সময় এখন ‘সুকন্যা’র
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
সময়টা হয়তো এখন তরুণ উদ্যোক্তাদের। উদ্যোমী তরুণ-তরুণীরা আগের মতো নয়টা-পাঁচটা অফিসে বসে কলম পিষতে চান না। চ্যালেঞ্জ নিয়ে, নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু করতেই বেশি মনোযোগী। বর্তমান সময়ে অনলাইন প্রসার উদ্যোক্তাদের জন্য অনেকটাই আশীর্বাদস্বরুপ। সময়ের হাত ধরে প্রতিনিয়ত ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র পরিবর্তিত হচ্ছে। অনলাইনের প্রসারে এখন ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো অনেকটাই সহজ হয়েছে। এর ফলে অনলাইনের মাধ্যমে যে কেউ নিজেদের ব্যবসায় সফলতা পেতে পারে।
তেমনই একজন অনলাইন ব্যবসার উদ্যোক্তা অনামিকা হোসেন অনু। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউডা থেকে যোগোযোগ ও গণমাধ্যম থেকে স্নাতক শেষ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে নিজেকে উদ্যোক্তা এবং অনলাইন ব্যবসার সাথে জড়িয়েছেন। মেয়েদের নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন। শুরুটা করেন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী শাড়ি দিয়ে।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী শাড়ি সংগ্রহ করে ২০১৬ সালের নভেম্বরে শুরু করেন অনলাইন শপ ‘সুকন্যা’। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকম গহণা, শাড়িসহ মেয়েদের প্রসাধন সামগ্রী ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে বিকিকিনি করে যাচ্ছেন তিনি। এ কাজে সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন আরেক বন্ধু তাকদীর আজিম। অনলাইন ব্যবসার শুরুটা করেন দু’জন মিলেই। নিজেদের ব্যবসা সম্পর্কে অনামিকা জানান, বিশ্বায়নের এই যুগে অনলাইন মার্কেটিংয়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই কাজ করে যাচ্ছে। তাই নিজেকে আর পিছিয়ে রাখা নয়। ফেসবুকের মাধ্যমে বেশ ভালো অর্ডার আসে। ‘সুকন্যা’ ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সবার চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
দেশীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের শাড়ি ছাড়াও নেপাল থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিয়ে আসা পাথর ও সিলভারের গহণা, নেকলেস, শো-পিস ইত্যাদি অর্ডার করা যাবে। অর্ডার পেলে কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়।
তবে পণ্যের গুণগত মানের দিকে শুরু থেকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি দামের দিক থেকেও সবকিছু অনেকটাই হাতের নাগালে। বর্তমানে ফেসবুক পেজটির লাইক প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি। তবে সাধ ও সাধ্যের মেলবন্ধনে আরো সামনে এগিয়ে যেতে চান।