বিপা ও ফারহানার সাফল্যের গল্প

বিপা ও ফারহানার সাফল্যের গল্প

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

রাজধানীর লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন আরমিনা ইসলাম বিপা (Bipa) চাকরির পিছনে না ছুটে নিজেই হয়েছেন উদ্যোক্তা। গড়ে তুলেছেন ‘নির্ভানা’।শুনুন তাঁর সাফল্যের গল্প।


প্রথমে কয়েকটি ড্রেস দিয়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেন বিপা। আর এখন ১০ লাখ টাকার মালিক তিনি। কিছু নারীর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করেছেন বিপা। অনেক ফ্যাশান হাউজ বিপার কাছ থেকে নানা পণ্যও কিনে থাকে।

নতুন নতুন পণ্য তৈরিসহ পুরনো পণ্য ফের ব্যবহার করে নান্দনিক পণ্য তৈরিতে পারদর্শীও তিনি। সকল নান্দনিক পণ্যের সমাহারে গড়ে তুলেছেন ‘নির্ভানা’। নানা ধরনের ড্রেস ছাড়াও ল্যাম্পশেড, গ্লাস পেইন্ট, পেন হোল্ডার থেকে শুরু করে সব ধরনের হস্তশিল্পের কাজ করতে পারেন বিপা।

নির্ভানা’র মালিক বিপা বলেন, ‘পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে ফ্যাশান ডিজাইনে কোর্স করেছি। আমি সব ধরনের হস্তশিল্পের কাজ করতে পারি। সেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করি। অনেক ফ্যাশান হাউজ আমার কাছ থেকে পণ্যও কিনে নেয়। মাত্র কয়েকটি ড্রেস বিক্রির মধ্য দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। এখন আমি ১০ লাখ টাকার মালিক’।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) মেলায়’ অংশগ্রহণ করেছিলেন বিপার ‘নির্ভানা’। এতে দেশে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, আইটি পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সিনথেটিক, হস্তশিল্প, ডিজাইন, ফ্যাশনওয়্যার এবং ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের স্বদেশি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করেছেন।

বিপার মতো চাকরির পিছনে না ছুটে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন ফারহানা নাজিরাও। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনিও ফ্যাশান ডিজাইনে কোর্স করেন। এখন তিনি গড়ে তুলেছেন ফারহানা ফ্যাশান। ১৭ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও এখন তিনি ১৪ লাখ টাকার মালিক।

মিরপুর শপিং সেন্টার ও মোহাম্মদপুর জাপান গার্ডেন সিটিতে দু’টি দোকান আছে তার। সাড়ে ৪০০ থেকে শুরু করে চার হাজার টাকার কিডস আইটেম ও লেডিস টপ পাওয়া যাচ্ছে ফারহানা ফ্যাশান হাউজে।

নিজের পায়ে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে ফারহানা ফ্যাশানের মালিক ফারহানা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক সম্পন্ন করেছি। চাকরি করতে হবে- এ কথা কখনও ভাবিনি। শুধু কল্পনা করেছি, অন্যকে চাকরি দেবো। সে চিন্তায় ১২ বছর আগে ব্যবসা শুরু করি। প্রথমে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। এখন ১৪ লাখ টাকার মালিক হয়েছি’।

‘অনেক নারীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকি। আমার এখন একটাই ইচ্ছা, ব্যবসাটা আরও প্রসারিত করবো। যাতে করে নারীদের জন্য আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি’- বলেন ফারহানা।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment