ে একটি Venture Capital & Private Equity Association of Bangladesh (VCPEAB) কাজ করে যাচ্ছে।
প্রমিনেন্ট: বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়, আমাদের দেশেও কি একই উপায়ে পরিচালিত হয়? নাকি ভিন্নতা রয়েছে?
রাশেদুল ইসলাম: ভিন্নতা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। ভিন্নতার কারণটা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের কালচারের কারণে হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু তাদের দেখানো পথই আমাদের দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে।
প্রমিনেন্ট: ফান্ড নিয়ে একটু জানতে চাই। একজন উদ্যোক্তা কীভাবে ফান্ড পেতে পারেন। ফান্ড পেতে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের পক্ষ থেকে কী ধরনের শর্ত দেওয়া হয়।
রাশেদুল ইসলাম: ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগের আগে বেশ কিছু কাগজ পরীক্ষা করে৷ আর সেই বিষয়গুলো একজন উদ্যোক্তাকে অবশ্যই পালন করতে হবে বিনিয়োগ নিশ্চিত করার আগে৷ ১. আমি যা করছি মানে ‘আইডিয়া’ ঠিক আছে কিনা ২. প্রতিষ্ঠানটি সঠিকভাবে চলছে কিনা এবং ৩. প্রতিষ্ঠানটি চালানোর মতো যোগ্য, দক্ষ কর্মী আছে কি না। মূলত এই তিনটি বিষয় ঠিক থাকলে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পাওয়া সহজ হয়।
আরো কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন:
১৷ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা (Business Proposal) তৈরি করা ২৷ ব্যবসার ধরণ বা প্রকৃতি নির্ধারণ করা ৩৷ ব্যক্তি মালিকানা/যৌথ উদ্যোগ/কোম্পানি হবে তা নির্ধারণ করা ৪৷ ব্যবসার একটি সুন্দর, সহজ এবং যুতসই নাম ঠিক করা ৫৷ ব্যবসায়ের স্থান নির্ধারণ করা ৬৷ বাণিজ্যিক লাইসেন্স এবং অন্যান্য দলিলপত্রাদি তৈরি করা ৭৷ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ব্যবসায়িক TIN (Tax Identification Number) সংগ্রহ করা।
প্রমিনেন্ট: উদ্যোক্তা তৈরির ব্যাপারে যেভাবে সর্বত্র আলোচনা শোনা যায় সেভাবে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ব্যাপারে আলোচনা হয় না।কারণ কী? গণমাধ্যমের অসহযোগিতা?
রাশেদুল ইসলাম: আসলে এতদিন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে এমনটি হয়েছে বলে আমার ধারনা। ২২ জুন ২০১৫ তে সিকিউরিটি অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড এর একটি নীতিমালা তৈরি করে দিয়েছেন। নীতিমালা তৈরির জন্যও কিন্তু গণমাধ্যম বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে সহযোগীতা করেছেন। আসলে গণমাধ্যমেরও কিছু বাধ্যবাধকতা আছে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে তাই হয়তো কিছুটা সময় নিয়েছেন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইন্ড্রাস্ট্রিটা বোঝার জন্য।
প্রমিনেন্ট: ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রসারের ব্যাপারে সরকার কতটা আন্তরিক?
রাশেদুল ইসলাম: সরকার অবশ্যই আন্তরিক। নীতিমালা প্রণয়ন থেকে শুরু করে ট্যাক্স সব বিষয়গুলোর সঙ্গে সরকার ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। ববং সরকার প্রাইভেট ইনভেস্টর এবং ব্যাংকগুলোকে স্পন্সর হিসেবে এগিয়ে এসে উদ্যোক্তা উন্নয়নে কাজ করার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছে।
প্রমিনেন্ট: আমরা জানি ভেঞ্চার ক্যাপিটালের লাইসেন্স দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।কিন্তু কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল, লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নাকি আন্তরিক নয়।এব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?
