২০১৯ সালের বিশ্বসেরা যত উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান

২০১৯ সালের বিশ্বসেরা যত উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

সম্প্রতি প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতিভিত্তিক ২০১৯ সালের বিশ্বের সেরা ৫০টি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে ফাস্ট কোম্পানি ডটকম। এখান থেকে সেরা ১০টি কোম্পানির তালিকা পাঠকদের উদ্দেশে প্রকাশ করা হলো।


১. এয়ারটেবিল: এয়ারটেবিল হলো ক্লাউডভিত্তিক ডাটা বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম। এখানে ইন্টার্ন থেকে সিইও পর্যন্ত যে কেউ খুব সহজে ডাটা বিশ্লেষণ করতে পারেন। ছয় বছরের পুরোনো স্টার্ট আপটি ১.১ বিলিয়ন মূল্যমানের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। সদ্যপ্রকাশিত ৫০টি সেরা উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর তালিকায় ২২ নম্বরে রয়েছে এয়ারটেবিল।

২. লিনেজ লজেস্টিক: খাবার সরবাহ কাজে লিনেজ লজেস্টিক বেশ পরিচিত একটি নাম। আমেরিকার ৯০ শতাংশ জনগণ খাবার সরবরাহ করার সময় ফ্রিজিং পদ্ধতিতে তা সরবরাহ করার পক্ষে মত দেয়। লিনেজ এ সেবাটি দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালমার্ট, টাইসন ও ম্যাকডোনাল্ডের খাবারও এই পদ্ধতিতে সরবরাহ করে থাকে।

৩. ক্যানো: কম্পিউটারাইজ খেলনা তৈরিতে সুনাম অর্জন করেছে ক্যানো। গত অক্টোবরে ক্লেইন উন্মুক্ত করে ছিল হেরিপটার যার কোডিং করেছিল ক্যানো। কীভাবে অভ্যন্তরীণ কোডিং করা যায় তাও শিখিয়ে দেয় ক্যানো।

৪. উইনক: আদর্শ ব্যবসায়ী মডেল মাথায় রেখে চলতি বছরে শীর্ষ ৫০ উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম লিখিয়েছে উইনক। ৭৫ শতাংশ সাইবসক্রাইবার ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ মিলিয়ন গ্রাহক রেটিং অর্জনে সক্ষম হয়।

৫. জোলা: শান-লিন মা এবং নবু নাকাগুচি যৌথভাবে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। তাদের প্রতিষ্ঠানটি ছিল ই-কমার্স ভিত্তিক। জটিল রিটার্ন প্রক্রিয়া নিয়েই ছিল তাদের প্রধান কাজ। শান-লিন মা বলেন,‘আমরা যখন জোলা প্রতিষ্ঠা করি তখন এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেছিলাম।’ ৫ লাখেরও বেশি দম্পতি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আসছে। তারা এখানে অন্তত ৬০০ ব্র্যান্ডের পণ্য পাচ্ছে।

৬. ল্যানজাটেক: গত বসন্তে বেইজিংয়ের একটি শহরে একটি স্টিল মিল তাদের জ্বালানি থেকে কার্বন নির্গমন শুরু করেছিল। আবার ঐ কার্বন থেকে রূপান্তর করা হয় জ্বালানি। বর্তমানে মিলটি থেকে বছরে ১৬ মিলিয়ন গ্যালন জ্বালানি উত্পাদন করা হয়।

৭. জিয়োসাভন: জিয়েসাভনের সিইও রিশি ম্যালহোতরা বলেন, ‘অ্যাপল মিউজিক ভারতে তাদের কার্যক্রমের জন্য সফলতা পেয়েছে। তবে ২০১৯ সালে স্পোটিফাইও প্রবেশ করতে চাচ্ছে। তবে ভারতের বাজারে সফলতার জন্য স্থানীয়দের সুবিধা প্রদান জরুরি।’ ২০১৮ সালের অক্টোবরে মিউজিক স্ট্রিমিং প্রতিষ্ঠান সাভন জিয়ো মিউজিক সার্ভিস ৪০ মিলিয়ন ট্যাক, ১৫টি আঞ্চলিক ভাষায় চালু করে। বর্তমানে প্রতি মাসে ৩৮ সক্রিয় ব্যবহারকারী দেখা যায় প্ল্যাটফর্মটিতে।

৮. জুমিও: জুমিও আপনাকে ব্যাংক ভেরিফিকেশন ও এয়ারবিএনবি অ্যাকাউন্ট ভেরিফইয়ের জন্য তত্ক্ষণিক ছবি ও সেলফি আপলোডের অনুমতি দেয়। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি একটি এআই ল্যাব চালু করে। ল্যাবটিতে ছবি জালিয়াতি রোধে কাজ করা হয়। যা নিরাপত্তাকে আরো জোরদার করেছে।

৯. ফাউন্ডেশন মেডিসিন: নির্ভুল ওষুদের প্রতিশ্রুতি ও ক্যানসারের চিকিত্সা এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। রোগীরা তাদের রোগের জন্য কীভাবে পদক্ষেপ নেবেন সে পরামর্শ প্রদানে আগে কিছু পরীক্ষা-নিরাক্ষা করে এ প্রতিষ্ঠানটি। মাত্র ১ বছর আগে প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পায়। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৩২৪টি টিস্যুর জিন আবিষ্কার করে। তারা এই টিস্যুগুলোতে ক্যানসারের বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করে সফল হয়েছে।

১০. আরট্রেইস: আরট্রেইস এর প্রযুক্তিতে সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ফুসফুস ক্যানসারের রোগীদের জীবন-মৃত্যুর শঙ্কা জানতে পারে। এ পদ্ধতিতে গত পাঁচ বছরে ফুসফুস ক্যানসারের রোগীদের বেঁচে থাকার হার ১৬ শতাংশ থেকে উন্নিত হয়ে ৫৬ শতাংশ হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক

Sharing is caring!

Leave a Comment