তাঁদের শক্তি ই-কমার্স
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
আমাদের দেশের মেয়েরা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে চলেছেন। পেশা আর ভালো লাগার জায়াগাটায় মিলমিশ করে তারা হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা। নিজ নিজ ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক গন্ডি পেরিয়ে তৈরি করছেন আর দশজনকে এগিয়ে নেওয়ার উদাহরণ। তেমনই কিছু নারী উদ্যোক্তার গল্প শুনুন তাদের ভাষাতেই।
আলেয়া আফরিন
স্বপ্ন দেখতে পারলেই তা পূরণ হতে পারে তাই এতো ব্যস্ততার মাঝেও পড়াশুনা করে আবার চাকরি। তারপর মন চঞ্চল হতে থাকে কেবল নিজের স্বপ্নের একটু রাশ আঁকতে। তাই নিজের উদ্যম নিয়ে অনলাইনকেন্দ্রিক ছোট্ট একটি অনলাইন শপ যার নাম বিবির আয়না। আমার স্বপ্ন এমন একটা জায়গায় যাওয়া, বিশ্বস্ত অনলাইন শপিং ও সব থেকে সময়োপযোগী আধুনিক ও আমার দেশীয় ঐতিহ্যের কালেকশনের নাম চিন্তা করলেই মানুষের মনে যেন আমার কথা সবার আগে আসে।
ফারহানা আব্দুল্লাহ মৌ
আমি একজন গৃহিণী। পড়ালেখা করছি। স্বামী এবং শাশুড়ির উত্সাহে অনলাইন বিজনেস পেজ শুরু করি যার নাম ‘ডিভাস ওয়ার্ল্ড’। মাত্র ৫০০০ টাকা নিয়ে। চায়না, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এর প্রোডাক্ট আনি। ভবিষ্যতে ব্যবসা আরো বড় করার ইচ্ছা আছে।
সোনিয়া পারভীন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট এ অনার্স, মাস্টার্স করে ভালো প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেছিলাম কিছুদিন। তারপর তিনবছর আগে অনলাইনে শপ খোলার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রতিযোগিতার পথ চলার প্রতি পদে আমার স্বামী আমার সাথে ছিলেন, এখনও আছেন। আমরা দু’জনে মিলেই কাজ করেছি। দেশীয় কাপড়কে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই নতুন রূপে,নতুন পরিচয়ে।
নিরমা
শুরুটা ২০০৯ সালে, চাকরি ছেড়ে ঘরে থাকতে থাকতে হাপিয়ে উঠেছি। আমার বিয়েতে আমি সেইভাবে বউ সাজিনি যে ভাবে আর দশটা মেয়ে সেজে বিয়ে করে। খুব ইচ্ছে ছিল এইটাকে একদিন কাজে লাগাব। আমার ব্রাইডাল ড্রেসের পাশাপাশি জুয়েলারি, শাড়িও আছে। অনেক চড়াই উত্রাই করেও ভালোই একটা সাড়া পাই।
ফাতিমা জোহরা
ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার হয়েও, গতানুগতিক পথটা কখনো ভালো লাগেনি। কম্পিউটার, টেকনোলজি, গ্রাফিক্স নিয়ে প্রচুর আগ্রহ ছিল, ফ্রিল্যান্সিং করে বেশ পরিচিতি পেলাম। শখের বসে খুললাম, গয়নার বাক্স। গয়না নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বুঝলাম ভালো গয়নার চাহিদা খুব।