রাশেদুল ইসলাম: এই বিষয়ে মন্তব্য করা বেশ কঠিন। সব প্রতিষ্ঠানেরই কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) যদি আন্তরিকই না হবে তাহলে ৪টি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট রুলসের অধীনে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জন্য অনুমোদন দেওয়া হলো কীভাবে।
প্রমিনেন্ট: আপনারা দীর্ঘদিন যাবৎ ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ওপর থেকে কর অব্যাহতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন।কেন কর অব্যাহতি চাইছেন সে বিষয়টি যদি ব্যাখ্যা করতেন।
রাশেদুল ইসলাম: ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানগুলোতে (ফান্ড ব্যাবস্থাপনা পর্যায়) তিন দফা ট্যাক্স (উদ্যোক্তা পর্যায়, ফান্ড ব্যাবস্থাপনা পর্যায় ও বিনিয়োগকারী পর্যায়) থাকায় স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাত থেকে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সাথে মতবিনিময় করেছেন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি) এর প্রতিনিধিরা। তারা ২০২১ সাল পর্যন্ত আয়কর অব্যহতি চেয়েছেন। অপরদিকে ই-কমার্স ও অনলাইন শপিং থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অব্যহতি থাকা সত্ত্বেও গত বাজেটে এ সুবিধা তুলে দেওয়া হয়েছে তা পূর্নবহাল করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রমিনেন্ট: এবার বিভিসিএল সম্পর্কে কিছু জানতে চাই। বিভিসিএলের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়? এ পর্যন্ত কতজন উদ্যোক্তাকে সহায়তা প্রদান করেছেন।
রাশেদুল ইসলাম: ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বা কোম্পানি নির্দিষ্ট উদ্দেশে তহবিল বা ফান্ড উত্তোলন করে৷ সাধারণত বিত্তশালীদের এই ফান্ডে বিনিয়োগ করার জন্য উত্সাহিত করা হয়৷ ঝুঁকি বেশী থাকার কারণে সাধারণ এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের আহ্বান করা হয় না৷ যেহেতু ফান্ড বা তহবিল সংগ্রহ করে বিনিয়োগের জন্য, এজন্য তারা ব্যবস্থাপনা ফি নিয়ে থাকে৷ ভেঞ্চার এর মেয়াদ ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত হয়৷ ভেঞ্চার ফান্ডে যারা বিনিয়োগ করে তাদের লিমিটেড পার্টনার বা এলপি বলে, আর যারা ফান্ড ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ করে তাদের জেনারেল পার্টনার বা জিপি বলে৷ ভেঞ্চার ফার্ম বিনিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়৷ এই বিনিয়োগ সাধারণত ৩ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে৷ বিনিয়োগ পার্টনারশীপের মাধ্যমে হয় তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সুবিধাজনক সময়ে ফার্ম সে শেয়ার বিক্রি করে বা সমঝোতার মাধ্যমে ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে একক মালিকানা বা অন্য কোনো ব্যক্তি বা ফার্মের সাথে আবার পার্টনারশিপ করতে পারে৷ উদ্যোক্তাদের শেয়ারের পরিমাণ বেশি থাকায় তাদের অধিকারকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
আমরা ৮টি ভেঞ্চার নিয়ে এই মূহুর্তে কাজ করছি। বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল একটু অন্যভাবে ৮টি প্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছে। আমরা ট্রায়াল অ্যান্ড এরর করে দেখতে চাই আমাদের কোন জায়গাগুলোতে বেশি মনোযোগ দেয়া দরকার। আমরা শুধু কম্পিটিশনে অংশ নেয়া উদ্যোক্তা খুঁজে পেতে চাই না। আমরা চাই আসল উদ্যোক্তা, যে প্রতিক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করবে। কারণ উদ্যোক্তার মনোবলটাই দেখার বিষয়।
প্রমিনেন্ট: কোনো নবীন উদ্যোক্তা যদি বিভিসিএল থেকে ঋণ সহায়তা পেতে চায় সেক্ষেত্রে তার করণীয় কি?
রাশেদুল ইসলাম: আমরা সকল ধরনের উদ্যোক্তাদের জন্যই কাজ করার আশা রাখি। কিন্তু সময় উপযোগী পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের আগ্রহটা বেশি থাকে। আমরা মাঝে মাঝেই আমাদের আগ্রহের জায়গাগুলো আমাদের ফেসবুক এবং ওয়েব সাইটে জানিয়ে থাকি। কেউ যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চান তাহলে ফেসবুক বা ইমেইলে (info@venture.com.bd) যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রাথমিক অবস্থায় আপনি আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আমাদেরকে ইমেইল বা কুরিয়ার করতে পারেন। পরবর্তিতে আমরাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবো যদি পরিকল্পনাটা আমাদের ভালো লাগে। কারণ শুধু নিয়মনীতির কারণে একটা ভালো পরিকল্পনা বাদ পড়ে যাক আমরা কখনোই তা চাই না।
প্রমিনেন্ট: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
রাশেদুল ইসলাম: প্রমিনেন্টকেও ধন্যবাদ।